পঞ্চাশের মন্বন্তর

১৯৪৩ সালে ভারতবর্ষে সংঘটিত একটি দুর্ভিক্ষ

খ্রিস্টাব্দ ১৯৪৩, বঙ্গাব্দ ১৩৫০ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ, যেটি পঞ্চাশের মন্বন্তর নামে পরিচিত, ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশপূর্ব ভারত) বাংলা প্রদেশে দুর্ভিক্ষ। আনুমানিক ২.১-৩ মিলিয়ন বা ২১ থেকে ৩০ লাখ,[] ৬০.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে, অপুষ্টি, জনসংখ্যা স্থানচ্যুতি, অস্বাস্থ্যকর অবস্থা এবং স্বাস্থ্য সেবার অভাবের কারণে অনাহার, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগে মারা গেছে। লক্ষ লক্ষ লোক দরিদ্র হয়েছিল কারণ এই সংকট অর্থনীতির বড় অংশকে অভিভূত করেছিল এবং সামাজিক কাঠামোকে বিপর্যয়করভাবে ব্যাহত করেছিল। অবশেষে, পরিবারগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; পুরুষরা তাদের ছোট খামার বিক্রি করে এবং কাজ খুঁজতে বা ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, এবং মহিলা ও শিশুরা গৃহহীন অভিবাসী হয়ে ওঠে, প্রায়শই সংগঠিত ত্রাণের সন্ধানে কলকাতা বা অন্যান্য বড় শহরে ভ্রমণ করে।[] ইতিহাসবিদরা সাধারণত দুর্ভিক্ষকে নৃতাত্ত্বিক (মানবসৃষ্ট) হিসেবে চিহ্নিত করেন,[] জোর দিয়ে বলেন যে যুদ্ধকালীন ঔপনিবেশিক নীতিগুলি তৈরি করেছিল এবং তারপরে সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। কিন্তু, সংখ্যালঘু দৃষ্টিভঙ্গি বলে যে দুর্ভিক্ষ প্রাকৃতিক কারণে হয়েছিল।[]

পঞ্চাশের মন্বন্তর
২২ আগস্ট ১৯৪৩ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের অবস্থা, দ্য স্টেটসম্যান-এর ছবি
দেশব্রিটিশ ভারত
অবস্থানবাংলা এবং ওড়িশা
সময়কাল১৯৪৩-১৯৪৪
মোট মৃত্যুআনুমানিক ২১ লক্ষ[] শুধু বাংলাতে

১৩৫০ বঙ্গাব্দে ( খ্রি. ১৯৪৩) এই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে একে 'পঞ্চাশের মন্বন্তর' বলা হয়। বিশেষ করে দুই বাংলায় দুর্ভিক্ষের করাল থাবা ছিল সবচেয়ে করুণ। এই করুণ পরিণতির জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে একটি নতুন বইয়ে। চার্চিলস সিক্রেট ওয়ার শীর্ষক বইটি লিখেছেন ভারতীয় লেখিকা মধুশ্রী মুখার্জি। বইটিতে লেখিকা এই দুর্ভিক্ষকে মানবসৃষ্ট বলে নিন্দা করেছেন। চার্চিলের বিরুদ্ধে বইটিতে তিনি অভিযোগ তোলেন, এই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পেছনে বর্ণবৈষম্যও তাকে কিছুটা উসকে দিয়েছে।

জাপান প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার (তৎকালীন বার্মা) দখল করে নেওয়ার পর তেতাল্লিশের মন্বন্তর শুরু হয়। ওই সময় বার্মা ছিল চাল আমদানির বড় উৎস। এই মন্বন্তরে বাংলাজুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ লোক না খেয়ে মারা যান। ভারতবর্ষের তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক সেনা ও যুদ্ধে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য বিপুল পরিমাণ খাদ্য মজুদ করায় এই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।

মজুদ করার কারণে হু হু করে বেড়ে যায় চালের দাম। একই সঙ্গে বাজারে তা দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। জাপান ভারত দখল করলে খাদ্য যাতে শত্রুর হাতে না পৌঁছায়, এ জন্য ব্রিটিশ সরকার আগাম কিছু ব্যবস্থা নেয়। বাংলাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নৌকা ও গরুর গাড়ি হয় বাজেয়াপ্ত—নয় তো ধ্বংস করে ফেলে তারা। এতে চাল বা খাদ্য বিতরণ-ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে।

