নগদ
নগদ অর্থ আদান-প্রদানে বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা।[১][২] এটি থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত। এটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পূর্বে চালুকৃত পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএমটিএস)-এর নতুন সংস্করণ।[৩] যদিও নগদের উত্থান ঘটেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই, মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবা প্রদানের বিদ্যমান নিয়মনীতিকে ন্যূনতম তোয়াক্কা না করে।[৪]
পণ্যের ধরন | ডিজিটাল আর্থিক পরিসেবা |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রবর্তন | ১১ নভেম্বর ২০১৮ |
সম্পর্কিত মার্কা | বাংলাদেশ ডাক বিভাগ |
বাজার | জাতীয় |
ট্যাগলাইন | ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন |
ওয়েবসাইট | nagad |
নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে একজন গ্রাহক দেশের যে কোনো স্থান থেকে নিজের মোবাইলে অর্থ জমা, উত্তোলন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তর সহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ করতে পারেন। নগদ-এর সদর দফতর ঢাকার বনানী এলাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনা২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর ডিজিটাল আর্থিক সেবার পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা প্রচলনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। এ বিষয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তিতে বলা হয়, পরিবেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে গ্রাহক কমিশন থেকে যে আয় থাকবে, তার ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ ও ৪৯ শতাংশ পাবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি। নগদের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিসের সঙ্গে কোনো অনুমোদিত ব্যাংক ৫১ শতাংশ মালিকানা নিয়ে যুক্ত হয়নি। জাতীয় পর্যায়ে তাদের কোনো আর্থিক সেবা পরিচালনার অভিজ্ঞতাও ছিল না। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অনুপযুক্ত হওয়ায় তারা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস রেগুলেশনস ২০১৮–কে পাশ কাটিয়ে ডাক বিভাগের ওপর সওয়ার হয়েছিল মূলত ডাক বিভাগের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক আনুকূল্যকে অবলম্বন করে।[৫] ২০১৬ সালে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠিত হয়। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন কাজী মনিরুল কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সৈয়দ আরশাদ রেজা ও মিজানুর রহমান।[৬][৭]
এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ডাক অধিদপ্তর নগদ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালুর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। শর্ত মেনে আবেদন না করার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি। তবে ডাক অধিদপ্তর ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নগদ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু করে দেয়। এজন্য ডাক বিভাগ নিজেদের আইনে পরিবর্তন আনে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাটি উদ্বোধন করেন। আবেদনে শর্ত না মানলেও ডাক বিভাগের নামে ব্যাংক হিসাব (ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব) খোলার শর্তে পরবর্তীতে নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দিয়ে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি এই শর্ত না মানলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো তদারক করেনি। এরপরও দফায় দফায় অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নাম পরিবর্তন করে নগদ লিমিটেড হয়ে যায়। এককভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ, শর্ত ছাড়া হিসাব খোলার সুযোগ ও সহজেই হিসাব খোলার সুবিধার ফলে নগদ হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।[৬]
মালিকানা নিয়ে ধোঁয়াশা
সম্পাদনাআর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠিত নদগের মালিকানা নিয়ে বেশ অনেকবার জটিলতা তৈরি হয়েছে। শুরুতে নগদকে সরকারের ডাক অধিদপ্তর সেবা হিসেবে প্রচার করা হলেও এর মালিকানায় ডাক অধিদপ্তরের কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। আবার আর্থিক সেবা দিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো চূড়ান্ত অনুমোদনও ছিলো না নগদের।[৮]
জালিয়াতী প্রতিরোধে নতুন প্রশাসক নিয়োগ
সম্পাদনাআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ২১ আগস্ট ২০২৪ সালে নগদ পরিচালনার জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা বোর্ড নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যবস্থাপনা বোর্ডে চেয়ারম্যান করা হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে। ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ।[৯]
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রাহক ধরতে প্রতিষ্ঠানটিকে একচেটিয়া সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়। এই সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় নিয়মনীতিকে পাশ কাটানো হয়। শেখ হাসিনার সরকার সব সরকারি ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নেয়। ফলে সরকারি ভাতাভোগীদের বাধ্য হয়ে নগদের গ্রাহক হতে হয়। নগদকে ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও বাস্তবে এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির কোনো মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।[৯]
গঠন
সম্পাদনাএই আর্থিক পরিষেবাটি বাংলাদেশ ডাক আইন সংশোধনী ২০১০ ধারা ৩(২)-এর অধীনে নিয়ন্ত্রিত, বিশেষত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রণীত একটি স্বতন্ত্র আইন।[১০] বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক ১১ অক্টোবর ২০১৮ সালে এই ডিজিটাল আর্থিক সেবা চালু করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এটি কার্যক্রম শুরু করে।[৩]
নগদ-এর সেবাসমূহ
সম্পাদনাগ্রাহকরা *১৬৭ # ডায়াল করে এবং নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে এর সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারেন।[১১] যে কোনো নগদ অ্যাকাউন্টধারী নিজের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা থাকা সাপেক্ষে যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে অন্য নগদ অ্যাকাউন্টধারী এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এর সেবা উপভোগ করতে পারেন। গ্রাহক নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেই নিজের অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারেন।
নগদ-এর বর্তমান সেবাগুলো:
- হিসাব খোলা
- হিসাব এ টাকা জমা করা (ক্যাশ ইন)
- একটি নগদ হিসাব থেকে অন্য নগদ হিসাব এ টাকা পাঠানো (সেন্ড মানি)
- হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন (ক্যাশ আউট)
- মোবাইলে এয়ারটাইম ক্রয়/রিচার্জের সুবিধা
- পণ্য কেনাকাটা বা সেবার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করা (পেমেন্ট)
- বিল পরিশোধের সুবিধা
ডিজিটাল ব্যাংকিং
সম্পাদনাপ্রতিদিনের নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনা ও লেনদেন আরও সহজ করতে সরকারের ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গড়ার উদ্যোগে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২০ সালে নগদ সর্বপ্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে।[১২] প্রথম ধাপে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলোর একটি হল নগদ।[১৩] ৩ জুন বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।[১২]
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স স্থগিত করেন। একই সাথে উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন,
“ | রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২০১৯ সাল থেকে লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মোবাইলে আর্থিক সেবা নগদ। এরপর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বিদায়ী সরকারের সময় লাইসেন্স নেয় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। নথিপত্রে ঘাটতি থাকার পরও এই অনুমোদন দেন সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এখন তথ্যে গরমিল বা উদ্যোক্তাদের যোগ্যতায় ঘাটতি পাওয়া গেলে সেই লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। কোনো ঘাটতি না মিললে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেওয়া হবে। | ” |
[১৪] নগদের বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা শেয়ারধারীদের তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন ও ঠিকানা বা অবস্থান, গঠনকালীন মালিকানা কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, বর্তমান মালিকানা ও মালিকদের নাগরিকত্ব, বিগত তিন বছরের কর পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা ও প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ এবং হোল্ডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সহযোগী কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের তথ্য জানাতে বলা হয়।[১৪]
অনৈতিক ব্যবসায়ীক অনুশীলন
সম্পাদনানদগ কাষ্টমার অধিগ্রহনে তার ব্যবসায়ীক প্রতিযোগীকে পরাস্ত করতে অনৈতিক ব্যবসায়ীক অনুশীলন অনুসরণ করে। নগদের একটি বিজ্ঞাপনে বিকাশকে জড়িয়ে বিকাশ ও এর প্রধান নির্বাহীকে জড়িয়ে বিভিন্ন বিদ্রূপপূর্ণ ও আক্রমণাত্মক প্রচারণা ভিডিও চিত্র তৈরি করে নগদ।[১৫] এসব অযাচিত ব্যবসায়ীক অনুশীলন যাতে ব্যাংকিং খাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি না করে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বাণিজ্যিক প্রচারণা ও জনসংযোগমূলক বিজ্ঞাপনে এক সেবাদাতা কর্তৃক অন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করা বা অন্য সেবা সম্পর্কে বিদ্রূপপূর্ণ ও আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার না করতে বলা হয়।[১৫]
