দীপু নাম্বার টু (চলচ্চিত্র)

১৯৯৬-এর মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত চলচ্চিত্র

দীপু নাম্বার টু ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[] এটি মনন চলচ্চিত্র নিবেদিত রাষ্ট্রীয় অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ১৯৮৪ সালের একই নামের কিশোর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মোরশেদুল ইসলাম[] চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অরুণ। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, আবুল খায়ের, গোলাম মুস্তাফা, শুভাশীষ এবং আরও অনেকে।

দীপু নাম্বার টু
দীপু নাম্বার টু ছবির বাণিজ্যিক পোস্টার
পরিচালকমোরশেদুল ইসলাম
প্রযোজকফরিদুর রেজা সাগর
ইবনে হাসান খান (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)
রচয়িতামুহাম্মদ জাফর ইকবাল (উপন্যাস)
শ্রেষ্ঠাংশেবুলবুল আহমেদ
ববিতা
আবুল খায়ের
গোলাম মুস্তাফা
শুভাশীষ
অরুন সাহা
সুরকারসত্য সাহা
চিত্রগ্রাহকএস এ মুবিন
সম্পাদকসাইদুর রহমান টুটুল
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি১৯৯৬
স্থিতিকাল১৫৪ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

কাহিনীসংক্ষেপ

সম্পাদনা

দীপুর বাবা সরকারি চাকরি করেন। বদলির কারণে প্রতিবছর দীপুকে বদলাতে হয় স্কুল, পরিচিত পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব ইত্যাদি। সংসারে দুজন ব্যক্তি। বাবা ও দীপু। দীপু জানে ওর মা নেই। রাঙামাটি জিলা স্কুলের ক্লাস এইটের ছাত্র দীপু। এই স্কুল, শহরটা খুবই ভালো লাগে ওর। তারিক ছাড়া প্রায় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। তবে ঘটনাপ্রবাহে তারিক হয়ে ওঠে দীপুর ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। এক পর্যায়ে দীপু জানতে পারে ওর মায়ের কথা, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বহুদিন আগে আমেরিকায় চলে গেছেন, দেশে এসেছেন কয়েক দিনের জন্য, ছেলেকে দেখতে চেয়ে ছেলের বাবাকে চিঠি লিখেছেন। দীপু একাই মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যায়। মাকে পেয়ে দীপুর মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতি জেগে ওঠে। মা ও ছেলের চিরন্তন সম্পর্ক ও চূড়ান্ত অনুভূতিও ধরা দেয় তার জীবনে। সে আবার ফিরে আসে বাবার কাছে। মা চলে যান আমেরিকায়। এদিকে দীপু জানতে পারে তারিকের অপ্রকৃতিস্থ মায়ের কথা। তারিকের স্বপ্ন অনেক টাকা আয় করে বিদেশে নিয়ে গিয়ে ওর মায়ের চিকিৎসা করানো। এরপর শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান। বুদ্ধি আর সাহস খাটিয়ে তারিকের নেতৃত্বে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মূর্তি পাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দেয়। মূর্তি পাচারকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার পরপরই আসে দীপুর বাবার বদলির চিঠি। দীপুর বাবা আবার বদলি হয়ে যান অন্য শহরে। বন্ধুদের স্মৃতি, কিছু চমৎকার সময় আর অভিজ্ঞতাকে পেছনে ফেলে দীপু চলে যায় অন্য শহরে। বন্ধুদের কাছে থেকে বিদায় নিতে কষ্ট হবে তাই না বলেই চলে যায় দীপু।

অভিনয়ে

সম্পাদনা
  • বুলবুল আহমেদ - দীপুর বাবা
  • ববিতা - দীপুর মা (মিসেস রওশন)
  • আবুল খায়ের - স্কুল শিক্ষক
  • গোলাম মুস্তাফা - জামসেদ চাচা
  • ডলি জহুর - তারিকের মা
  • অরুন সাহা - দীপু
  • শুভাশীষ - তারিক
  • শাফকাত - সাজ্জাত
  • ফরহাদ - বাবু
  • মাশফিক - টিপু
  • পিয়াল - রফিক
  • ফয়সাল - মিঠু
  • মিলন - রাশেদ
  • শিমন - দিলু
  • জ্যোতি - বিলু
  • শাশ্বত - শিশু চরিত্রে
  • নিম্মা - শিশু চরিত্রে
  • রিতু - শিশু চরিত্রে
  • শামসুজ্জামান খান বেনু - অনন্য চরিত্রে
  • উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া - অনন্য চরিত্রে
  • আবদুল আজিজ - অনন্য চরিত্রে

সঙ্গীত

সম্পাদনা

দীপু নাম্বার টু চলচ্চিত্রে সঙ্গীত বাংলাদেশী পরিচালনা করেছেন সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা। চলচ্চিত্রে কোন গান নেই তবে আবহসংগীত রয়েছে।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. এমরান কবির (২৮ এপ্রিল ২০১০)। "প্রচলিত কিশোর চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক উপস্থাপন"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩, ২০১৪ 
  2. "মোরশেদুল ইসলাম সম্পর্কিত তথ্য"। priyo.com। ১৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩, ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা