পাকিস্তান বিমানবাহিনী একাডেমী

পাকিস্তান বিমান বাহিনী একাডেমী হচ্ছে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের মৌলিক সামরিক (বিমান) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯১০ সালে রাজকীয় উড্ডয়ন বাহিনীর একটি স্টেশন (ঘাঁটি) তৈরি হয় রিসালপুরে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল থেকে এখানে বিমান বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষণ চলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালীন মোট ছয় বছরে প্রায় ২,০০০ ভারতীয় তরুণ এই রিসালপুর বিমান বাহিনীর স্টেশন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো।

Pakistan Air Force Academy
প্রাক্তন নাম
Royal Flying Corps of Risalpur (1910-1947)
RPAF Flying Training School (1947-1956)
নীতিবাক্যفقط ذوق پروازهے زندگى (Urdu)
ধরনMilitary service academy
স্থাপিত১৯১০; ১১৫ বছর আগে (1910)
AOCAVM Hamid Rashid Randhawa, SI(M)
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
400
স্নাতক1000 (approx.)
স্নাতকোত্তর100 (approx.)
অবস্থান, ,
NicknameHome of Eagles
মাসকটEagle
মানচিত্র

বিমান উড্ডয়ন সহ বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্মকর্তাদের সকল ধরনের বিমান সামরিক প্রশিক্ষণ চলে এই একাডেমীতে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯১০ সালে ব্রিটিশরা রাজকীয় উড্ডয়ন বাহিনী নামে একটি বাহিনী তৈরি করে আকাশপথে যুদ্ধ করার জন্য। তখনই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের রিসালপুরে তারা একটি ঘাঁটি তৈরি করে যার বড় একটি বিমানক্ষেত্র বানানো হয়। ১৯১৫ সালে নং ৩১ স্কোয়াড্রন নামের একটি বিমান বহর এখানে স্থাপিত হয়। ১৯২৮ সালে তৈরি করা হয় নং ১১ স্কোয়াড্রন, এবং ততদিনে রাজকীয় উড্ডয়ন বাহিনী রাজকীয় বিমান বাহিনী নামে পরিচিতি পেয়ে গেছে আর ভারতের এই বাহিনীকে রাজকীয় ভারতীয় বিমান বাহিনী নামে ডাকা শুরু হয়। বিমান বাহিনীর এই রিসালপুর স্টেশনের দুটি লড়াকু বিমান বহর ছিলো ১৯৪৭ সালে পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের একটি ঐতিহাসিক স্থান; এছাড়াও স্থানটি অবিভক্ত ভারতে সামরিক বৈমানিক প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে বড়ো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিলো।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলে রাজকীয় পাকিস্তান বিমান বাহিনী তৈরির ডাক দেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের জনক হিসেবে পরিচিত। রিসালপুরের এই বিমান ঘাঁটিটি রাজকীয় পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘাঁটি রিসালপুর হিসেবে নতুন নাম পায়। এবং শীঘ্রই এই ঘাঁটির নাম দেওয়া হয় রাজকীয় পাকিস্তান বিমান বাহিনী উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়, প্রথম মুসলিম ভারতীয় এবং নব রাষ্ট্র পাকিস্তানের বৈমানিক হিসেবে এই কেন্দ্রে তৎকালীন স্কোয়াড্রন লিডার আসগর খান আসেন যিনি ১৯৬০-এর দশকে এয়ার মার্শাল হয়েছিলেন। তখন মাত্র ২৫০ জন বিমানসেনা, ২৩ জন উড্ডয়ন প্রশিক্ষণার্থী এবং ২০ জন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিলেন এই কেন্দ্রে যাদের অধিকাংশই ছিলেন ইংরেজ।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]

১৯৪৮ সালের ১৩ই এপ্রিল কেন্দ্রটিকে মহাবিদ্যালয় (কলেজ) ঘোষণা দেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং ১৯৬৭ সালের ২১ জানুয়ারী রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান মহাবিদ্যালয়টিকে 'একাডেমী' নামে পুনঃনামকরণ করেন।

চিত্রশালা

সম্পাদনা

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা