নকি আলী খান
নকি আলী খান (১৮৩০-১৮৮০) (উর্দু : نقی علی خان) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি হানাফি ইসলামি পণ্ডিত, মুফতি এবং আহমদ রেজা খানের পিতা।[৩] নকি আলী ২৬টি গ্রন্থ রচনা করেন সীরাত এবং আকীদা বিষয়ে এবং তিনি এক হাজার ফতোয়া জারি করেন।
নকি আলী খান نقی علی خان | |
---|---|
উপাধি | মুফতি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮৩০ |
মৃত্যু | ১৮৮০[১] |
সমাধিস্থল | বরেলি দরগাহ শরিফ, বরেলি, উত্তর প্রদেশ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
সন্তান | আহমদ রেজা খান হাসান রেজা খান |
পিতামাতা |
|
যুগ | আধুনিক |
অঞ্চল | দক্ষিণ এশিয়া |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি[২] |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
প্রধান আগ্রহ | ইসলামি দর্শন, হানাফি, তাসাউফ |
তরিকা | কাদেরিয়া তরিকা, চিশতিয়া তরিকা, সোহরাওয়ার্দিয়া তরিকা, নকশবন্দি তরিকা |
মুসলিম নেতা | |
উত্তরসূরী | আহমদ রেজা খান বেরলভী |
যার দ্বারা প্রভাবিত |
বংশ এবং পরিবার
সম্পাদনামাওলানা নকী আলীর জাতিগত এলাকা আফগানদের সুপরিচিত উপজাতি বারেচ। এই উপজাতির লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষ কায়েস আব্দুল রশিদ পর্যন্ত পৌঁছে, যেটি কিছু ঐতিহাসিক ঐতিহ্য দ্বারা প্রমাণিত যে তিনি মুহাম্মদ (দ.)--এর সাথে দেখা করেছিলেন ও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং বললেন, আমি দোয়া করেছি যে তোমার সন্তানরা যেন ধর্মকে শক্তিশালী করে।[৪] নকী আলি খানের বংশ কায়েস আব্দুর রশিদ পর্যন্ত ১৬ ধারার মধ্যে পৌঁছে। নকী আলি খানের প্রপিতামহ সুজাত জং মুহাম্মদ সাইদুল্লাহ খান নাদির শাহের সাথে ভারতে আসেন। এবং এখানে বসতি স্থাপন করেন। বাদশা মুহাম্মদ শাহ তাকে জায়গির হিসেবে লাহোরের শেশমহল দিয়েছিলেন এবং তিনি শশ হাজারী উপাধি পেয়েছেন, সুজাত জঙ্গ উপাধিও বাদশাহ মুহাম্মদ শাহ দিয়েছিলেন।[৫] এই ধারা বাকি পূর্বপুরুষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল, পরবর্তীতে পরিবারের পূর্বপুরুষরা দুনিয়া ও দ্বীনের খেদমত শুরু করেন, তার পিতা মুফতি রেজা আলী খান ভারতে প্রথম দার আল-ইফতা প্রতিষ্ঠা করেন, আরবি ভাষায় খুতবা যা আজোও সারা পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে দেওবন্দী ও সুন্নি আলেমরা ঈদ ও শুক্রবার পড়েন, এটি তারই লেখা।[৬]
জন্ম
সম্পাদনানকি আলী খান ১২৪৬ হিজরি মোতাবেক ১৮৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রেজা আলী খান।
রচনাবলী
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Malik, Jamal (২০০৭-১১-২৭)। Madrasas in South Asia: Teaching Terror? (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-134-10763-6।
- ↑ Rahman, Tariq. "Munāẓarah Literature in Urdu: An Extra-Curricular Educational Input in Pakistan's Religious Education." Islamic Studies (2008): 197–220.
- ↑ Hassankhan, Maurits S.; Vahed, Goolam (২০১৬-১১-১০)। Indentured Muslims in the Diaspora: Identity and Belonging of Minority Groups in Plural Societies (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-1-351-98687-8।
- ↑ نجم الغنی رام پوری، اخبار الصنادید، صفحہ 165
- ↑ ابراہیم خوشتر، تذکرہ جمیل، صفحہ 90
- ↑ محمد حسن علمی، ترقیمہ خطبات علمی
- ↑ "Naqi Ali Khan Barelvi"। Books Library (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৫।
- ↑ "Tafsir e Surah Alamnashrah Explaination of Ayat"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৫।