পান্না কায়সার
পান্না কায়সার (১৯৫০–২০২৩) বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
পান্না কায়সার | |
---|---|
জন্ম | ২৫ মে ১৯৫০ |
মৃত্যু | ৪ আগস্ট ২০২৩ | (বয়স ৭৩)
পেশা | লেখক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) |
দাম্পত্যসঙ্গী | শহীদুল্লা কায়সার (বি. ১৯৬৯–১৯৭১) |
সন্তান | শমী কায়সার, অমিতাভ কায়সার |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাপান্না কায়সার ২৫ মে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তার স্বামী শহীদুল্লা কায়সার একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক এবং রাজনীতিক ছিলেন।[১]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাপান্না কায়সার ঢাকায় এসেছিলেন প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার পরে নিজের মত করে জীবন গুছিয়ে নিতে। তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। শিক্ষক হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন মুনির চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর মত শিক্ষকদের।[২] ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে শহীদুল্লাহ কায়সার এর সাথে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কার্ফিউ ছিল।[২] পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সার এর হাত ধরে তার পরিচয় আধুনিক সাহিত্যের সাথে, রাজনীতির সাথে। তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দুই বছর দশ মাসের মত। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কজন সদস্য শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা ২৯ বি কে গাঙ্গুলী লেন থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেন নি।[১]
তিনি শিশু কিশোর সংগঠন 'খেলাঘর' এর প্রেসিডিয়াম মেম্বার ছিলেন সেই ১৯৭৩ সাল থেকে। ১৯৯০ তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ ছিলেন।
তার দুই সন্তান, শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সার। শমী কায়সার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
রাজনৈতিক ভূমিকা
সম্পাদনাপান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ ছিলেন।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনা- মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে (১৯৯১)
- মুক্তি (১৯৯২)
- নীলিমায় নীল (১৯৯২)
- হৃদয়ে বাংলাদেশ (১৯৯৩)
- মানুষ (১৯৯৪)
- অন্য কোনখানে (১৯৯৪)
- তুমি কি কেবলি ছবি (১৯৯৪)
- রাসেলের যুদ্ধযাত্রা (১৯৯৪)
- দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে (১৯৯৪)
- আমি (১৯৯৪)
- না পান্না না চুনি (১৯৯৫)
- অন্য রকম ভালোবাসা (১৯৯৫)
- সুখ (১৯৯৫)
পুরস্কার
সম্পাদনামুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ সাজ্জাদ কাদির (২০১৬-০১-১০)। "বিটিভি এর অনুষ্ঠান "কীতির্মানের গল্পকথা" এ পান্না কাইসারের সাথে সাজ্জাদ কাদির"।
- ↑ ক খ A book by Panna Kaysar[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১৫ জন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার আর নেই"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৪।