দারিদ্র্যসীমা
দারিদ্র্যসীমা কোনো ব্যক্তির আয়ের একটি সীমারেখা যা ঐ ব্যক্তির জীবনযাপনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মৌলিক দ্রব্যসমূহের মূল্যের সমষ্টি। বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্যসীমা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা আদিতে দৈনিক ১ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছিল। যাদের দৈনিক আয় ১ ডলারের নিচে তাদেরকে চরম দারিদ্র্যে অবস্থানকারী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
দারিদ্র্যসীমা দিয়ে কোনো দেশের জনগণের জীবনযাপন কতটুকু ভালো তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কেননা সীমাটি এতই নিচে অবস্থিত যে সীমার চেয়ে বেশি আয় করলেও জীবনযাত্রার মানের তেমন কোনো উন্নতি ঘটে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পয়োনিষ্কাশন, পানি সরবরাহ ও বিদ্যুতের মত ব্যাপারগুলি দারিদ্র্যসীমাতে গণনা করা হয় না বলে এই সূচকটি দিয়ে জনগণের জীবনযাত্রার মান পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাংক নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমারেখা নির্ধারণ করে থাকে। এজন্য তারা সারা বিশ্বের সমস্ত দেশের মৌলিক খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের খরচ হিসাব করে। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক নির্ধারিত দারিদ্র্য সীমাটি হল দৈনিক ১.৯০ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ কোটি লোক চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। [১] ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স অনুযায়ী চরম দারিদ্র্যে জীবনযাপন করছে বিশ্বজুড়ে ১১০ কোটি মানুষ। [২]