দোছড়ি ইউনিয়ন
দোছড়ি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
দোছড়ি | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৪নং দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে দোছড়ি ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২১°২৭′২৫″ উত্তর ৯২°১৮′৪৯″ পূর্ব / ২১.৪৫৬৯৪° উত্তর ৯২.৩১৩৬১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | বান্দরবান জেলা |
উপজেলা | নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মোহাম্মদ ইমরান |
আয়তন | |
• মোট | ১৭৬.১২ বর্গকিমি (৬৮.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৮,০৫১ |
• জনঘনত্ব | ৪৬/বর্গকিমি (১২০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ১৬.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৬৬০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
আয়তন
সম্পাদনাদোছড়ি ইউনিয়নের আয়তন ৪৩,৫২০ একর (১৭৬.১২ বর্গ কিলোমিটার)।[১] এটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দোছড়ি ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৯,৬৪৭ জন। এর মধ্যে ৭,৪১৯ জন মুসলিম, ২,০৬৫ জন বৌদ্ধ,১৫৪ জন খ্রিস্টান, ৫ জন হিন্দু এবং ৪ জন অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনানাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মধ্য-পূর্বাংশ জুড়ে দোছড়ি ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার।[২] এ ইউনিয়নের পূর্বে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়ন, উত্তর-পূর্বে আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়ন, উত্তর-পশ্চিমে বাইশারী ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন, পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্বে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ অবস্থিত।
প্রশাসনিক কাঠামো
সম্পাদনাদোছড়ি ইউনিয়ন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আওতাধীন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম নাইক্ষ্যংছড়ি থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ৩০০নং নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য বান্দরবান এর অংশ। এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:[৩]
- উক্যজাই হেডম্যান পাড়া
- তুলাতলী
- জারুলিয়াছড়ি
- ক্রোক্ষ্যং
- গুরুন্নাকাটা
- মামা ভাগিনার ঝিরি
- কোলাচি
- লেমুছড়ি
- শিলঘাট
- ডলুর ঝিরি
- অলপাড়া
- চিতার ঝিরি
- মুরুং ঝিরি
- ওয়াচ্ছাখালী
- হরিণখাই
- বাহির মাঠ
- পাইনছড়ি
- কালুরঘাট
- ধর্মছড়া
- আমঝিরি
- ছাগলখাইয়া
- ইলং পাড়া
- মাংওয়া পাড়া
- রেংবং পাড়া
- মেনলে পাড়া
- মেনরাও পাড়া
- ওইবত পাড়া
- কাইংপা পাড়া
- লিয়াছু পাড়া
- ম্যারো পাড়া
- কুরিয়্যং পাড়া
- ভাইচাং ত্রিপুরা পাড়া
- আলিয়াং ঝিরি
- মেথন পাড়া
- পূরং পাড়া
- ক্লিংটুই পাড়া
- রেংক্রিম পাড়া
- ইংলিং পাড়া
- মানেপে পাড়া
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দোছড়ি ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ১৬.২%।[১] এ ইউনিয়নে ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়[৪]
- লেমুছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- উক্যজাই হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কোলাচিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ক্রোক্ষ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ছাগলখাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- তুলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম ছাগলখাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বাহির মাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বাঁকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- লেমুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাদোছড়ি ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল নাইক্ষ্যংছড়ি-দোছড়ি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা।
হাট-বাজার
সম্পাদনাদোছড়ি ইউনিয়নের প্রধান হাট-বাজার হল দোছড়ি বাজার।[৫]
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনা- বর্তমান চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ ইমরান[৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "এক নজরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা - নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা - নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা"। naikhongchhari.bandarban.gov.bd। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "পাড়ার সংখ্যা ওয়ার্ড ভিত্তিক - দোছড়ি ইউনিয়ন - দোছড়ি ইউনিয়ন"। duwchariup.bandarban.gov.bd। ৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - দোছড়ি ইউনিয়ন - দোছড়ি ইউনিয়ন"। duwchariup.bandarban.gov.bd।
- ↑ "হাটবাজার - নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা - নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা"। naikhongchhari.bandarban.gov.bd। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।