নানজানগুড় তিরুমালাম্বা

নানজানাগুডু তিরুমালাম্বা (নাঞ্জনাগুড তিরুমালাম্বা নামেও পরিচিত) ছিলেন প্রথম যুগের কন্নড় লেখক, সংবাদপত্র সম্পাদক, প্রকাশক এবং মুদ্রক যিনি নারীদের উন্নতির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি ১৮৮৭ সালের ২৫ মার্চ, ব্রিটিশ ভারতের অধীনে পূর্ববর্তী মহীশূর রাজ্যের নাঞ্জনাগুডুতে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ভেঙ্কটকৃষ্ণ আয়েঙ্গার ছিলেন একজন আইনজীবী এবং তার মা ছিলেন আলামেলাম্মা। তাদের সময়ের শ্রীবৈষ্ণবদের মতোই তার মাতৃভাষা ছিল তামিল। কন্নড় ভাষার প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল। তিনি যে শহরে বাস করতেন এটি ছিল সেই শহরের ভাষা। তিনি কন্নড়, তামিল এবং তেলুগু ভাষা জানতেন। তিনি ১৯৮২ সালের ৩১ আগস্ট, ভারতের কর্ণাটকের মহীশূরের নঞ্জনগুড়ে মারা যান।

পুরস্কার, সম্মাননা, সংবর্ধনা

সতী হিতৈষিনী প্রকাশনা ঘর থেকে প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম, যেমন "মাতৃনন্দিনী", "চন্দ্রবদনা", "রামানন্দ" মাদ্রাজ স্কুল বুক অ্যাণ্ড লিটারেচার সোসাইটি থেকে পুরস্কার পেয়েছে। কর্ণাটকের বিদ্যাবর্ধক সংঘ "রামানন্দ" এবং "পূর্ণকলা" নামক রচনাগুলিকে সম্মানিত করেছে। মহীশূর, মাদ্রাজ, বোম্বে সরকার তিরুমালাম্বার বেশ কিছু কাজকে পুরস্কৃত করেছিল। ১৯৮০ সালে, রাজ্য সাহিত্য একাডেমী তিরুমালাম্বাকে সম্মানিত করে।

১৯১৭ সাল থেকে প্রায় দুই দশক ধরে, তিরুমালাম্বার সাহিত্যকর্মগুলি মাদ্রাজ, মহীশূর এবং বোম্বে রাজ্যের স্কুলগুলিতে পাঠ্য বই হয়ে ওঠে।

তিরুমালাম্বা পুরস্কার

তিরুমালাম্বাকে অমর করার জন্য, সি এন মঙ্গলা "শাশ্বতী" প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি একজন ভাল মহিলা লেখককে "তিরুমালাম্বা পুরস্কার" প্রদান করে।

উপন্যাস

• সুশীল
• নাভা
• বিদ্যাউল্লতা
• বিরাগিনী
• দাক্ষকন্যে (গুপ্তচর)
• মণিমালা

নাটক

• সাবিত্রী চরিত্রে
• জানকী কল্যাণ

আরো দেখুন

• ভারতীয় সাহিত্য
• ভারতীয় লেখকদের তালিকা
• ভারতীয় মহিলা লেখকদের তালিকা

বহিঃসংযোগ

• তিরুমালাম্বা: দূরদর্শী কন্নড় ঔপন্যাসিক
• নানজানগুদ তিরুমালাম্বা, একজন বিধবা যিনি একজন লেখক, প্রকাশক এবং আরও অনেক কিছু হয়েছিলেন এবং সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন