নবকুমার বসু
নবকুমার বসু (১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৯)[১] - জীবনধর্মী গল্প উপন্যাস রচনায় অগ্রণী লেখক নবকুমার বসু প্রবাসী বাঙালি এবং চিকিৎসক। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর পুত্র।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাঅভাবের মধ্যে তাঁর বাল্যকাল কাটে আতপুর ও নৈহাটিতে। নৈহাটি বয়েজ স্কুল ও ভাটপাড়া বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেন - কৃতি ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যাডমিন্টন, ভলিবল খেলতেন, ভালো গান যেমন করেন তেমনই তবলা, খোল , মৃদঙ্গ, মাউথ অরগ্যান বাজাতে পারেন। মাউথ অরগ্যান শিখেছিলেন মা গৌরী বসুর কাছে। তিনি সুগায়িকা ছিলেন। ন্যাশানাল মেডিকেল থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্জারিতে স্নাতকোত্তর এবং সিনিয়র হসপিটাল প্র্যাক্টিশনার হিসাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ১৯৭২-এ বিয়ে করেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রাখী বসুকে। ১৯৯৩ সালে নবকুমার বসু ইংল্যান্ডে প্রবাসী হন। দুই পুত্র সন্তান ডাক্তার। বড় ছেলে শমীক বসু ইংরেজিতে সাহিত্য চর্চা করেন। ছোট ছেলে প্রতীক বসু ভালো গান করেন। নবকুমার বসু অনেক রকম এবং খুব ভালো রান্নাও করেন। তাঁর রান্না খেয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মজা করে তাঁর নাম রেখেছিলেন 'নবঠাকুর'। [1]
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনা১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তার লেখা ছোটগল্প দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।[২] তার পিতা সমরেশ বসু এবং মাতা গৌরী বসুর জীবনের উপর ভিত্তি করে তার 'চিরসখা' উপন্যাসটি দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।[৩] দু'শর ওপর ছোট-বড় গল্প, চল্লিশটির বেশী উপন্যাস ছাড়াও অজস্র প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখা আছে। কিশোর কাহিনি, রহস্য উপন্যাস লিখেছেন। সাহিত্য চর্চার জন্য আমন্ত্রিত হয়ে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। ২০১৫ এ আমেরিকার হিউস্টন শহরে 'সেরা বাঙালি'র শিরোপা দেওয়া হয়। ২০১৯ এ তাঁর "শ্রীময়ী মা" উপন্যাসের ওড়িয়া অনুবাদ সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পায়। ২০২১-এ ইংল্যান্ডের UKBC সংস্থা সাহিত্য চর্চার জন্য Lifetime Achievement এর পুরস্কার দেয়। তাঁর লেখা একাধিক রচনা কখনো নাটক, কখনো শ্রুতিনাটক হিসাবে অভিনীত হয়েছে।
|
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাংলালাইভে নবকুমার বসু"।
- ↑ "আনন্দধারা ডট কমে নবকুমার বসু"। ২৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "সমরেশ বসুকে নিয়ে নিজস্ব ঘোর ও 'চিরসখা'"।
- ↑ "গুডরিডস-এ নবকুমার বসু"।
- ↑ "রকমারি ডট কমে নবকুমার বসু"।