মেলুহার মৃত্যুঞ্জয়ীগণ
মেলুহার মৃত্যুঞ্জয়ীগণ হল অমীশ ত্রিপাঠির শিব-ত্রয়ী কাহিনীর প্রথম উপন্যাস। কাহিনীটি কাল্পনিক দেশ মেলুহার। এই দেশের বাসিন্দারা কীভাবে শিব নামে এক যাযাবরের হাত থেকে যুদ্ধে রক্ষা পেয়েছিল, তাই নিয়েই গল্প। গল্পের শুরুতে দেখা যায় মেলুহার রাজা দক্ষ নানা উপজাতিকে তার রাজ্যে বাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এই উপজাতিগুলির একটি ছিল শিবের উপজাতি। স্বজাতির কিংবদন্তি রক্ষাকর্তা শিব একটি বিষ পান করেছিলেন। তার ফলে তার গলার রং নীল হয়ে গিয়েছিল। এই জন্য তার উপজাতির লোকেরা তাকে নীলকণ্ঠ নাম দেয়। শিব চন্দ্রবংশীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মেলুহার লোকেদের সাহায্য করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। চন্দ্রবংশীরা নাগ নামে এক অভিশপ্ত জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে একযোগে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল। যদিও তার যাত্রাপথে এবং তারপর যুদ্ধে শিব বুঝতে পারেন, তিনি কী হতে চান আর তার আকাঙ্ক্ষা তাকে কী ভীষণ নিয়তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
লেখক | অমীশ ত্রিপাঠি |
---|---|
মূল শিরোনাম | The Immortals of Meluha |
প্রচ্ছদ শিল্পী | রশ্মি পুসলকর |
দেশ | ভারত |
ভাষা | ইংরেজি, বাংলা |
ধারাবাহিক | শিব ত্রয়ী |
বিষয় | শিব, মিথ, ফ্যান্টাসি |
ধরন | অলীক কাহিনী |
প্রকাশক | তারা প্রেস |
প্রকাশনার তারিখ | ফেব্রুয়ারি ২০১০ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (পেপারব্যাক) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৩৯০ |
আইএসবিএন | ৯৮৭-৮১-৮৩৮৬-০৬৯-৭ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ |
পরবর্তী বই | নাগ রহস্য |
ত্রিপাঠি প্রথমে অমঙ্গলের দর্শন নিয়ে একটি বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাধা দেন। তখন তিনি হিন্দু দেবতা শিবকে নিয়ে একটি বই লেখার সিদ্ধান্ত নেন। তার গল্পের মূল ভিত্তি যে তত্ত্বটি সেটি হল, সব দেবতাই এক সময়ে মানুষ ছিলেন। মানুষের বেশে তাদের কীর্তিই তাদের দেবতার মতো বিখ্যাত করে তুলেছিল। প্রথম দিকে একের পর এক প্রকাশক বইটি ছাপতে অস্বীকার করেছিল। শেষে ত্রিপাঠী নিজেই বইটি প্রকাশ করবেন বলে ঠিক করেন এবং সেই মর্মে প্রচার অভিযানও চালান। প্রচার অভিযানের অঙ্গ হিসেবে তিনি ইউটিউবে একটি লাইভ-অ্যাকশন ভিডিও আপলোড করেন এবং পাঠক টানার জন্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়টি বিনামূল্যে ই-বই আকারে ডাউনলোডের ব্যবস্থা করেন।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক বাণিজ্যিক সাফল্য[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পায়। চাহিদার যোগান দিতে বইটি বারবার পুণর্মুদ্রণ করতে হয়। ত্রিপাঠী প্রকাশকও পাল্টান এবং দিল্লিতে বড় করে বই প্রকাশের অনুষ্ঠান করেন। মেলুহার মৃত্যুঞ্জয়ীগণ বইয়ের ১,২৫,০০০-এরও বেশি কপি বিক্রি হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ২০১০ সালে এই বইটি ছিল সেই বছরের সেরা বেস্ট সেলার বইগুলির একটি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সমালোচকেরাও বইটির প্রশংসা করেন। তবে কেউ কেউ গল্পের কোনো কোনো অংশে ত্রিপাঠীর রচনা দুর্বলতার কথাও বলেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]