বাঙালির প্রধান খাবার চালের আকাল দেখা দেওয়ায় ভাতের জন্য সারা বাংলায় হাহাকার পড়ে যায়। গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে দুর্ভিক্ষ। পথে-প্রান্তরে লুটিয়ে পড়তে থাকেন না খাওয়া মানুষ। এখানে-ওখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাড্ডিসার লাশ। এ সময় জরুরি খাদ্য সরবরাহের জন্য চার্চিলের কাছে আবেদন করেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ভারতের তৎকালীন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে তখন বুভুক্ষু হাজার হাজার মানুষ একমুঠো অন্নের আশায় স্রোতের মতো ধাই করেছেন কলকাতার দিকে। দেখা গেছে, এসব অভাগা দলে দলে পথের ওপর পড়ে ধুঁকছেন আর আবর্জনার পাশে উচ্ছিষ্টে ভাগ বসাতে পরস্পর লড়ছেন। একই সময় ব্রিটিশ কর্মকর্তা এবং তাদের তোষামুদে অবস্থাপন্ন ভারতীয় লোকজন বাড়িতে বসে ভূরিভোজ করছেন।

মধুশ্রী মুখার্জির মতে, ব্রিটিশরাজের শাসনামলের এই অন্ধকারতম অধ্যায়টি এত দিন ছিল আড়ালে পড়ে। তিনি তা আলোতে নিয়ে এসেছেন। মধুশ্রী তার বইয়ে এমন সব তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছেন, এতে ওই দুর্ভিক্ষের দায়ভার সরাসরি চার্চিলের ওপর চেপেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মন্ত্রিসভার যেসব বৈঠক হয়েছে, এসব বৈঠকের বিশ্লেষণ রয়েছে বইয়ে। রয়েছে মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন নথিপত্রের তথ্য। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মধুশ্রীর ব্যক্তিগত সংগ্রহশালার তথ্য। এসব তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায়, চালে ঠাসা ব্রিটিশ জাহাজগুলো অস্ট্রেলিয়া থেকে এসে ভারতের পাশ দিয়ে চলে গেছে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার দিকে। ওই এলাকায় খাদ্যশস্যের বিশাল মজুদ গড়ে তোলা হয়।

এক সাক্ষাৎকারে মধুশ্রী মুখার্জি সাংবাদিকদের বলেন, চার্চিল যে ত্রাণ-সহায়তাদানে অক্ষম ছিলেন, এ প্রশ্নই ওঠে না। তিনি ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররা বারবার এ ধরনের উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়েছেন।

ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া সহায়তার হাত বাড়াতে চেয়েছিল, কিন্তু চার্চিলের মন্ত্রিসভা তা মেনে নেয়নি। এমনকি এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন নিজের জাহাজে করে খাদ্য পাঠাতে চেয়েছে, ব্রিটিশ শাসক তাও গ্রহণ করেননি। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী এই দুর্ভিক্ষের পেছনে প্রাকৃতিক কারণ খুঁজে পায়নি ভারতীয় ও মার্কিন গবেষকদের একটি দল। অর্থাৎ এই দুর্ভিক্ষের জন্য আবহাওয়া নয় বরং তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের অমানবিক নীতিই দায়ী ছিলো।[১০]

প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের দিক থেকে মহামন্দার ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলার আয়ের বণ্টনের কাঠামো এবং জনসংখ্যার বিকাশের জন্য কৃষিক্ষেত্রের ক্ষমতার উপর একটি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করেছিল। এগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিল দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার অন্তর্ভুক্তি, পরিবারের ঋণ বৃদ্ধি, স্থায়ী কৃষি উৎপাদনশীলতা, সামাজিক বর্ধিতকরণ বৃদ্ধি, এবং জমি থেকে কৃষকশ্রেণির বিচ্ছিন্নতা।[১১] তারা ১৯৪২ থেকে ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আকস্মিক অর্থনৈতিক ঝড় মোকাবেলা করতে অক্ষম। লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্যশস্যের অভাবের ঝুঁকির মধ্যে ছিল এবং কয়েক দশক ধরে ছিল।[১২]

 
১৯৪৪ সালে বাংলার (বর্তমানে- পশ্চিমবঙ্গ) গুশকরায় একজন কৃষক মহিষ দ্বারা ধান চাষের জমি প্রস্তুত করছেন।

