পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলী
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩৮ দিন আগে ShakilBoT (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলী আধুনিক ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত রান্নার শৈলী, ঐতিহ্য ও প্রণালীসমূহ ধারণ করে। এটির নিজস্ব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তবে এটি বিস্তৃত বাঙালি ও ভারতীয় রন্ধনশৈলীর সঙ্গে খুব সাদৃশ্যপূর্ণ, কিছুটা ঐতিহাসিকভাবে ও কিছুটা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সময় ভারতের অন্যান্য অঞ্চল ও ভিনদেশী উপাদান ও ধারণার আগমন ঘটেছিল। পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলীর বেশিরভাগ অংশ বাঙালি রন্ধনশৈলী নিয়ে গঠিত, তবে পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রন্ধনপ্রনালীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার, যেমন ভাত ও ডাল, মাছ ভাজা ও ঝোল, কষা মাংস, শাকসবজি ও ঝোল এবং সাধু জল ও লবণাক্ত জলের মাছের বিভিন্ন খাবাদের পদ। বৃহদ্ধর্মপুরাণ, চন্দ্রকেতুগড়ে প্রাপ্ত ফলক, মঙ্গলকাব্যসমূহ, বাঙালি রন্ধনশৈলী এবং পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যাভ্যাস ও খাবারের পদসমূহের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়।[১]
পশ্চিমবঙ্গের রান্না মধ্যযুগ, মূলত মুঘল শাসনকাল, থেকে বিদেশী উপাদান ও রান্নার শৈলী দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিরিয়ানি মুঘলদের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং কলকাতায় আগত চৈনিক জনগোষ্ঠীর মধ্যমে চৈনিক খাবাদের পদের আগমন ঘটে। তবে, বাঙালি রন্ধনশৈলী ও উপকরণের মাধ্যমে বৈদেশিক খাবারের পদসমূহয়ের স্থানীয়করণ ঘটেছিল।
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাপশ্চিমবঙ্গে আধুনিক রন্ধনশৈলী প্রাচীন ও মধ্যযুগীও রন্ধনশৈলী থেকে ধীরে ধীরে দূরবর্তী হয়েছে, এর অন্যতম কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সময়ে আগত ভিন্ন সংস্কৃতির রন্ধনশৈলী। তবে ভাত, মাছ ও শাকের মতো পদগুলির অস্তিত্ব প্রাচীনকালেও ছিল; যা ঐতিহাসিক ও আধুনিক রান্নার মধ্যে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা তৈরি করার জন্য জনপ্রিয়। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশে বিশেষত রাঢ় অঞ্চলের খাবারে তেল ও ঝালের ব্যবহার পূর্ববঙ্গের তুলনায় কম। দার্জিলিং সহ পাহাড়ি এলাকায় সুপ জাতীয় খাবার জনপ্রিয়, এবং খাবার প্রস্তুতের জন্য বাষ্পের ব্যবহার দেখা যায়।
পর্তুগীজ, মুঘল ও ব্রিটিশ উপকরণ দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলী প্রভাবিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলী ঢাকা তথা পূর্ববঙ্গের তুলনায় মুঘল রন্ধনশৈলী দ্বারা স্বল্পমাত্রায় প্রভাবিত। তবে মনে করা হয়, কলকাতায় ইন্দো-চৈনিক খাবারের উৎপত্তি ঘটেছিল, যা পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলীর একটি বৈচিত্র। পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনপ্রণালীগুলি ঠাকুর পরিবারের রান্নার দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত।
খবার
সম্পাদনাখাবারের বহু পদ আছে যা তাদের উপাদানগুলির কারণে পশ্চিমবঙ্গের (বিস্তৃত ভাবে বঙ্গের) খাবার হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, তবে কিছু পদ রয়েছে যা সর্বোপরি পশ্চিমবঙ্গের খাবারের হিসাবে পরিচিত। গোবিন্দভোগ চালের পায়েস, কলকাতার রসগোল্লা, সরভাজা-সরপুরি, ল্যাংচার, কমলাভোগ মতো মিষ্টি, জলভরা সহ বিভিন্ন প্রকারের সন্দেশ, গহনা বড়ির মতো খাবারগুলিকে পশ্চিমবঙ্গের খাবারের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ঘোষ, আলপনা (১ এপ্রিল ২০২২)। "প্রাচীন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস"। বংলাইভ। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Murshid, Ghulam (২০১৮)। Bengali Culture: Over a Thousand Years। Niyogi Books।
- Ray, Niharranjan (১৯৯৩)। বাঙ্গালীর ইতিহাস: আদি পর্ব Bāṅgālīra itihāsa: Ādiparba [History of Bengalis: Early Phases] (পিডিএফ) (Dey's [3rd] সংস্করণ)। Kolkata: Dey's Publishing। আইএসবিএন 81-7079-270-3। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে পশ্চিমবঙ্গের রন্ধনশৈলী সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।