নিরঞ্জন সেনগুপ্ত

ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী

নিরঞ্জন সেনগুপ্ত (২৬ জুলাই, ১৯০৪ - ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি আইএসসি পরীক্ষার পূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে চার বছর কারাবরণ করেন। ১৯২৯ সালে কলকাতা কংগ্রেসের সময়ে বিভিন্ন বিপ্লবী দলের তরুণ কর্মীদের নিয়ে এক বিদ্রোহী দল গড়ে তোলেন এবং অস্ত্রসংগ্রহ ও বোমা তৈরির কাজে ব্যাপৃত হয়ে পড়েন। মেছুয়া বাজার বোমা মামলায় তার সাত বছর দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।[] আন্দামানে থাকাকালে কমিউনিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী হন। ১৯৩৮ সালে মুক্তি পেয়ে পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন ও ই.বি. রেলের শ্রমিক সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কিছুদিন যুগান্তর দৈনিক পত্রিকার সহসম্পাদক ছিলেন। ১৯৪২ সালে জনযুদ্ধ পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডে সদস্য মনোনীত হন। ১৯৫৭ সালে বিধানসভার সভ্য নির্বাচিত হয়ে (বীজপুর-চব্বিশ পরগনা) সভার কমিউনিস্ট ব্লকের সম্পাদকীয় কাজ করেন। ১৯৬২ সালে টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। এরপর কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হলে তিনি মার্কসবাদী দলে যোগ দেন। ১৯৬৭ সালে এই দলের প্রার্থীরূপে বিধানসভার সদস্য হয়ে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় উদ্বাস্তু ও ত্রাণমন্ত্রী হন। ১৯৬৯ সালে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ঐ একই দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালে কলকাতায় তার মৃত্যু হয়।[]

নিরঞ্জন সেনগুপ্ত
বিপ্লবী নিরঞ্জন সেনগুপ্ত
জন্ম২৬ জুলাই ১৯০৪
মৃত্যু৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯

জন্ম শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

নিরঞ্জন সেনগুপ্তের জন্ম বরিশাল জেলার ভারুকাঠি নারায়ণপুরে। তার পিতার নাম সর্বানন্দ সেনগুপ্ত এবং মাতার নাম কাদম্বিনী। ছাত্রাবস্থায় তিনি অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন। ১৯২০ সালে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতা রিপন কলেজে পড়ার সময় ১৯২১ সালে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯২৩ সালে আই.এস.সি. পাস করে বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলার জন্য বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে ভর্তি হন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮৩-৮৪।
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৬২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