নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণ

নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণগণ বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয় মালয়ালমভাষী ব্রাহ্মণ বর্ণের অন্তর্গত৷ তাদের সিংহভাগই বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্যে এবং বাকীরা পার্শ্ববর্তী তামিলনাড়ুর পশ্চিমাঞ্চলে বাস করেন৷ তারা স্থানীয়ভাবে নাম্পুতিরি বা নাম্বূদিরি নামেও পরিচিত৷

১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে অঙ্কিত একটি চিত্রে ঐতিহ্যবাহী টিকিযুক্ত নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণের বিবরণ

১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে কেরালায় ভূমি সংশোধন আইন প্রযোজ্য হওয়ার আগে অবধি ঐতিহ্যবাহী সামন্ততান্ত্রিক উচ্চবর্ণের নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরা মালাবার উপকূলের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের জমিদারী ও আধিপত্য স্থাপন করেছিলেন৷[] গৃৃহাভ্যন্তরীন প্রথাগুলির মধ্যে শ্রৌতসূত্র এবং অন্যান্য ধর্মীয় গোঁড়া প্রথাগুলি বংশপরম্পরায় পরিচালিত করার জন্য নাম্বুদ্রীরা বিশেষ উল্লেখযোগ্য৷[] প্রখ্যাত বিশ্লেষক সিরিয়াক পুলাপিল্লির মতে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরা ধর্মসংক্রান্ত, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কেরালার কৃষ্টিগত প্রভৃতি সকলক্ষেত্রেই স্থানীয় অন্যান্য বর্ণের লোকেদের ওপর নিজেদের আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করতেন৷[]

ইতিহাস

সম্পাদনা
 
পরশুরামের মালাবার অঞ্চল আবিষ্কারের সাথে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের কেরালার দিকে অভিপ্রয়াণের চিত্র

শ্রীবিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের দক্ষিণ ভারতে মালাবার অঞ্চল পুণরুদ্ধারের পর নর্মদা, কৃষ্ণা এবং কাবেরী নদীর তীরবর্তী অঞ্চল থেকে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরা দক্ষিণমুখে বসতিস্থাপন শুরু করে৷[] জনশ্রুতি অনুসারে পরশুরাম তার হাত থেকে ধনুকটি রাগের বশে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিলে এই অঞ্চলটির সৃৃৃষ্টি হয়৷[] যদিও এটা সকলেরই জানা যে, বর্তমানে সে অঞ্চলটি কেরালা নামে পরিচিত তা চের সাম্রাজ্যের মালিকানাধীন ছিলো৷ এই অঞ্চলের প্রাচীন মানবজাতির বিজ্ঞানসম্মত বিবরণ খুব একটা স্পষ্টভাবে পাওয়া যায় না৷[] প্রখ্যাত নৃৃতত্ত্ববিদ হেইকি মোজার এবং পল ইয়ঙ্গার লক্ষ্য করেন যে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের মালাবারে আগমন সম্ভবত খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে হয়েছিলো, অন্তত ঐ সময়ে শাসক রাজবংশের নথিপত্রে ব্রাহ্মণদের জমিদান সম্পর্কে লিখিত প্রমাণ এই তথ্যটিকে বিবৃৃত করে৷[] ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারের মতে, স্থানীয় শাসকগোষ্ঠী ও মহাসচিবরা তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতেন যেন তারা শাসককুল ও রাজ্যবাসীর প্রার্থনা দেবতার কাছে বৈধতা পাওয়ার লক্ষ্যে বৈদিক রীতিতে পৌরোহিত্য করেন এবং এর বিপরীতে তারা ব্রাহ্মণদের জমি, মুদ্রা ও করদান করতেন৷[] পর্যাপ্ত জমি ও অর্থ-রত্ন পাওয়ার পর তারা পুরো অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক জীবনে ব্যপকহারে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়৷ পরবর্তীতে চের রাজবংশ ও চোল রাজবংশের মধ্যে যুদ্ধের সময়ে এই নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরাই বৈদিক শিক্ষাঙ্গনও গুরুকুলগুলোকে সেনানিবাস ও শিবিরে পরিণত করে স্থানীয় রাজাদের ব্যাপক প্রভাবিত করতেন৷[]

