দেউলপোতা
দেউলপোতা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নস্থল। এটি ওই জেলার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ডায়মন্ড হারবার ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত।
অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
---|---|
অঞ্চল | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
স্থানাঙ্ক | ২২°১২′০২.৪″ উত্তর ৮৮°৯′৩০.৫″ পূর্ব / ২২.২০০৬৬৭° উত্তর ৮৮.১৫৮৪৭২° পূর্ব |
ধরন | জনবসতি |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী |
ভূগোল
সম্পাদনাকারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
অবস্থান
সম্পাদনাদেউলপোতার স্থানাঙ্ক ২২°১২′০২.৪″ উত্তর ৮৮°৯′৩০.৫″ পূর্ব / ২২.২০০৬৬৭° উত্তর ৮৮.১৫৮৪৭২° পূর্ব। এই স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ মিটার গড় উচ্চতায় অবস্থিত।[১]
প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য
সম্পাদনাজেলা জনগণনা হ্যান্ডবুক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা অনুযায়ী, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত দেউলপোতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল। এই স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য শুরু হয় ১৯৬৩-৬৪, ১৯৬৪-৬৫ ও ১৯৭২-৭৩ সালে। গুপ্ত ও আদি মধ্যযুগের অনেক শিল্পকর্ম এখান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে। এই দ্রব্যগুলির মধ্যে রয়েছে কারুকার্যশোভিত পোড়ামাটির পাত্র, বহুমূল্য ও প্রায়-বহুমূল্য পাথরের তৈরি গয়না, যক্ষিণীমূর্তি সহ নারীমূর্তি, গজলক্ষ্মী ফলক, পোড়ানো পালিশ করা বা পালিশ না করা মৃৎপাত্র, চীনামাটির পাত্র ইত্যাদি।[২]
পূর্ব ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিদ্যা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শর্মি চক্রবর্তীর মতে, এখান থেকে শুঙ্গ-কুষাণ যুগের রুলেট-যুক্ত পণ্যসামগ্রী সহ মৃৎপাত্রও আবিষ্কৃত হয়েছে।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Chakraborty, Sharmi। "Archaeological Sites of Lower Deltaic Region of West Bengal and Their Context: Some Preliminary Observations"। Academia.edu। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Pages 134-135: Places of Archaeological Importance। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০।