নবীবংশ
নবীবংশ সৈয়দ সুলতান রচিত ১৫ শতকের একটি বিখ্যাত মুহাম্মাদের জীবনীর সাহিত্যগ্রন্থ।[১] এটি ১৫৮৪ সালে ২টি খন্ডে রচনা করা হয়েছে। এটি সৈয়দ সুলতানের সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ও বাংলা সাহিত্যের অনন্য নিদর্শন। কাব্যটি লেখক আরবি কবি সা‘লাবি রচিত কিসাসুল আম্বিয়ার ভাবানুবাদ হিসাবে রচনা করেছেন। কাব্যটিতে ইসলামের নবীদের পাশাপাশি হিন্দু দেবতাদের বর্ণনায় কবির উদার মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। তবে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্যই বইটি লেখা ও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বিশাল এই মহাকাব্য থেকে সামসময়িক কালের দেশ ও সমাজের অবস্থা, রীতি-নীতি, সংস্কারের মনোভাব, মানুষের আচার-ব্যবহার প্রভৃতি সম্পর্কে ব্যপক ধারণা পাওয়া যায়।[২]
লেখক | সৈয়দ সুলতান |
---|---|
দেশ | মুঘল ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | রাসুলের জীবনী ও অন্যন্য মহামানবের জীবনী |
প্রকাশনার তারিখ | ১৫ শতক |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত গ্রন্থ (শক্তমলাট) |
বিষয়বস্তু
সম্পাদনা১ম খণ্ড
সম্পাদনাকাব্যের ১ম খন্ডে একদম সৃষ্টির শুরু থেকে হজরত মুহাম্মাদের পূর্ব পর্যন্ত নানা পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সাথে সাথে এসব পৌরাণিক ব্যক্তির জীবন কর্ম, আদর্শ ও মতাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন ইসলাম ধর্মের নবী আদম, শীষ, নূহ, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা প্রভৃতি সম্পর্কে, হিন্দু ধর্মের ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, নরসিংহ, বামন, রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
২য় খণ্ড
সম্পাদনাকাব্যের ২য় খন্ডে রাসুলের জীবন চরিত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। রাসুলের আবির্ভাব, তার বাল্যকাল, তার শৈশবকাল, ছোট বেলায় মা আমেনার কাছে গমন, তার থেকে ফিরে এসে আবু তালিবের নিকট বড় হওয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও রাসুলের নবুয়ত প্রাপ্তির পরের ঘটনা নিয়ে বিসর আলোচনা করা হয়েছে। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বাধা-বিঘ্নের ঘটনা, মেরাজ যাওয়ার বিস্তারিত ঘটনা বইটিতে স্থান পেয়েছে।
আরো দেখুন
সম্পাদনা- ↑ "বাংলা সাহিত্যে রসুলচরিত"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২১।
- ↑ "নবীবংশ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২১।