নবজীবন ঘোষ
নবজীবন ঘোষ (আনুমানিক ১৯১৬ ― ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬) একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ।
নবজীবন ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৬ |
মৃত্যু | ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
বংশ পরিচয়
সম্পাদনানবজীবন ঘোষের বাড়ি মেদিনীপুর। তার ডাক নাম ছিল শালিখ। পিতার নাম যামিনীজীবন ঘোষ। তার পরিবারের অনেকেই বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ভ্রাতা নির্মলজীবন ঘোষ অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করেন, মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তার ফাঁসি হয় ২৬ অক্টোবর, ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে। তার পরিবার সরকারি অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছে। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বিনয়জীবন ইতিহাসের অধ্যাপনা করতেন মেদিনীপুর কলেজে। তাকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় ১৯৩৩ সালে। অপর ভ্রাতা জ্যোতিজীবন ঘোষও কারান্তরালে ছিলেন।[১][২]
গ্রেপ্তার ও মৃত্যু
সম্পাদনানবজীবনকে, বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে যুক্ত এই সন্দেহে প্রথমে মেদিনীপুর থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করে বন্দী অবস্থায় অমানুষিক প্রহারের ফলে তার মৃত্যু ঘটে।[৩] এই মৃত্যুকে পুলিশ আত্মহত্যা বলে মিথ্যা প্রচার করে।[৪]
রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনানবজীবন ঘোষের জেল হেফাজতে মৃত্যু ও মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং। সেসময় রাজবন্দী হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন তদন্তের দাবী জানায়। এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Rammanohar Lohia (১৯৯০)। The Struggle for Civil Liberties। Deep and Deep Publications। পৃষ্ঠা 43, 44।
- ↑ রায়, প্রকাশ (২০২১)। বিস্মৃত বিপ্লবী। চেন্নাই: নোশনপ্রেস চেন্নাই তামিলনাড়ু। পৃষ্ঠা ২৩–২৬। আইএসবিএন 978-1-63873-248-8।
- ↑ Arjuna, Brajendranātha (১৯৭৯)। Agniyugera itikathā। Muktadhārā।
- ↑ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ২৪৩। আইএসবিএন 81-85626-65-0।