ভারত সরকারের দুর্ভিক্ষ কমিশন রিপোর্ট   (১৯৪৫) বাংলাকে "চাল উৎপাদক ও চাল ভোক্তাদের একটি ভূমি" হিসাবে বর্ণনা করেছে।[] চাল বা ধান প্রদেশের কৃষি উৎপাদনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, যা প্রদেশের কৃষি জমি ব্যবহারের প্রায় ৮৮ শতাংশ [১৩]এবং সমস্ত ফসল বপনের ৭৫ শতাংশ।[] সামগ্রিকভাবে, বঙ্গদেশ ভারতের এক তৃতীয়াংশের ধান উৎপাদন করত এবং উৎপাদনের পরিমাণ অন্য কোনও একক প্রদেশের চেয়ে বেশি। [১৩] চাল দৈনিক খাদ্যদ্রব্যের ৭৫-৮৫% হিসাব থাকে। [১৪]মাছ দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য উৎস ছিল, [১৫] ক্ষুদ্র পরিমাণে গমকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করা হত।[] অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য সাধারণত স্বল্প পরিমাণে গ্রহণ করা হত।[১৪]

বাংলায় তিনটি মৌসুমি ফসল হিসাবে ধান চাষ করা হত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আমন ধান, যা শীতল ফসল হিসাবে মে ও জুনে বপন করা হয় এবং নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে তোলা হয়। এটি বছরে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৭০ শতাংশ।[১৬] গুরুত্বপূর্ণভাবে, ১৯৪২ সালে চালের উৎপাদন (বিতর্কিত) কমে যাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমন ধান চাষের ক্ষেতে ঘটেছিল।[১৭]

পরিবহন

সম্পাদনা
 
বঙ্গোপসাগরের পাশে সুন্দরবনের বনভূমির উপগ্রহ চিত্র

বৃষ্টির জল বাংলার নদীগুলিকে পরিপূর্ণ করে দিত জলে, যার ফলে সেই সময় পরিবহনের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছিল নদীগুলি এবং উপকূলীয় দক্ষিণ-পূর্ব সুন্দরবন সুবিশাল ব-দ্বীপ ও সমগ্র সুন্দরবন এলাকাতে নদী ছিল যোগাযোগের মাধ্যম। নদী পরিবহন বাংলার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিভিন্ন দিকের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং নদী পথে পরিবহন ব্যবস্থা ছাড়া চালের উৎপাদন ও বিতরণে প্রায় অসম্ভব ছিল সেই সময়ে।[১৮] নদী মৎস্যজীবী ও পরিবহন শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করে ছিল এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ের পণ্য সরবরাহ ও পরিপূরক দ্রব্য যেমন কুলার, বাতা ও ঝুড়ি প্রস্তুতকারকদের জন্য অপরিহার্য ছিল।[১৯] সড়ক পথ কম ছিল এবং সাধারণত তার মান বা অবস্থায় ভালো ছিল না[২০] এবং বাংলার বিস্তৃত রেলপথ মূলত সঙ্কটের শেষ পর্যায় পর্যন্ত সামরিক কাজে নিয়োজিত ছিল।[২১]

১৮৯০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে বাংলায় রেলপথের উন্নয়ন দুর্ভিক্ষের অত্যধিক মৃত্যুহারে অবদান রাখে।

মাটি এবং জল সরবরাহ

সম্পাদনা

বাংলার পূর্ব ও পশ্চিমের অংশের মাটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পূর্বাংশের বালুকাময় মাটি এবং সুন্দরবনের হালকা পাললিক মৃত্তিকা পশ্চিমবঙ্গের ভারী মৃত্তিকা পাওয়া যায়।[২২]

  1. The estimates do not include Orissa. There has been a wide range of estimates since the famine. See Maharatna (1996, pp. 214–231), especially table 5.1 on page 215, for a review of the data. The range of 2.1–3 million is taken from a table in Devereux (2000, p. 6). Devereux derived the lower figure from Dyson & Maharatna (1991) and the upper from Amartya Sen's "widely quoted figure of 3 million".[] Sen estimated between 2.7 and 3 million deaths for the period 1943–1946.[]
    Cormac Ó Gráda (2007): "[E]stimates of mortality in Bengal range from 0.8 million to 3.8 million; today the scholarly consensus is about 2.1 million (Hall-Matthews 2005; Sen 1981; Maharatna 1996)."[]
    Paul R. Greenough (1982) suggested a total of 3.5 to 3.8 million famine-related deaths.[]

    Contemporaneous estimates included, in 1945, that of the Famine Inquiry Commission – appointed in 1944 by the Government of India and chaired by Sir John Woodhead – of around 1.5 million famine-related deaths out of Bengal's population of 60.3 million.[] That figure covered January 1943 to June 1944.[] K. P. Chattopadhyay, a University of Calcutta anthropologist, estimated in 1944 that 3.5 million famine-related deaths had occurred in 1943; this was widely believed at the time, but subsequently rejected by many scholars as too high (Greenough 1982, পৃ. 300–301; Dyson ও Maharatna 1991, পৃ. 281). 