প্রাচীন ইতিহাস

সম্পাদনা

মালয়ালমভাষী নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরা "ইল্লম" বা তাদের জন্য বরাদ্দ গৃৃহ থেকে ধীরে ধীরে শাসকগোষ্ঠীর সহায়তায় বংশ পরম্পরায় ফসলি জমির মালিকানা পাওয়া শুরু করে এবং বছরের পর বছর শতাব্দী ধরে তা অত্তরোত্তর বৃৃদ্ধি পেতে থাকে৷ বিশ্লেষক মোজার ও ইয়ঙ্গারের মতে, তারা বিস্তীর্ণ জমির ওপর অট্টালিকাসমান মন্দির নির্মান করা শুরু করে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বর্ণপ্রথা ও তার নিয়মাবলী প্রচার করা শুরু করে৷ মালয়ালমের মতো একটি দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় ভাষাতে সংস্কৃৃতের একটি বিশাল প্রভাব পড়েছিলো এই নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের প্রভাবেই৷ তারাই স্থানীয় তামিল ভাষার পশ্চিমা প্রকারের সাথে সংস্কৃৃতের মিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন৷[][]

মধ্যযুগীয় কালে কেরালায় নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরা একপ্রকার প্রায় রাজ্যশাসনই করতেন, এটাই ছিলো তৎকালীন অন্যতম কেরালার বৈশিষ্ট্য৷ তারা সমস্ত মন্দিরের সর্বেসর্বা এবং তার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির ভূস্বামী হয়ে ওঠেন৷ [১০] নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের সাথে রাজ্যের ছোটো-বড় শাসকগোষ্ঠীর বেশ সখ্য ছিলো৷ তারা "সংবন্ধম" অনুষ্ঠান পালন করতেন, যেখানে তারা কেরালার শাসকগোষ্ঠী, উচ্চবিত্ত ও সেনাবাহিনীর প্রধান ঐতিহ্যবাহী নাইয়ার উপাধিধারী উচ্চবর্ণের ক্ষত্রিয় নারীকে বিবাহ করতেন৷ এই বিবাহমিলনের ফলে জাত সন্তানরা নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণগোষ্ঠীর সদস্য থাকতেন না বরং তারা তাদের মাতৃকুল এবং মাতৃৃকুলের বর্ণের প্রতি অনুগত থাকতেন৷[১০] এরকম অসবর্ণ বিবাহের মিলনের ফলে কেরালার প্রায় সকল রাজারাই নাইয়ার বলে অভিহিত হতো, যাদের জীবতাত্ত্বিক পিতা ছিলেন নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরাই৷ এই ধরনের প্রথা সমাজে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের সমাজের রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃৃতিকভাবে ব্যপক প্রভাব বিস্তার করতে অনুকূল পরিবেশ প্রদান করে৷[১০]

নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের মধ্যে পিতৃৃকুলজ বংশপরম্পরায় ও যথাযথ অগ্রজাধিকার সূত্রে জমির মালিকানা হস্তান্তর হতো৷[] আবার ঐ একই পরিবারে অনুজ সদস্যরা, যারা মূলত অসবর্ণ মিলনে জন্মলাভ করেছিলেন নাইয়ার মায়ের কোলে তারা তাদের মাতুলক্রমের বর্ণব্যবস্থাগুলি মেনে চলতো৷ নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণ পরিবারগুলি জনসাধারণকে এভাবেই প্রভাবিত করতে সক্ষম হন৷[] ঐতিহাসি ই. কে. পিল্লাই প্রত্যনুমান করেন যে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের আশেপাশে নাম্বুদ্রীরাই ঐ অঞ্চলে আগে থেকে চলে আসা পিতৃৃতান্ত্রিক নিয়মগুলির কিয়দাংশ পরিবর্তন করে মাতৃৃকুলভিত্তিক বহুভর্তৃকত্ব রীতি চালু করেন৷ আবার সমাজবিদ রাণ্ডাল কলিন্স মনে করেন যে উভয়ই একে অপরর ওপর কিছু রীতিনীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং সম্ভবত সমাজে প্রভুত্ব বিস্তারের জন্য রাজনৈতিক বিবাহ প্রতিযোগিতা, তার অনুকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণই ছিলো এই মিশ্রসংস্কৃৃতির কারণ৷ অন্যান্য একাধিক বিদ্বজ্জনের মতে ঐ অঞ্চলে মাতৃৃকুলভিত্তিক নিয়মাবলী নাম্বুদ্রীদের আসার আগে থেকেই ছিলো এবং এর প্রমাণস্বরূপ তারা পাণ্ড্য রাজবংশের রাণীদের কথা উল্লেখ করেন৷[]

আধুনিক ইতিহাস

সম্পাদনা

নাম্বুদ্রীরা পরিবর্তনশীল পরিবেশে স্থানীয়দের রীতিনীতি আচার আচরণকে অঙ্গীভূত করতে অস্বীকার করতো৷ অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুর দিক অবধি তারা তাদের পুরানোসত্ত্বার বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে সচেষ্ট হয়৷ বিশ্লেষক সুসান বেইলির অনুমান অনুসারে ১৭২৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নাম্বুদ্রীদের সামাজিক গুরুত্ব হ্রাস পেতে থাকে৷ এই সময়কালে মার্তাণ্ড বর্মা দক্ষিণ কেরালাতে ত্রিবাঙ্কুর রাজ্য স্থাপনা করেন এবং তার রাজ্যে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের বদলে পার্শ্ববর্তী তামিলনাড়ু অঞ্চল থেকে মারাঠি দেশস্থ ব্রাহ্মণদের আমন্ত্রণ পাঠান৷ তিনি আরো মনে করেন যে কেরালার রাজার এই সিদ্ধান্ত নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের সাথে রাজাসহ অন্যান্য ছোটো শাসকবর্গের সম্পর্কের অবনতি ঘটায়৷ যদিও বাকীরা মনে করেন মার্তাণ্ডবর্মার প্রভাব রাজ্যে খুব স্বল্প সময়ের জন্য ছিলো এবং এই অবনতির মূল কারণ ছিলো ভারতের ব্রিটিশ ঔপনিবেশীকরণ৷ কারণ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের আশেপাশে কোলিন মেকৌলয় এবং জন মনরো এই সময়ে কেরালাতে শাসনভার গ্রহণ করেন৷ ব্রিটিশরা খ্রিস্টান মিশনারীদের উৎসাহ দিতেন, বিশেষ করে তারা পাশ্চাত্য শিক্ষা এবং আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলি স্থানীয়দের বোঝাতেন ফলে ভূমি সংস্কার ও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন দিক থেকে কেরালায় নাম্বুদ্রী ও নাইয়ারদের প্রভাবিত করে৷ তাদের পরিবর্তিত ধর্মীয়, সামাজিক ও বিবাহের রীতিনীতার ওপরও এর প্রভাব স্পষ্ট৷ চিরাচরিত পরম্পরায় জীবনশৈলী পরিবর্তনের ধারা তাদের মধ্যেই প্রথম পরিলক্ষিত হয় এবং এর সাথে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে শুরু করে, যার প্রকৃৃষ্ট প্রমাণ নাইয়ার বংশোদ্ভুত ঈলবা সম্প্রদায়ের মানুষ৷[]

ধর্মীয় প্রথা

সম্পাদনা
 
শ্রৌতযজ্ঞের প্রতিপাদক হিসাবে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণদের অবদান

বৈদিক শিক্ষা

সম্পাদনা

নিম্নোক্ত বৈদিক শাখাগুলি নাম্বুদ্রীরা পালন করতেন৷[১১]

১) ঋকবেদের "শাকল" খণ্ড, ঋকবেদের একমাত্র এই সংশোধনীটিই ভারতে এখনো অবধি চালু রয়েছে৷ নাম্বুদ্রীরা শ্রৌতসূত্রের "আশ্বলায়ন" এবং "শাঙ্খায়ন" উভয় প্রকারই চর্চা করতেন৷ পরবর্তীকালে ঋকবেদের কৌষীতকি প্রথাটি তারা বর্জন করে৷

২) যজুর্বেদ থেকে শ্রৌত সূত্রের তৈত্তিরীয় শাখার "বৌধায়ন", "বাধূলা", এবং "অগ্নিবেশ্য" তারা অধ্যয়ন করতেন৷

৩) সামবেদ থেকে জৈমিনীয় শাখার বিভিন্ন ধারাগুলিকে তারা অনুসরণ করতেন যা ভারতের অন্য জায়গার ব্রাহ্মণদের মধ্যে একমাত্র সোলিয় ব্রাহ্মণদের মধ্যে দেখা যায়৷

অগ্নিচয়ন

সম্পাদনা

অগ্নিচয়ন হলো একটি প্রাচীন বৈদিক অনুষ্ঠান ও শাস্ত্রিয় আচার পালন, যা বারো দিনব্যপী চলতো৷ ফ্রিট্স স্টাল এবং রবার্ট গার্ডনারের মতে এটিই ছিলো অন্যতম প্রাচীন ভারতীয় প্রথাগুলির মধ্যে একটি যা বিশুদ্ধ রূপে নাম্বুদ্রী ব্রাহ্মণরা পালন করতেন অন্তত ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তো অবশ্যই৷ এই রীতিটি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মৃৃতপ্রায় ফলে সামাজিক ভাবে এই প্রথাটি কেরালা থেকেও আস্তে আস্তে লুপ্ত হতে থাকে৷[১২] ডেভিড নাইপ লক্ষ্য করেন অঞ্চলভেদে একই ধরনের প্রথা অন্ধ্রপ্রদেশেও বহু শতাব্দী ধরে পালিত হয়ে এসেছে৷[১৩]

গার্হস্থ্য কৃষ্টি

সম্পাদনা

বেশভূষা

সম্পাদনা

পরম্পরাগতভাবে তারা একটি সাধারন কাপড় দিয়ে কোমোরের চারিদিক থেকে নীচ অবধি আবৃৃত রাখতেন যা স্থানীয়ভাবে তোর্তু বা তোর্তুমুণ্ডু নামে পরিচিত৷ ভ্রমনকালে তারা অতিরাক্ত একটি বস্ত্র আবৃৃত করতেন একত্রে এদুটি বস্ত্রম নামে পরিচিত৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

নাম্বুদ্রীরা তাকে ঐতিহ্যবাহী কেশস্তবক বাঁধতে কুটুমি বা শিখা ব্যবহার করতেন, যা তামিলনাড়ুর দীক্ষিতরদের অনুরূপ৷[১৪][১৫]

কুটিয়াট্টম

সম্পাদনা

কুটিয়াট্টম হলো একটি সংস্কৃৃতমূল যাত্রাপালার মতো উপস্থাপনা, যা মূলত কেরালাতে দেখতে পাওয়া গেলেও সারা ভারতে এর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে৷ এই যাত্রায় ঐতিহ্যগত নাম্বুদ্রীরাই অংশগ্রহণ করে থাকেন৷

