ন্যায়যুদ্ধ তত্ত্ব
ন্যায়যুদ্ধ তত্ত্ব (or Bellum iustum) এমন সব যুদ্ধের বৈধতা দান করে যেগুলো সর্বপ্রকার শোষণ, অত্যাচার, উৎপীড়ন থেকে মুক্তিলাভের জন্য; বৈদেশিক আক্রমণ বৈদেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য এবং সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খল থেকে পরাধীন দেশ ও উপনিবেশসমূহকে মুক্ত করার জন্য চালানো হয়। প্রাচীন রোমান দর্শন ও ক্যাথলিক চিন্তাধারা থেকে নীতিশাস্ত্রের এ বিশেষ তত্ত্বটির উদ্ভব হয়েছে।[১][২] এ তত্ত্বটি মূলত ধর্মতাত্ত্বিক, নীতিশাস্ত্রবিদ ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকগণ অনুশীলন ও চর্চা করেন। এ তত্ত্বমতে যুদ্ধকে অবশ্যই দর্শনগত, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।
উৎপত্তি
সম্পাদনাপ্রাচীন পুরাণ মহাভারতে সর্বপ্রথম ন্যায়যুদ্ধ সম্পর্কে লিখিত অভিমত পাওয়া যায়। পুরাণ মতে, রাজ্যশাসনকারী পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে একজন জিজ্ঞেস করেন, যুদ্ধের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্দশার সৃষ্টি হয়, তাকে কোনভাবে যথাযোগ্য "ন্যায়" বলে ঘোষণা করা যায় কি না। পরবর্তীতে এ প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে ভাইয়েদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত ঘটে এবং শেষে যুদ্ধের কিছু নিয়মকানুন সৃষ্টি করা হয়। যেমন সমতা (রথসমূহ অশ্বারোহী বাহিনীকে আক্রমণ করতে পারবে না, রথের সাথে কেবল রথের যুদ্ধ চলবে, বিপদাপন্ন ব্যক্তিকে আক্রমণ করা যাবে না), ন্যায় পদ্ধতি (বিষাক্ত ও কাঁটাওয়ালা তীর ব্যবহার করা যাবে না), ন্যায় কারণ (প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে যুদ্ধ করা যাবে না), এবং আহত ও যুদ্ধবন্দীদের সাথে সঠিক আচরণ।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://plato.stanford.edu/entries/war/ অ্যারিস্টটল ও সিসারো ছিলেন ন্যায়যুদ্ধ তত্ত্বের প্রথম প্রবক্তা এবং পরবর্তীতে সেন্ট অগাস্টিন ও সেন্ট টমাস আকিনুস এ মতবাদের উন্নয়ন ঘটান
- ↑ "Just War Theory [The Internet Encyclopedia of Philosophy]"। Iep.utm.edu। ২০০৯-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-১৬।
- ↑ Just War in Comparative Perspective
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Just War Theory ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে Oregon State University
- Catholic Teaching Concerning Just War at Catholicism.org
- A Catholic Petition based on the Just War Doctrine
- Jeff McMahon, Rethinking the 'Just War,' Part 1, New York Times.
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |