দক্ষিণ বিহার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সাউথ বিহার (সিইউএসবি) বা দক্ষিণ বিহার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯ (২০০৯-এর ধারা ২৫)-এর অধীনে ভারত সরকার কর্তৃক ১৬ টি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের গয়া জেলার পঞ্চনপুরে অবস্থিত।[৩] লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার ২০১৪ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি গয়াতে স্থায়ী বিদ্যায়তনের ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[৪] বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যায়তনটি পঞ্চনপুরে ৩০০ একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। ডাঃ সি পি ঠাকুর হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নবনিযুক্ত আচার্য। সিইউএসবি হল এনএএসি কর্তৃক স্বীকৃত 'এ' গ্রেড বিশ্ববিদ্যালয়।
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৫ জানুয়ারি ২০০৯ |
আচার্য | সি.পি. ঠাকুর |
উপাচার্য | কামেশ্বর নাথ সিং[১] |
অবস্থান | , , |
ওয়েবসাইট | cusb |
সংস্থা ও প্রশাসন
সম্পাদনাশাসন
সম্পাদনাভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক। আচার্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রধান, তবে নির্বাহী ক্ষমতা উপাচার্যের নিকট থাকে। আদালত, কার্যনির্বাহী পরিষদ, একাডেমিক কাউন্সিল, বোর্ড অব স্টাডিজ ও ফিনান্স কমিটি হল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় আদালত হল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। আদালতটির নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তৃত নীতি ও কর্মসূচি পর্যালোচনা করার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থার প্রস্তাব করার ক্ষমতা রয়েছে; কার্যনির্বাহী পরিষদ হল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী সংস্থা। একাডেমিক কাউন্সিল হল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ একাডেমিক সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নীতিসমূহের উপর সমন্বয় ও অনুশীলনের জন্য সাধারণ তত্ত্বাবধানের জন্য কাজ করে। এটির সমস্ত একাডেমিক বিষয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। অর্থ কমিটি বা ফিনান্স কমিটি আর্থিক নীতি, লক্ষ্য ও বাজেট সুপারিশের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।[৫]
পঠন-পাঠন
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ও স্নাতক কর্মসূচির প্রস্তাব করে। প্রারম্ভিক সময়ে এনটিএ দ্বারা এবং কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ বা গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হত।[৬] এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিজ কমন এন্ট্রান্স টেস্ট (সিইউসিইটি) নামে একটি সর্বভারতীয় সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। পরীক্ষা ভারত জুড়ে বিভিন্ন শহরের পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহে অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "President Ram Nath Kovind approves appointments of vice chancellors of 12 central universities: Ministry of education"। The Times of India 13:29 IST। জুলাই ২৩, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১৩-১০-০২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "CUB admission process to begin today"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "Cong-JD (U) clash mars CUB foundation laying ceremony - The Times of India"। Timesofindia.indiatimes.com। ২০১৪-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "Central Universities Act, 2009"। ২০০৯-০৩-২০।
- ↑ "Central University of Bihar | Cub.ac.in - Central University of Bihar"। Cub.ac.in। ২০১৩-০৪-২৩। ২০১৪-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১।