নিশান-ই-হায়দার
নিশান-ই-হায়দার (উর্দু: نشان حیدر) (abbreviated as "NH") পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদক। উর্দু ভাষায় নিশান-ই-হায়দার অর্থ "সিংহের প্রতীক"। "হায়দার" শব্দটি ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর গুনবাচক বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
নিশান-ই-হায়দার نشان حیدر | |
---|---|
দেশ | পাকিস্তান |
পুরস্কারদাতা দেশ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির নামে পাকিস্তান সরকার | |
ধরন | পাকিস্তান সামরিক মেডাল এবং ফিতে (অলংকরণ) |
যোগ্যতা | শুধুমাত্র সামরিক বাহিনী |
পুরস্কৃত হওয়ার কারণ | "... যুদ্ধক্ষেত্রে ভূমিতে বা সমুদ্রে বা আকাশে শত্রুর সম্মুখীন হয়ে সর্বোচ্চ ও সুষ্পষ্ট সাহস বা দুঃসাহসী বীরত্ব এবং আত্মাহুতির জন্য".[১] |
মর্যাদা | বর্তমান সময়ে প্রদত্ত |
পরিসংখ্যান | |
প্রতিষ্ঠিত | ১৬ মার্চ ১৯৫৭ [২] (১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সাল থেকে প্রযোজ্য) |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৬ মার্চ ১৯৫৭ – Indo-Pakistani War of 1947, Captain মুহাম্মাদ সারওয়ার, Pakistan army |
শেষ পুরস্কৃত | ১৫ জুলাই ১৯৯৯ – Kargil War, Havildar লালাক জান, Pakistan army |
সর্বমোট পুরস্কৃত | ১০ |
মরনোত্তর পুরস্কারসমূহ |
১০ |
পূর্ববর্তী | |
পরবর্তী (উর্ধতন) | নেই |
সমমান | হিলাল-ই-কাশ্মীর |
পরবর্তী (অধীনস্থ) | Hilal-i-Jur'at Sitara-i-Jur'at Tamgha-i-Jur'at |
নিশান-ই-হায়দার পদকটির জন্য শুধুমাত্র পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিবেচনা করা হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে শক্রুর সম্মুখীন হয়ে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগ প্রদর্শনের স্বীকৃতস্বরূপ এই পদক দেওয়া হয়। এই পদকটি ব্রিটিশ ভিক্টোরিয়া ক্রস এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেডাল অফ অনারের সমতুল্য। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ জন নিশান-ই-হায়দার পদকে ভূষিত হয়েছেন।
ইতিহাস
সম্পাদনাপাকিস্তান প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরের পরে ১৯৫৭ সালের ১৬ মার্চ পাকিস্তান সরকার নিশান-ই-হায়দার পদকটি চালু করেন। যদিও ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর থেকেই এটি প্রযোজ্য হয়। নিশান-ই-হায়দার সকল প্রকার সামরিক এবং বেসামরিক পদকের তুলনায় উচ্চতম এবং পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পদক। এখন পর্যন্ত ১০ জন নিশান-ই-হায়দার পদক প্রাপ্তদের মধ্যে ৯ জন পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং একজন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সদস্য।
পদক প্রাপ্তদের তালিকা
সম্পাদনা১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে নিশান-ই-হায়দার মেডেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের মধ্যে নয়জন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য এবং একজন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সদস্য। নিচে নিশান-এ-হায়দার প্রাপ্তদের একটি তালিকা দেয়া হলো।
S. No. | নাম | Unit and service | Rank | Conflict | Date of death |
---|---|---|---|---|---|
১ | শহীদ রাজা মুহাম্মাদ সারওয়ার | ২/১ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | ক্যাপ্টেন | ১৯৪৮ Indo-Pak War | ২৭ জুলাই ১৯৪৮ |
2 | শহীদ তুফায়েল মোহাম্মাদ | পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | মেজর | 1958 Indo-Pak Border Skirmish | ৭ আগস্ট ১৯৫৮ |
৩ | শহীদ রাজা আজিজ ভাট্টি | ১৭ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | মেজর | 1965 Indo-Pak War | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ |
৪ | শহীদ রশিদ মিনহাস | নং ২ Fighter Conversion Unit, পাকিস্তান বিমানবাহিনী | পাইলট অফিসার | Pre-1971 Bangladesh War of Independence | ২০ আগস্ট ১৯৭১ |
৫ | শহীদ রানা শাব্বির শরিফ | ৬ ফ্রন্টিয়ার ফোরস রেজিমেন্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | মেজর | 1971 Bangladesh War of Independence | ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ |
৬ | শহীদ রাজা মুহাম্মাদ হুসেইন জানজুয়া | ২০ লেন্সার (Armoured Corps), পাকিস্তান সেনাবাহিনী | সারওয়ার | 1971 - Bangladesh War of Independence | ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ |
৭ | শহীদ মুহাম্মাদ আকরাম | ৪ ফ্রন্টিয়ার ফোরস রেজিমেন্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | মেজর | 1971 - Bangladesh War of Independence | ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ |
৮ | শহীদ মুহাম্মাদ মাহফুজ | ১৫ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | ল্যান্সনায়েক | 1971 - Bangladesh War of Independence | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ |
9 | শহীদ কর্নেল শের খান | সিন্ধু রেজিমেন্ট/১২ নর্দান লাইট ইনফ্যান্ট্রি, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | ক্যাপ্টেন | 1999 Indo-Pak Kargil Conflict | ৭ জুলাই ১৯৯৯ |
১০ | শহীদ লালাক জান | 12 Northern Light Infantry, পাকিস্তান সেনাবাহিনী | হাবিলদার | 1999 Indo-Pak Kargil Conflict | ৭ জুলাই ১৯৯৯ |
∗ ১৯৪৯ সালের ১৪ মার্চ আজাদ জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রতিরক্ষা কাউন্সিল নায়েক শহীদ সাইফ আলী জানজুয়াকে হিলাল-ই-কাশ্মীর পদবীতে সম্মানিত করে এবং ৩০ নভেম্বর ১৯৯৫ তারিখে পাকিস্তান সরকার একটি গেজেটের মাধ্যমে হিলাল-ই-কাশ্মীর পদককে নিশান-ই-হায়দার পদকের সমতুল্য বলে ঘোষণা করে।