পরেশ মৌলিক
পরেশ মৌলিক, ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
অগ্নিযুগের বিপ্লবী পরেশ মৌলিক | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৮ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
প্রতিষ্ঠান | যুগান্তর দল |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম
সম্পাদনাপরেশচন্দ্র মৌলিকের জন্ম ১৮৮৮ সালে অবিভক্ত বাংলার যশোরের মাগুরা গ্রামে।[১] স্কুলে ক্লাসরুমের ভিতরে বন্দে মাতরম বলে চিৎকার করার জন্য তাকে আর্থিক শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তিনি জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন এবং তাই তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি কলকাতায় চলে যান এবং ন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হন।[২]
বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে প্রবেশ
সম্পাদনাজাতীয় বিদ্যালয়ের পরিবেশ তার জাতীয়তাবাদী উদ্দীপনাকে আরও উত্সাহিত করেছিল; এবং তিনি তৎকালীন যুগান্তর ছেলেদের আঁতুড়ঘর মানিকতলা গার্ডেন হাউসে যেতে শুরু করেন। বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ তখন বোমা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে পরবর্তী বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত ছিলেন। পরেশচন্দ্রের নিষ্পাপ চেহারা এবং গ্রহণযোগ্য মন তাকে দলের কাছে সহজেই গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিল।[৩]
বিপ্লবী জীবন
সম্পাদনাবিপ্লবীরা তখন ভয়ঙ্কর বিচারক মিঃ কিংসফোর্ডকে টার্গেট করার সুযোগ খুঁজছিল; কিন্তু তাকে পিন করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তাই তাঁকে তাঁর বাড়িতে বই বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। পরেশচন্দ্রকে এই কাজের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। আর্দালির পোশাক পরে তিনি বইটি তার বাহকের হাতে তুলে দিলেন। মিঃ কিংসফোর্ড তখন বাড়িতে ছিলেন না; তাই আর্দালি সেটা তার পড়ার টেবিলে রাখল। বোমা বাঁধা থাকায় বইটি অস্বাভাবিক মোটা দেখাচ্ছিল। পরদিন সকালে কিংসফোর্ড বইটা না খুলে বুকশেলফে রেখে দিলেন। তাই ভেতরে থাকা বোমাটি কাজ করেনি।
আলিপুর বোমা মামলার কার্যক্রম চলাকালীন পরেশচন্দ্র আরও পঁয়ত্রিশজনের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন; বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ https://amritmahotsav.nic.in/district-reopsitory-detail.htm?4665
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ৭৯।