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. P., Radhakrishnan (ডিসেম্বর ১৯৮১)। "Land Reforms in Theory and Practice: The Kerala Experience"। Economic and Political Weekly16 (52): A129–A137। জেস্টোর 4370526 
  2. T.P., Mahadevan; Fritz, Staal (২০০৩)। "The Turning-Point in a Living Tradition somayāgam 2003"Electronic Journal of Vedic Studies10 (1): No 1 (2003): Electronic Journal of Vedic Studies। ডিওআই:10.11588/ejvs.2003.1.743। ২৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. Pullapilly, Cyriac K. (১৯৭৬)। "The Izhavas of Kerala and their Historic Struggle for Acceptance in the Hindu Society"। Smith, Bardwell L.। Religion and Social Conflict in South Asia। International studies in sociology and social anthropology। 22। Netherlands: E. J. Brill। পৃষ্ঠা 26–30। আইএসবিএন 978-90-04-04510-1। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১১ 
  4. Mathew, George (১৯৮৯)। Communal Road To A Secular Kerala। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 23–25। আইএসবিএন 978-81-7022-282-8 
  5. Moser, Heike; Younger, Paul (২০১৩)। "Kerala: Plurality and Consensus"। Berger, Peter; Heidemann, Frank। The Modern Anthropology of India: Ethnography, Themes and Theory। Routledge। পৃষ্ঠা 169। আইএসবিএন 978-1-13406-118-1 
  6. Moser, Heike; Younger, Paul (২০১৩)। "Kerala: Plurality and Consensus"। Berger, Peter; Heidemann, Frank। The Modern Anthropology of India: Ethnography, Themes and Theory। Routledge। পৃষ্ঠা 170। আইএসবিএন 978-1-13406-118-1 
  7. Moser, Heike; Younger, Paul (২০১৩)। "Kerala: Plurality and Consensus"। Berger, Peter; Heidemann, Frank। The Modern Anthropology of India: Ethnography, Themes and Theory। Routledge। পৃষ্ঠা 172–178। আইএসবিএন 978-1-13406-118-1 
  8. Collins, Randall (১৯৮৬)। Weberian Sociological Theory। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 305। আইএসবিএন 978-0-52131-426-8 
  9. Shanmugam, S. V. (১৯৭৬)। "Formation and Development of Malayalam"। Indian Literature19 (3): 5–30। জেস্টোর 24157306 
  10. Prange, S.R. (২০১৮)। Monsoon Islam: Trade and Faith on the Medieval Malabar Coast। Cambridge Oceanic Histories। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 167। আইএসবিএন 978-1-108-34269-8 
  11. Mahadevan, Thennilapuram P. (২০১৬-০১-২৯)। "On the Southern Recension of the Mahābhārata, Brahman Migrations, and Brāhmī Paleography"Electronic Journal of Vedic Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 15 (2): 17–18। আইএসএসএন 1084-7561ডিওআই:10.11588/ejvs.2008.2.327। ২০২২-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৮ 
  12. Moser, Heike; Younger, Paul (২০১৩)। "Kerala: Plurality and Consensus"। Berger, Peter; Heidemann, Frank। The Modern Anthropology of India: Ethnography, Themes and Theory। Routledge। পৃষ্ঠা 173। আইএসবিএন 978-1-13406-118-1 
  13. Knipe, David M. (২০১৫)। Vedic Voices: Intimate Narratives of a Living Andhra Tradition। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 978-0-19939-769-3 
  14. Mahadevan, Thennilapuram P. (২০১৬-০১-২৯)। "On the Southern Recension of the Mahābhārata, Brahman Migrations, and Brāhmī Paleography"Electronic Journal of Vedic Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 15 (2): Year: 2014

    আইএসএসএন 1084-7561ডিওআই:10.11588/ejvs.2008.2.327। ২০২২-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৮
     
  15. Hiltebeitel, Alf (২০১৫)। "Introducing the Mahābhārata"। Religious Studies Review (ইংরেজি ভাষায়)। 41 (4): 153–174। আইএসএসএন 0319-485Xডিওআই:10.1111/rsr.12271