  2. Famine Inquiry Commission (1945a, p. 5): "The total extent of the cultivated land in Bengal is nearly 29 million acres. Some of this is cropped more than once, and the total area sown under various crops is normally 35 million acres. The principal crop is rice which accounts for a little less than 26 million acres. In fact, Bengal may be described as a land of rice growers and rice eaters. The area under other staple foodgrains is small; that under wheat, for instance, is less than 200,000 acres, and the total area under food crops of all kinds other than rice is somewhat over 4 million acres. This includes land devoted to the cultivation of fruits and vegetables. The most important non-food crop is jute, which accounts normally for between 2 million and 2.5 million acres."
  3. Some land produced more than one crop a year, sometimes rice in one season and other crops in another, reducing rice's yearly proportion of total crops sown(Famine Inquiry Commission 1945a, পৃ. 10).
  4. Wheat was considered a staple by many in Calcutta, but nowhere else in Bengal.(Knight 1954, পৃ. 78) The wheat-eating enclave in Calcutta were industrial workers who had come there from other provinces (Famine Inquiry Commission 1945a, পৃ. 31).

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

উদ্ধৃতি

সম্পাদনা

প্রাথমিক উৎস

সম্পাদনা

বই, বইয়ের অধ্যায়

সম্পাদনা

নিবন্ধন

সম্পাদনা
  • Ali, Tariq Omar (২০১২)। The Envelope of Global Trade: The Political Economy and Intellectual History of Jute in the Bengal Delta, 1850s to 1950s. (গবেষণাপত্র)। Harvard University। 
  • Bekker, Konrad (Summer ১৯৫১)। "Land Reform Legislation in India"Middle East Journal5 (3): 319–36। জেস্টোর 4322295 
  • "The Best 1,000 Movies Ever Made"The New York Times। ২৯ এপ্রিল ২০০৩। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৮ 
  • Bhattacharya, Sanjoy (২০০২a)। "Tackling hunger, disease and 'internal security': Official medical administration in colonial eastern India during World War II (Part I)" (পিডিএফ)The National Medical Journal of India15 (1): 37–40। পিএমআইডি 11855591। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  • Bhattacharya, Sanjoy (২০০২b)। "Tackling hunger, disease and 'internal security': Official medical administration in colonial eastern India during World War II (Part II)" (পিডিএফ)The National Medical Journal of India15 (2): 101–40। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  • Bhattacharya, Sanjoy; Zachariah, Benjamin (এপ্রিল ১৯৯৯)। "'A Great Destiny': the British Colonial State and the Advertisement of Post-War Reconstruction in India, 1942–45"। South Asia Research19 (1): 71–100। ডিওআই:10.1177/026272809901900105 
  • Bose, Sugata (১৯৮২b)। "The Roots of 'Communal' Violence in Rural Bengal"। Modern Asian Studies16 (3): 463–91। ডিওআই:10.1017/S0026749X00015274 
  • Bose, Sugata (১৯৯০)। "Starvation amidst Plenty: The Making of Famine in Bengal, Honan and Tonkin, 1942–45"Modern Asian Studies24 (4): 699–727। ডিওআই:10.1017/S0026749X00010556 
  • Bowbrick, Peter (মার্চ ১৯৮৫)। How Sen's Theory Can Cause Famines (পিডিএফ)। Agricultural Economics Society Conference। 
  • Bowbrick, Peter (১৯৮৬)। "The causes of famine: A refutation of Professor Sen's theory" (পিডিএফ)Food Policy11 (2): 105–24। ডিওআই:10.1016/0306-9192(86)90059-X। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  • Brennan, Lance (১৯৮৮)। "Government Famine Relief in Bengal, 1943"The Journal of Asian Studies47 (3): 541–66। জেস্টোর 2056974ডিওআই:10.2307/2056974 
  • Brennan, Lance; Heathcote, Les; Lucas, Anton (১৯৮৪)। "The causation of famine: A comparative analysis of Lombok and Bengal 1891–1974"। South Asia: Journal of South Asian Studies7 (1): 1–26। ডিওআই:10.1080/00856408408723049 
  • Chakrabarty, Bidyut (১৯৯২a)। "Political Mobilization in the Localities: The 1942 Quit India Movement in Midnapur"। Modern Asian Studies26 (4): 791–814। জেস্টোর 312940ডিওআই:10.1017/s0026749x00010076 
  • Chatterjee, Partha (১৯৮৬)। "The Colonial State and Peasant Resistance in Bengal 1920–1947"। Past & Present110: 169–204। ডিওআই:10.1093/past/110.1.169 
  • Chaudhuri, Binay Bhushan (১৯৭৫)। "The Process of Depeasantization in Bengal and Bihar, 1885–1947"। Indian Historical Review2 (1): 106–65। 
