নশিপুর রেল সেতু
নশিপুর রেল সেতু বা নশিপুর - আজিমগঞ্জ রেল সেতু পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভাগীরথী নদী অতিক্রম করে মুর্শিদাবাদ রেলস্টেশন এবং আজিমগঞ্জ জংশন রেলওয়ে স্টেশন কে সংযুক্ত করে। ৭৮৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ব্রিটিশ শাসনামলে বিদ্যমান ছিল এবং পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তা ভেঙে দেওয়া হয়।সাম্প্রতিক কালে নতুনরূপে তৈরীর চেষ্টা হলেও জমি জটে আটকে যায়।পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে ভারতীয় রেলের হাতে জমি তুলে দেওয়া হয়।
নশিপুর রেল সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৪°০৭′৩০″ উত্তর ৮৮°০৯′১৯″ পূর্ব / ২৪.১২৪৯° উত্তর ৮৮.১৫৫২° পূর্ব |
অতিক্রম করে | হুগলি নদী |
স্থান | মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
অন্য নাম | নশিপুর - আজিমগঞ্জ রেল সেতু |
মালিক | ভারতীয় রেল |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ৭৫৮ মিটার (২,৪৮৭ ফু) |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | ২০০৪ |
অবস্থান | |
আজিমগঞ্জ - নলহাটি রেলপথটি ১৮৭২ সালে শুরু হয়। সেতুটি আজিমগঞ্জ থেকে বহরমপুর পর্যন্ত এনজি শাখা লাইন হিসাবে লালগোলা কৃষ্ণনগর এনজি লাইনের সাথে আজিমগঞ্জ নলহাটি ব্রডগেজ লাইনের সাথে সংযোগ স্থাপন করত।[১]
ভাগীরথী নদীর এই রেল সেতু দক্ষিণ বঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে। রেল কর্মকর্তাদের মতে এই সেতুটি শিয়ালদা এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২১ কিমি হ্রাস করে। রুটটি শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিস্তা - তোর্সা এক্সপ্রেস (শিয়ালদহ থেকে জলপাইগুড়ি) এবং রাধিকাপুর এক্সপ্রেস (কলকাতা স্টেশন থেকে উত্তর দিনাজপুর) এর মতো ট্রেনগুলি উপকৃত হবে। নতুন সেতুটি ৭৫৮ মিটার দীর্ঘ এবং ১৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির ট্রেনের চলার জন্য নকশাকৃত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Need to expedite Nashipur – Azimganj Rail Bridge"। Indiankanoon। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-২৬। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)