দাওয়াতুল হক
দাওয়াতুল হক (আরবি: دعوة الحق) ছিল দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি জনপ্রিয় ত্রৈমাসিক আরবি ম্যাগাজিন।[১][২][৩] এটি ১৯৬৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুজ্জামান কিরানবি, যিনি একজন বিখ্যাত আরবি সাহিত্যিক ছিলেন। ত্রৈমাসিক দাওয়াতুল হক বন্ধ হওয়ার পর তিনি মাসিক আদ দাঈ চালু করেন।[৪] ম্যাগাজিনটি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রচার প্রসারে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিল।[৫]
বিষয় | ইসলাম |
---|---|
ভাষা | আরবি |
সম্পাদক | ওয়াহিদুজ্জামান কিরানবি |
প্রকাশনা বিবরণ | |
প্রকাশক |
বর্ণনা
সম্পাদনাশুরুতে ম্যাগাজিনটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ৬৪, পরে বৃদ্ধি করা হয়। "আফকার আল খাওয়াতির" শিরোনামে এর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হত।[৫] ম্যাগাজিনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল:
- বিশুদ্ধ ইসলামি চেতনা সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহর সচেতনতা সৃষ্টি করা।
- ইসলামের সমালোচকদের থেকে ইসলামি আকিদা রক্ষা করা।
- আরবি ভাষা ও সাহিত্যের প্রচার করা।
- সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আরব বিশ্বে ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার।
লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে ম্যাগাজিনটি বহু বুদ্ধিভিত্তিক, ধর্মীয়, সামাজিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যা দারুল উলুম দেওবন্দের আলেম, তাদের শিষ্য, আরবি ভাষা ও সাহিত্যের স্নাতকদের তাদের লেখা, গবেষণা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার পরিচয় দেয়। ওয়াহিদুজ্জামান কিরানবি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের চেয়ে হাদিস ও ফিকাহর চর্চা বেশি হচ্ছে। আরবের পাঠকরা যাতে প্রতিষ্ঠানটির সেবা সম্পর্কে জানতে পারে তাই তিনি এটি চালু করেন।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাউদ্ধৃতি
সম্পাদনা- ↑ আরবি, জিকরুল্লাহ (২০১৯)। Contribution of Darul Uloom Deoband to Arabic Journalism With Special Reference of Al-Die [আদ দাঈ-এর বিশেষ উল্লেখ সহ আরবি সাংবাদিকতায় দারুল উলুম দেওবন্দের অবদান] (গবেষণাপত্র)। ভারত: আরবি বিভাগ, মাওলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১১১–১১৫। hdl:10603/337869।
- ↑ নদভী, সরওয়ার আলম (২০০০)। Development of Arabic journalism in India after independence [স্বাধীনতার পর ভারতে আরবি সাংবাদিকতার বিকাশ] (গবেষণাপত্র)। ভারত: আরবি বিভাগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২১৮–২২৬। hdl:10603/57825।
- ↑ আলংগদন, আনিস (২০১৪)। Relocating Arabic language and literature with reference to Arabic journalism in India 1950 to 2000 [১৯৫০ থেকে ২০০০ ভারতে আরবি সাংবাদিকতার উল্লেখ সহ আরবি ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ] (গবেষণাপত্র)। ভারত: মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৬৫–১৬৭। hdl:10603/30548।
- ↑ ক খ আহমেদ, ফরিদ উদ্দিন (জুলাই ২০১৯)। "Arabic Journalism in India: its growth and development" [ভারতে আরবি সাংবাদিকতা : এর বৃদ্ধি এবং বিকাশ] (পিডিএফ)। প্রতিধ্বনি। ৮ (১): ৩১১–৩১২। আইএসএসএন 2278-5264। ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ দেসাই, আহমদ (২০১৫)। Development Of Indo Arabic Literature And The Contribution Of Dr Sayeedur Rahman Al A Zmi Al Nadwi To Al Baas Al Islami [ইন্দো আরবি সাহিত্যের বিকাশ এবং আল বাসুল ইসলামিতে ডক্টর সাঈদুর রহমান আল আজামি আন নদভীর অবদান] (গবেষণাপত্র)। ভারত: গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১০০–১০১। hdl:10603/93172।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- কামরামুজ্জামান (২০০১)। Maulavi Wahiduzzaman Karanvi His Contribution To Arabic Language And Literature In India [মৌলভি ওয়াহিদুজ্জামান কিরানভি: ভারতে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদান] (গবেষণাপত্র)। ভারত: আরবি বিভাগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। hdl:10603/57789।
- আব্দুর রহমান, ডক্টর (২০১৮)। "Contributions Of The Scholars Of Darul Uloom Deoband To The Development Of Arabic Journalism In India" [ভারতে আরবি সাংবাদিকতার বিকাশে দারুল উলুম দেওবন্দের আলেমদের অবদান]। আল দেবাল (আরবি ভাষায়)। ৩ (১): ৭৬–৭৮। আইএসএসএন 2415-5500।