থমাস মুর
স্যার থমাস মুর (ইংরেজি: Thomas More) (রোমান ক্যাথলিকদের কাছে সন্ত থমাস মুর নামে পরিচিত)[১][২] (৭ ফেব্রুয়ারি ১৪৭৮ - ৬ জুলাই ১৫৫৩) ছিলেন একজন ইংরেজ আইনজ্ঞ, সমাজ দার্শনিক, লেখক, কূটনীতিক ও রেনেসাঁ যুগের একজন মানবতাবাদী। তিনি ১৫২৯ সাল থেকে ১৬ মে ১৫৩২ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম এবং লর্ড চ্যান্সেলরের কাউন্সিলর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[৩] থমাস মুর প্রটেস্ট্যান্ট সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপক্ষে ছিলেন এবং সংস্কারের পক্ষে যারা ধর্মতত্ত্ব দিয়েছিলেন বিশেষ করে মার্টিন লুথার ও উইলিয়াম টিন্ডেলের মত লেখকদের বই তিনি পুরিয়ে ফেলেছিলেন। স্যার থমাস মুর একটি কাল্পনিক দ্বীপরাষ্ট্রের আদর্শ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে তিনি একটি বই লিখেন যার নাম "ইউটোপিয়া"। বইটি প্রকাশিত হয় ১৫১৬ সালে। পরবর্তীতে থমাস মুর ক্যাথলিক চার্চ থেকে রাজার কর্তৃত্ব অপসারণের বিপক্ষে ছিলেন এবং একই সাথে ক্যাথরিন অফ এরাগনকে বিয়ে করার জন্য ও পোপের কর্তৃত্ব স্বীকার করার জন্য চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সুপ্রিম হেড হিসেবে রাজার অবস্থানের বিরোধিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে সাজানো সাক্ষ্যের মাধ্যমে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
স্যার থমাস মুর | |
---|---|
লর্ড চ্যান্সেলর | |
কাজের মেয়াদ অক্টোবর ১৫২৯ – মে ১৫৩২ | |
সার্বভৌম শাসক | হেনরি অষ্টম |
পূর্বসূরী | থমাস উলসি |
উত্তরসূরী | থমাস আডলি |
চ্যান্সেলর অফ দি ডাচ অফ ল্যানসেস্টার | |
কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ১৫২৫ – ৩ নভেম্বর ১৫২৯ | |
সার্বভৌম শাসক | হেনরি অষ্টম |
পূর্বসূরী | রিচার্ড উইংফিল্ড |
উত্তরসূরী | উইলিয়াম ফিটজউইলিয়াম |
স্পিকার অফ দি হাউস অফ কমন্স | |
কাজের মেয়াদ ১৬ এপ্রিল ১৫২৩ – ১৩ আগস্ট ১৫২৩ | |
সার্বভৌম শাসক | হেনরি অষ্টম |
পূর্বসূরী | থমাস নেভেলি |
উত্তরসূরী | থমাস আডলি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৪৭৮ লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
মৃত্যু | ৬ জুলাই ১৫৩৫ টাউন হিল, লন্ডন যুক্তরাজ্য | (বয়স ৫৭)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় লিংকন্স ইন |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
স্বাক্ষর |
প্রথম জীবন
সম্পাদনাটমাস মুর ৭ ফেব্রুয়ারি ১৪৭৮ সালে লন্ডন শহরের মিল্ক স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্যার জন মুরের পুত্র ছিলেন। তিনি একজন একজন সফল আইনজীবী ছিলেন এবং পরবর্তীতে বিচারক হন। ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। মুর সেন্ট অ্যান্টনি'স স্কুলে শিক্ষিত হয়েছিলেন, যা তখন লন্ডনের সেরা স্কুলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হত। মুর ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি লাতিন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।
রচনাবলী
সম্পাদনামুর লিখেছিলেন ল্যাটিন ও ইংরেজি ভাষায়। তার লিখিত বইগুলো হচ্ছে,
- লাইফ অব জন পিকাস, আনু. ১৫০৬,
- হিস্ট্রি অব কিং রিচার্ড থ্রি,
- ইউটোপিয়া, ১৫১৬,
- রেসপন্সিও এড লুথেরাম, ১৫২৩,
- এপিস্টোলা এড পোমের্যানাম, ১৫২৬,
- ফোর লাস্ট থিংস, ১৫২২,
- টিন্ডলস আযান্সার, ১৫৩২-৩৩
- এ ডায়ালগ কনসারনিং হেরেসিস, ১৫৩৩,
- অ্যাাপোলজি, ১৫৩৩,
- ডেবেলাসিওন, ১৫৩৩,
- এ ডায়ালস অব কমফোর্ট এগেইনস্ট ট্রাইবুলেশন।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ St. Thomas More, 1478–1535 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে at Savior.org
- ↑ Homily at the Canonization of St. Thomas More ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে at The Center for Thomas More Studies at the University of Dallas, 2010, citing text "Recorded in The Tablet, June 1, 1935, pp. 694–695"
- ↑ Linder, Douglas O. The Trial of Sir Thomas More: A Chronology at University Of Missouri-Kansas City (UMKC) School Of Law
- ↑ টমাস মোর, ইউটোপিয়া, মোহাম্মদ দরবেশ আলী খান অনূদিত, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, জুন ১৯৮১, পৃষ্ঠা-৬-৭
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- The Center for Thomas More Studies at the University of Dallas
- Thomas More Chambers – The Chambers of Mr Geoffrey Cox QC, MP.
- Thomas More Studies database ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জুন ২০১২ তারিখে: contains several of More's English works, including dialogues, early poetry and letters, as well as journal articles and biographical material
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে Thomas More-এর সাহিত্যকর্ম ও রচনাবলী (ইংরেজি)
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে Sir Thomas More, or, Colloquies on the Progress and Prospects of Society
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে Sir Thomas More by William Shakespeare (spurious and doubtful works)
- Sir Thomas More: A Man for One Season, essay by James Wood. Presents a critical view of More's religious intolerance