ত্রয়োদশ শতাব্দী

শতাব্দী

ত্রয়োদশ শতাব্দী ছিল সেই শতাব্দী, যা ১২০১ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ১৩০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জুলীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে স্থায়ী হয়েছিল।

13 শতকের দরজা, রুই ডু সেন্সুর, কুসেটে (অ্যালিয়ার)

এতে মঙ্গোল সাম্রাজ্য চেঙ্গিজ খান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পূর্ব এশিয়া থেকে পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। হালাকু খানের বিজয় ও অন্যান্য মঙ্গোল আক্রমণগুলি মুসলিম বিশ্বের গতিপথ পরিবর্তন করে; বিশেষ করে বাগদাদ অবরোধ (১২৫৮), বাইতুল হিকমাহ ধ্বংস ও মামলুকরুম সালতানাতের দুর্বলতা স্পষ্ট হওয়া, যা ঐতিহাসিকদের মতে, ইসলামের স্বর্ণযুগের পতন শুরু। অন্য মুসলিম শক্তিগুলি; যেমন মালি সাম্রাজ্য পশ্চিম আফ্রিকা ও দিল্লি সালতানাত ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ অংশ জয় করে এবং তখন বখতিয়ার খিলজির নেতৃত্বে বৌদ্ধধর্মের পতন ঘটে।

সাউদার্ন সং রাজবংশ একটি সমৃদ্ধ রাজ্য হিসাবে এই শতাব্দী শুরু করেছিল; কিন্তু পরে আক্রমণের স্বীকার হয় এবং মঙ্গোলীয় ইউয়ান রাজবংশের সাথে যুক্ত হয়। জাপানের কামাকুরা শোগুনেট ১২৭৪ ও ১২৮১ সালে দুটি মঙ্গল আক্রমণ প্রচেষ্টা সফলভাবে প্রতিহত করে। কোরীয় রাজ্য গোরিও একটি মঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করেছিল; কিন্তু অবশেষে শান্তির জন্য চুক্তি করে এবং ইউয়ান রাজবংশের ক্লায়েন্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়। []

এই শতাব্দীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীনতম ইসলামি রাষ্ট্রগুলি গঠিত হয়েছিল; বিশেষত সামুদের পাসাই। [] সুখোথাই ও হানথাওয়াড্ডি রাজ্যগুলি আবির্ভূত হয় এবং তাদের আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করে। []

ইউরোপীয় ইতিহাসে, এই সময়কালকে উচ্চ মধ্যযুগের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

উত্তর আমেরিকায়, কিছু অনুমান মতে কাহোকিয়ার জনসংখ্যা ১৩ শতকের লন্ডনের জনসংখ্যার সাথে তুলনীয় হিসাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। [] পেরুতে কুজকো রাজ্যের সূচনা হয়।

কানেম সাম্রাজ্য (যা এখন চাদ) তার শীর্ষে পৌঁছে যায় এবং ইথিওপিয়াতে সলোমনি রাজবংশ ও জিম্বাবুয়ে কিংডম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মায়া সভ্যতায় এ শতাব্দীর শেষে পোস্টক্লাসিক যুগের সূচনা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Lee, Kenneth B. (১৯৯৭)। Korea and East Asia: The Story of a Phoenix। Greenwood Publishing Group। আইএসবিএন 9780275958237 
  2. "Samudra Pasai worthy to be world historical site"Republika Online। ২০১৭-০৩-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৪ 
  3. Coedès, George (১৯৬৮)। The Indianized States of Southeast Asia। trans.Susan Brown Cowing। University of Hawaii Press। আইএসবিএন 978-0-8248-0368-1 
  4. "Greater London, Inner London Population & Density History"www.demographia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১০  Quoting from The London Encyclopedia, Ben Weinreb and Christopher Hibbert, ed., Macmillan, 2010, আইএসবিএন ১৪০৫০৪৯২৫১