পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা

ভারত ও মিয়ানমার জুড়ে বিস্তৃত পর্বতমালা
(পাটকাই থেকে পুনর্নির্দেশিত)

পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা, যা পাটকাই নামেও পরিচিত, হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতমিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত পর্বতমালা।[] উত্তর-পূর্ব ভারতে এটি অরুণাচল প্রদেশ, আসামনাগাল্যান্ড বিস্তৃত। এখন থেকে আসামের বুঢ়িদিহিংনদিহিং নদীর উৎপত্তি হয়েছে।

পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা
পাটকাই
পাংসাউ গিরিপথ থেকে পূর্বাঞ্চল পর্বতমালার দৃশ্য
সর্বোচ্চ বিন্দু
শিখরসারামতী পর্বত[]
উচ্চতা৩,৮২৬ মিটার (১২,৫৫২ ফুট)
স্থানাঙ্ক২৭°০′ উত্তর ৯৬°০′ পূর্ব / ২৭.০০০° উত্তর ৯৬.০০০° পূর্ব / 27.000; 96.000
ভূগোল
পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা মিয়ানমার-এ অবস্থিত
পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা
পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা
দেশ

ইতিহাস ও ভূগোল

সম্পাদনা

পাটকাই পর্বত বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গাড়ি চলাচল করার জন্য ষ্টিলওয়েল পথ নির্মাণ করা হয়েছিল। অসমের রাজনৈতিক ইতিহাসের সহিত পাটকাইয়ের সম্পর্ক সুগভীর।চীনের য়ুনান প্রদেশে অবস্থিত মংমাও রাজ্য থেকে আগত রাজকুমার চুকাফা পাটকাই পর্বত অতিক্রম করে অসমে আহোম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আহোম রাজ্য আক্রমণ করার জন্য মানেরা পাটকাইয়ের গিরিপথে অসমে এসেছিলেন। এই গিরিপথেই চিংফৌ, তাংসা, নক্তে ইত্যাদি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীরা অসমে প্রবেশ করেন। কয়েকটি ছোট ছোট জনজাতি পাটকাইয়ের পাদদেশে স্থাপিত হয়েছিল।

জৈব বৈচিত্র

সম্পাদনা

অঞ্চলটি জৈব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। অরুণাচলের নামদফা রাষ্ট্রীয় উদ্যান বিশ্ববিখ্যাত। এই রাষ্ট্রীয় উদ্যানে বাংলা বাঘ দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের প্রকাশ করা এক গবেষণা পত্রের অনুযায়ী নামদফা অঞ্চলে ১৩ প্রকারের কেঁচো, ৫ প্রকারের জোক, ৪৩০ প্রকারের পতঙ্গ, ১৪০ প্রকারের প্রজাপতি, ৭৬ প্রকারের মাছ, ২৫ প্রকারের পাখি রয়েছে।

জনগোষ্ঠী

সম্পাদনা

পাটকাই পর্বতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনজাতির মানুষের আবাসস্থল। এই জনগোষ্ঠী সমূহের জীবন, সমাজ ও পরম্পরাগত সংস্কৃতি প্রাকৃতিক অবস্থার জন্য বিপন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে পাটকাই অঞ্চলে বসবাস করা কয়েকটি জনগোষ্ঠীর লোক তাদের মাতৃভাষা হারিয়েছেন। পাটকাইয়ে থাকা নগা জনগোষ্ঠীর কিছু লোক অরুণাচলের বহুসংখ্যক জনগোষ্ঠীর লোক এখানেই বসবাস করেন। এদের মধ্যে খামতি, চিংফৌ, টাংসা[], টুটসা, নক্তে, ওয়াংসু[] ইত্যাদিরা উল্লেখযোগ্য জনজাতি। এই প্রধান জনজাতির মধ্যে উপজাতিও রয়েছে। টাংসা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৮টি উপজাতি আছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. The new encyclopaedia Britannica
  2. indianetzone.com
  3. "http://tinsukia.gov.in"। ৬ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৫  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. flickr.com