অনিয়ম ও ডিজিটাল জালিয়াতি
সম্পাদনাআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত নগদ প্রচুর আর্থিক অনিয়ম ও ডিজিটাল জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়ে। নগদে যে পরিমাণ টাকা জমা আছে, নিয়মের বাইরে তার চেয়ে বেশি ডিজিটাল অর্থ তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নগদের নতুন প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।[১৬] প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি তাদের পরিদর্শনে দেখতে পায় যে, প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার আর্থিক ঘাটতি খুজে পায় প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি[১৭] নগদে যখন এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়, তখন এর পরিচালনায় আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। সবার চোখের সামনে এসব অনিয়ম হলেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক অধিদপ্তর। কর্মকর্তারা বলেন, নগদে ঘটা অনিয়ম টাকার হিসাবে দেশের সবচেয়ে বড় ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’।[১৭]
নগদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে যত অনিয়ম হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে ফরেনসিক নিরীক্ষার উদ্যোগ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। যদিও এই উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ মিশুক। তানভীর নগদের আর্থিক জালিয়াতী বাদ দিয়ে অন্য ব্যাংকের জালিয়াতীর দিকে মনযোগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে উপদেশ দেন। এছাড়া তানভীর নতুন প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আক্রমনাত্বক হুমকী দেন। ফলে রাজধানীর বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।[১৮]
সম্প্রতি ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে নগদের ৪১ পরিবেশক, ২৪ হাজার এজেন্ট ও ৬৪৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও শীর্ষ পর্যায়ের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তরের কাছে সুপারিশ করেছেন নগদের প্রশাসক।[১৯]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নগদ-এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী"। banglanews24.com। ২৯ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "About Us"। নগদ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ "PM opens digital financial service Nagad"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৬ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "'নগদ' নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি"। প্রথম আলো। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "'নগদ' নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি"। প্রথম আলো। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ সাকিব, সানাউল্লাহ (২০২৪-১২-১৭)। "নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭।
- ↑ লেখা (২০২৪-০৯-২২)। "'নগদ' নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭।
- ↑ "নগদের মালিকানায় বারবার বদল"। প্রথম আলো। ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "নগদে নতুন ব্যবস্থাপনা বোর্ড, চেয়ারম্যান কে এ এস মুরশিদ"। প্রথম আলো। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Post Office launches digital financial service "Nagad""। Banglanews24.com। ১১ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ নগদ ওয়েব সাইট
- ↑ ক খ "নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স স্থগিত, পুনরায় পর্যালোচনা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর"। টিবিএস। ২২ আগষ্ট ২০২৪।
- ↑ "ডিজিটাল ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন পেল নগদ"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৩ জুন ২০২৪।
- ↑ ক খ "নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের মালিকানা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক"। প্রথম আলো। ২০ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "বিদ্রূপপূর্ণ ও আক্রমণাত্মক প্রচার চলবে না"। প্রথম আলো। ০৭ মার্চ ২০২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "বেশি ডিজিটাল টাকা তৈরি করেছে নগদ, প্রতারণা ঠেকাতে প্রশাসক নিয়োগ: গভর্নর"। প্রথম আলো। ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না"। প্রথম আলো। ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "নগদে ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাবেক এমডি, গভর্নরের বিরুদ্ধে অভিযোগ"। প্রথম আলো। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ সাকিব, সানাউল্লাহ (২০২৪-১২-১৯)। "নগদের ৪১ পরিবেশক, ২৪ হাজার এজেন্ট ও ৬৪৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৯।