  • "Chittaprosad's Bengal Famine"The Wall Street Journal। ১৯ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৩ 
  • Cooper, Adrienne (১৯৮৩)। "Sharecroppers and Landlords in Bengal, 1930–50: the dependency web and its implications"। Journal of Peasant Studies10 (2–3): 227–55। ডিওআই:10.1080/03066158308438206 
  • Das, Debarshi (২০০৮)। "A relook at the Bengal Famine"। Economic and Political Weekly43 (31): 59–64। 
  • Datta, V. N. (২০০২)। "The Cripps Mission, Its Failure and Significance"। Proceedings of the Indian History Congress। Indian History Congress। 63: 644–52। জেস্টোর 44158132 
  • De, Bikramjit (২০০৬)। "Imperial Governance and the Challenges of War: Management of Food Supplies in Bengal, 1943–44"। Studies in History22 (1): 1–43। ডিওআই:10.1177/025764300502200101 
  • Devereux, Stephen (২০০০)। Famine in the twentieth century (পিডিএফ) (প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন)। IDS Working Paper 105। Brighton: Institute of Development Studies। ২০১৭-০৫-১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  • Devereux, Stephen (২০০৩)। "Sen's Entitlement Approach: Critiques and Counter-critiques"। Oxford Development Studies29 (3): 245–63। ডিওআই:10.1080/13600810120088859 
  • Dyson, Tim (১৯৯১)। "On the demography of South Asian famines part II"। Population Studies45 (2): 279–97। ডিওআই:10.1080/0032472031000145446পিএমআইডি 11622922 
  • Dyson, Tim; Maharatna, Arup (সেপ্টেম্বর ১৯৯১)। "Excess mortality during the Great Bengal Famine: A Re-evaluation"। The Indian Economic & Social History Review28 (3): 281–97। ডিওআই:10.1177/001946469102800303 
  • Greenough, Paul R. (১৯৮০)। "Indian Famines and Peasant Victims: the Case of Bengal in 1943–44"Modern Asian Studies14 (2): 205–35। জেস্টোর 312413ডিওআই:10.1017/s0026749x00007319পিএমআইডি 11614969 
  • Greenough, Paul R. (১৯৮৩)। "Political Mobilization and the Underground Literature of the Quit India Movement, 1942–44"Modern Asian Studies17 (3): 353–86। জেস্টোর 312297ডিওআই:10.1017/s0026749x00007538  Reprinted as Greenough, Paul R. (১৯৯৯)। "Political Mobilization and the Underground Literature of the Quit India Movement, 1942–44"। Social Scientist27 (7/8): 11–47। জেস্টোর 3518012ডিওআই:10.2307/3518012 
  • Hickman, John (২০০৮)। "Orwellian Rectification: Popular Churchill Biographies and the 1943 Bengal Famine"। Studies in History24 (2): 235–243। ডিওআই:10.1177/025764300902400205 
  • Hunt, Joseph Michael (১৯৮৭)। The political study of nature – socio-ecological transformation of a North Bengal region (PhD thesis)। Massachusetts Institute of Technology। hdl:1721.1/74964 
  • Iqbal, Iftekhar (২০০৯)। "Return of the Bhadralok: Ecology and Agrarian Relations in Eastern Bengal, c. 1905–1947"। Modern Asian Studies43 (6): 1325–53। জেস্টোর 40285015ডিওআই:10.1017/s0026749x08003661 
  • Iqbal, Iftekhar (২০১১)। "The Boat Denial Policy and the Great Bengal Famine"। Journal of the Asiatic Society of Bangladesh56 (1–2): 271–82। 
  • Islam, M. Mufakharul (২০০৭a)। "The Great Bengal Famine and the Question of FAD Yet Again"। Modern Asian Studies41 (2): 421–40। ডিওআই:10.1017/S0026749X06002435 
  • Law-Smith, Auriol (১৯৮৯)। "Response and responsibility: The government of India's role in the Bengal famine, 1943"। South Asia: Journal of South Asian Studies12 (1): 49–65। ডিওআই:10.1080/00856408908723118 
  • Learmonth, A. T. A. (১৯৫৭)। "Some contrasts in the regional geography of malaria in India and Pakistan"। Transactions and Papers (Institute of British Geographers)23 (23): 37–59। জেস্টোর 621155ডিওআই:10.2307/621155 
  • Mahalanobis, P. C. (১৯৪৪)। "Organisation of Statistics in the Post-War Period" (পিডিএফ)Proceedings of the National Institute of Sciences of India10 (1): 71। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৮ 
  • Mahalanobis, P. C.; Mukherjea, R.K.; Ghosh, A (১৯৪৬)। "A sample survey of after effects of Bengal famine of 1943"। Sankhya7 (4): 337–400। 
  • Maharatna, Arup (১৯৯২)। The demography of Indian famines: A historical perspective (PhD thesis)। London School of Economics and Political Science (United Kingdom)। 
  • Maharatna, Arup (১৯৯৩)। "Malaria Ecology, Relief Provision and Regional Variation in Mortality During the Bengal Famine of 1943–44."। South Asia Research13 (1): 1–26। ডিওআই:10.1177/026272809301300101 
