মহান কুরুশ

আকিমিনিড সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা
(দ্বিতীয় কুরুশ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

পারস্যের দ্বিতীয় কুরুশ বা মহান কুরুশ (পুরাতন ফার্সি: KUURUUSHA[] কুরুশ; নতুন ফার্সি: کوروش بزرگ ; ইংরেজি: Cyrus the Great সাইরাস দ্য গ্রেট[] সি. ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব বা ৫৭৬ খ্রিস্টপূর্ব–৫৩০ খ্রিস্টপূর্ব[]) ছিলেন পারসিক হাখমানেশী সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।[] সাম্রাজ্যটি এশিয়া, ইউরোপআফ্রিকা—এই তিন মহাদেশে বিস্তৃত ছিল।[] ইরান ছাড়াও বর্তমান কালের আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মধ্য এশিয়ার অংশবিশেষ, এশিয়া মাইনর (তুরস্ক), থ্রাকে (গ্রিস), কৃষ্ণ সাগরের উপকূল, ইরাক, সৌদি আরবের উত্তরাংশ, জর্দান, প্যালেস্টাইন, লেবানন, সিরিয়া, প্রাচীন মিশরের সব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং লিবিয়া এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলির একটি।[] তার রাজকীয় উপধিগুলো ছিল মহান রাজা, পারস্যের রাজা, অ্যানসানের রাজা, মিডিয়ার রাজা, ব্যাবিলনের রাজা, সুমেরের রাজা ও আক্কাদ। তিনি ছিলেন পৃথিবীর চতুর্কোণের রাজা। এছাড়াও ৫৩৯ এবং ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বের মাঝামাঝি কোনো এক সময় সাইরাস সিলিন্ডারের ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক মানবাধিকার ঘোষণা করেছিলেন যা বিশ্বের ইতিহাসে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম মানবাধিকারের সনদ।

মহান কুরুশ
পারস্যের রাজাদের রাজা, আরিয়াভার্টার রাজা,[][] অ্যানসানের রাজা, মিডিয়ার রাজা, ব্যাবিলনের রাজা, সুমেরের রাজাআক্কাদ, পৃথিবীর চতুর্কোণের রাজা[]
রাজত্ব৫৫৯ খ্রিস্টপূর্ব – ৫৩০ খ্রিস্টপূর্ব (৩০ বছর)
পূর্বসূরিপ্রথম ক্যাম্বিসাস
উত্তরসূরিদ্বিতীয় ক্যাম্বিসাস
জন্ম৬০০ খ্রিস্টপূর্ব বা ৫৭৬ খ্রিস্টপূর্ব
অ্যানসান, পারস্য
মৃত্যুডিসেম্বর, ৫৩০ খ্রিস্টপূর্ব
স্যার দারিয়ার সাথে
সমাধি
পাসাগার্ডা
বংশধরদ্বিতীয় কামবেসেস
বার্দিয়া
আর্টেস্টোন
এটোসা
রক্সান[]
প্রাসাদহাখমানেশী
পিতাপ্রথম ক্যাম্বিসাস
মাতামেদিয়ার মানদানে

মহান কুরুশের শাসনকাল ২৯ থেকে ৩১ বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। কুরুশ তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন প্রথম মিডিস সাম্রাজ্য দখলের মাধ্যমে, তারপর লিডিয় সাম্রাজ্য এবং পরবর্তীতে নিও-ব্যাবিলন সাম্রাজ্য দখল করেছিলেন। ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের ভেতরে তখন সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যে কারণে এই দুটি দেশও সাইরাসের কর্তৃত্বাধীন হয়ে পড়ে। এরপর কিছুদিন ক্ষমতা সংহত করার পর[১০] তিনি মধ্য এশিয়ার মাসাগেটা নামক এক জাতিকে আক্রমণ করেন, তার সাথে ছিলেন স্যার দারেয়া। মাসাগেটাদের সাথে যুদ্ধে দারেয়ার সাথে কুরুশও ডিসেম্বর ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বে নিহত হন।[১১][১২] তার মৃত্যুর পর তার পুত্র দ্বিতীয় ক্যাম্বিসাস সিংহাসনে বসেন ও পিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পাসাগার্ডাতে সমাধিস্থ করেন। মহান কুরুশ বেঁচে থাকতে কখনো মিশর আক্রমণ করেন নি কিন্তু তার পুত্র ক্যাম্বিসাস মিশর আক্রমণ ও দখল করে হাখমানেশী সাম্রাজ্যে যুক্ত করেন। এছাড়াও তিনি নাবিয়া ও সাইরেনাইসা নামক আরো দুটি রাজ্য দখল করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. For Āryāvarta, see: Vesta Sarkhosh Curtis, Sarah Stewart (২০০৫)। Birth of the Persian Empire। I. B. Tauris। আইএসবিএন 978-1-84511-062-8 
  2. Thomas J. Hopkins (১৯৭১)। The Hindu religious tradition। Dickenson Pub. Co। পৃষ্ঠা 52। আইএসবিএন 978-0-8221-0022-5 
  3. Ghasemi, Shapour। "The Cyrus the Great Cylinder"। Iran Chamber Society। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২২ 
  4. Dandamayev,Muhammad A.,CYRUS iii. Cyrus II The Great, Encyclopædia Iranica
  5. Unicode: 𐎤𐎢𐎽𐎢𐏁
  6. Xenophon, Anabasis I. IX; see also M. A. Dandamaev "Cyrus II", in Encyclopaedia Iranica.
  7. (Dandamaev 1989, পৃ. 71)
  8. Schmitt Achaemenid dynasty (i. The clan and dynasty)
  9. Kuhrt, Amélie (১৯৯৫)। "13"। The Ancient Near East: C. 3000–330 BC। Routledge। পৃষ্ঠা 647আইএসবিএন 0-415-16762-0 
  10. Cambridge Ancient History IV Chapter 3c. p. 170. The quote is from the Greek historian Herodotus.
  11. Beckwith, Christopher. (2009). Empires of the Silk Road: A History of Central Eurasia from the Bronze Age to the Present. Princeton and Oxford: Princeton University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৯১-১৩৫৮৯-২. Page 63.
  12. Cyrus's date of death can be deduced from the last two references to his own reign (a tablet from Borsippa dated to 12 August and the final from Babylon 12 September 530 BC) and the first reference to the reign of his son Cambyses (a tablet from Babylon dated to 31 August and or 4 September), but a undocumented tablet from the city of Kish (Sumer) dates the last official reign of Cyrus to 4 December 530 BC; see R. A. Parker and W. H. Dubberstein, Babylonian Chronology 626 B.C. – A.D. 75, 1971.

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা

আধুনিক সময়ের উৎস

আরো পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা