নেলসন অ্যালগ্রেন
নেলসন অ্যালগ্রেন (২৮ মার্চ ২৮ ১৯০৯ – ৯ মে ১৯৮১) একজন মার্কিন লেখক ছিলেন। সম্ভবত তিনি 'দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম' (উপন্যাস, ১৯৪৯) বইয়ের জন্য বেশি পরিচিত যেটির জন্য তিনি 'জাতীয় গ্রন্থ পুরস্কার' জেতেন।[১] ১৯৫৫ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্রও বের হয়। ১৯৫৩ সালে জন্ম নেওয়া আরেক মার্কিন লেখক 'হ্যারল্ড অগেনব্রাউম' যিনি নেলসনকে নিয়ে গবেষণা করেছেন বলেন যে, '১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৫০ দশকের শুরুর দিকে নেলসন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা লেখক ছিলেন।' নেলসনের সঙ্গে ফরাসি লেখিকা সিমন,দ্য বোভোয়ারের প্রেম ও যৌনসম্পর্ক ছিল এবং সিমনের দ্য ম্যান্ডারিন্স (১৯৫৪) উপন্যাসে নেলসনের চরিত্রের মতোই এক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়, যে উপন্যাসটির ঘটনাস্থল ছিল প্যারিস এবং শিকাগো।[২][৩][৪]
নেলসন অ্যালগ্রেন | |
---|---|
জন্ম | ডেট্রয়েট, মিশিগান , যুক্তরাষ্ট্র | ২৮ মার্চ ১৯০৯
মৃত্যু | মে ৯, ১৯৮১ লং আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক | (বয়স ৭২)
পেশা | লেখক |
ভাষা | ইংরেজি |
জাতীয়তা | মার্কিন |
ধরন | উপন্যাস, ছোট গল্প |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | National Book Award 1950 |
দাম্পত্যসঙ্গী | আমান্ডা কন্টোউইক্জ (বিয়েঃ ১৯৩৭; পরে বিচ্ছেদ) বেটি এ্যান জোন্স (বিয়েঃ ১৯৬৫ - ১৯৬৭; বিচ্ছেদ) |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাএ্যালগ্রেন জন্মেছিলেন মিশিগানের ডেট্রয়েটে গোল্ডি কালিশার এবং গার্সন আব্রাহাম দম্পতির সন্তান হিসেবে, তার জন্ম নাম ছিল নেলসন এ্যালগ্রেন আব্রাহাম।[৫] তিন বছর বয়সে নেলসন তার মাতা-পিতার সঙ্গে শিকাগোর ইলিনয়েসে আসেন, তারা ওখানে শ্রমিক শ্রেণী হিসেবে বাস করা শুরু করেন, তারা ছিলেন শিকাগোর 'সাউথ সাইড' এ। তার বাবা ছিলেন সুইডেনের এক ইহুদী ধর্ম গ্রহণকারীর সন্তান এবং মাতা ছিলেন জার্মান ইহুদী। এই মহিলার 'সাউথ সাইড' এ একটি চকলেটের দোকান ছিল। যখন নেলসনের বয়স আট বছর তখন তার বাবা-মা শিকাগোর 'নর্থ সাইড' এ চলে আসেন এবং এখানে ৪৮৩৪ 'এন. টয় স্ট্রীট' এ থাকতেন যেটি ছিল 'আলবানি পার্ক' এর প্রতিবেশী এলাকা। নেলসনের পিতা গাড়ি মেকানিক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন 'উত্তর কেডজী এভিনিউ' তে।[৬][৭] নেলসন তার রচনা শিকাগোঃ নির্মানাধীন শহর তে তার অতীতের জীবন মনে করে বলেন যে, প্রতিবেশী শিশুরা তাকে উত্ত্যাক্ত করত।[৮] শিকাগোর পাবলিক স্কুলগুলোতে শিক্ষা লাভ করেন নেলসন, হিববার্ট হাই স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে তিনি 'ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়' এ ভর্তি হন , এখান থেকে তিনি সাংবাদিকতার ওপর ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন (১৯৩১ এ)।[৬] ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি 'দৈনিক ইলিনি' পত্রিকায় লেখতেন যেটি ছিল ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংবাদমাধ্যম।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑
"National Book Awards – 1950". National Book Foundation. Retrieved 31 March 2012.
(With essays by Rachel Kushne and Harold Augenbraum from the Awards 60-year anniversary blog.) - ↑ Springer, Mike। "Nelson Algren, the Exiled King"। Open Culture। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ Liukkonen, Petri। "Nelson Algren"। Books and Writers (kirjasto.sci.fi)। Finland: Kuusankoski Public Library। ৫ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "1950" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে. Harold Augenbraum and staff. 60 Years of Honoring Great American Books (book-a-day blog), June 18, 2009. National Book Foundation. Retrieved 2012-03-31.
Augenbraum was the executive director of the National Book Foundation, marking the 60-year anniversary of the National Book Award for Fiction, as resumed after the war. Algren won the first one. - ↑ Bettina Drew। Nelson Algren: A Life on the Wild Side। Books.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-২২।
- ↑ ক খ "Nelson algren biography and notes"। Biblio.com। ৬ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১।
- ↑ Louise Frank (২৮ মার্চ ২০০৯)। "Happy 100th Birthday Nelson Algren"। WFMT। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১।
- ↑ Jeff Huebner (১৯ নভেম্বর ১৯৯৮)। "Full Nelson"। Chicago Reader। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১।
- ↑ Illio। Champaign, Illinois: University of Illinois। ১৯৩১। পৃষ্ঠা 46।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- গ্রন্থাগারে নেলসন অ্যালগ্রেন সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)
- Alston Anderson & Terry Southern (Winter ১৯৫৫)। "Nelson Algren, The Art of Fiction No. 11"। The Paris Review।
- Flanagan, Richard (২৯ জানুয়ারি ২০০৬)। "Prophet of the neon wilderness"। The Daily Telegraph। London।
- The Nelson Algren Papers ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে The Ohio State University Libraries Rare Books and Manuscripts Collection
- NelsonAlgren.org
- Algren: The Movie
- Writers Influenced By Algren
- Clips of Barry Gifford and Willem Dafoe reading from Algren's work
- Nelson Algren Papers ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে at The Newberry Library
- Nelson Algren quotes on Twitter
- Mim Udovitch - a contributing editor for Esquire (ডিসেম্বর ৬, ১৯৮৮)। "Hot and Epistolary: 'Letters to Nelson Algren', by Simone de Beauvoir"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১২।
- Louis Menand (সেপ্টেম্বর ২৬, ২০০৫)। "Stand By Your Man: The strange liaison of Sartre and Beauvoir (Book review of new edition of The Second Sex by Simone de Beauvoir)"। The New Yorker। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১২।
- The Man With The Golden Pen[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে নেলসন অ্যালগ্রেন (ইংরেজি)