  • Mishra, A. (২০০০)। "Reviewing the Impoverishment Process: The Great Bengal Famine of 1943"। Indian Historical Review27 (1): 79–93। ডিওআই:10.1177/037698360002700106 
  • Mukerjee, Madhusree (২০১৪)। "Bengal Famine of 1943: An Appraisal of the Famine Inquiry Commission"Economic and Political Weekly49 (11): 71–75। 
  • Mukherji, Saugata (১৯৮৬)। "Agrarian Class Formation in Modern Bengal, 1931–51"। Economic and Political Weekly21 (4): PE11–PE21, PE24–PE27। জেস্টোর 4375249 
  • Ó Gráda, Cormac (২০০৭)। "Making Famine History"Journal of Economic Literature45 (1): 5–38। জেস্টোর 27646746ডিওআই:10.1257/jel.45.1.5 
  • Ó Gráda, Cormac (২০০৮)। "The ripple that drowns? Twentieth‐century famines in China and India as economic history"Economic History Review61 (S1): 5–37। আইএসএসএন 1468-0289ডিওআই:10.1111/j.1468-0289.2008.00435.x 
  • Ó Gráda, Cormac (২০১০)। "Revisiting the Bengal Famine of 1943–44"। History Ireland18 (4): 36–39। জেস্টোর 27823027 
  • Osmani, S. R. (১৯৯৩)। The Entitlement Approach to Famine: An Assessment (পিডিএফ) (প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন)। Helsinki: The United Nations University/World Institute for Development Economics Research। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৮ 
  • Padmanabhan, S. Y. (১৯৭৩)। "The Great Bengal Famine"Annual Review of Phytopathology11: 11–24। ডিওআই:10.1146/annurev.py.11.090173.000303 
  • Prayer, Mario (২০০১)। "The Gandhians of Bengal: nationalism, social reconstruction and cultural orientations 1920-1942"। Revista studi degli orientali71: 1–93, 95–161, 163–231, 233–297, 299–331, 333–363। জেস্টোর 41913060 
  • Rodger, George (১০ আগস্ট ১৯৪২)। "75,000 Miles"Life। Time Inc। পৃষ্ঠা 61–7। আইএসএসএন 0024-3019 
  • Rangasami, Amrita (১৯৮৫)। "Failure of Exchange Entitlements Theory of Famine: A Response"। Economic and Political Weekly20 (41): 1747–52। জেস্টোর 4374919 
  • Ray, Rajat; Ray, Ratna (১৯৭৫)। "Zamindars and Jotedars: A Study of rural politics in Bengal"Modern Asian Studies9 (1): 81–102। ডিওআই:10.1017/S0026749X00004881 
  • Roy, Tirthankar (৩০ ডিসেম্বর ২০০৬)। "Roots of Agrarian Crisis in Interwar India: Retrieving a Narrative"। Economic and Political Weekly41 (52): 5389, 5391–5400। জেস্টোর 4419085 
  • Roy, Tirthankar (২০০৭)। "A delayed revolution: environment and agrarian change in India"। Oxford Review of Economic Policy23 (2): 239–50। ডিওআই:10.1093/oxrep/grm011 
  • Schneer, Richard (১৯৪৭)। "Famine in Bengal: 1943"। Science & Society11 (2): 168–179। 
  • Sen, Amartya (১৯৭৬)। "Famines as Failures of Exchange Entitlements"। Economic and Political Weekly11 (31/33): 1273+1275+1277+1279–1280। জেস্টোর 4364836 
  • Sen, Amartya (১৯৭৭)। "Starvation and exchange entitlements: a general approach and its application to the Great Bengal Famine"। Cambridge Journal of Economics1 (1): 33–59। ডিওআই:10.1093/oxfordjournals.cje.a035349 
  • Sen, Amartya (১৯৮১b)। "Ingredients of Famine Analysis: Availability and Entitlements"। The Quarterly Journal of Economics96 (3): 433–64। জেস্টোর 1882681ডিওআই:10.2307/1882681পিএমআইডি 11615084 
  • Sen, Amartya (১৯৯০)। "Individual freedom as social commitment"। India International Centre Quarterly17 (1): 101–15। আইএসএসএন 0376-9771 
  • Tauger, Mark B. (২০০৩)। "Entitlement, Shortage and the 1943 Bengal Famine: Another Look" (পিডিএফ)Journal of Peasant Studies। Routledge। 31 (1): 45–72। ডিওআই:10.1080/0306615031000169125। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  • Tauger, Mark B. (মার্চ ২০০৯)। "The Indian Famine Crises of World War II"। British Scholar1 (2): 166–96। ডিওআই:10.3366/brs.2009.0004 
  • Tinker, Hugh (১৯৭৫)। "A forgotten long march: the Indian exodus from Burma, 1942"। Journal of Southeast Asian Studies6 (1): 1–15। ডিওআই:10.1017/S0022463400017069 
  • "Tushar Kanti Ghosh, 96, a newspaper baron..."The Baltimore Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২১ 
  • Washbrook, D. A. (১৯৮১)। "Law, State and Agrarian Society in Colonial India"Modern Asian Studies15 (3): 649–721। ডিওআই:10.1017/s0026749x00008714 
  • Weigold, Auriol (১৯৯৯)। "Famine management: The Bengal famine (1942–1944) revisited"। South Asia: Journal of South Asian Studies22 (1): 63–77। ডিওআই:10.1080/00856409908723360 

আরো পড়ুন

সম্পাদনা
  • Abdullah, Abu Ahmed (Autumn ১৯৮০)। "The Peasant Economy in Transition : The Rise of the Rich Peasant in Permanently Settled Bengal"। The Bangladesh Development Studies8 (4): 1–20। জেস্টোর 40794299 
  • Famine Inquiry Commission (আগস্ট ১৯৪৫)। Final Report। Madras: Government of India Press। 
  • Goswami, Omkar (১৯৯০)। "The Bengal Famine of 1943: Re-examining the Data"। The Indian Economic and Social History Review27 (4): 445–463। ডিওআই:10.1177/001946469002700403 
  • Government of Bengal (১৯৪০a)। Report of the Land Revenue Commission, Vol. I। With Minutes of Dissent। Alipore: Bengal Government Press। 
  • Government of Bengal (১৯৪০c)। Report of the Land Revenue Commission, Vol. VI (পিডিএফ)। Replies to the Commission's questionnaire by the Associations concerned with tenants, Bar Associations, etc., and their oral evidence। Alipore: Bengal Government Press। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  • Passmore, R. (১৯৫১)। "Famine in India: an historical survey"। The Lancet258 (6677): 303–307। ডিওআই:10.1016/s0140-6736(51)93295-3পিএমআইডি 14862183 
  • Tauger, Mark B.; Sen, Amartya (২৪ মার্চ ২০১১)। "The Truth About the Bengal Famine"The New York Review of Books 
  • Tauger, Mark B.; Sen, Amartya (১২ মে ২০১১)। "The Bengal Famine"The New York Review of Books 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা