তৃতীয় চার্লস

যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহের রাজা ও রাষ্ট্রপ্রধান (২০২২-)

রাজা চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ[fn ১] (ইংরেজি: Charles Philip Arthur GeorgeKing; জন্ম: ১৪ নভেম্বর, ১৯৪৮) যুক্তরাজ্যের বর্তমান রাজা।[] ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্য এবং ১৪টি কমনওয়েলথ দেশ বা রাজ্যের রাজা এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।[] লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদে জন্মগ্রহণকারী এবং ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথপ্রিন্স ফিলিপ দম্পতির জ্যেষ্ঠ পুত্র তিনি।[] তিনি প্রিন্স অব ওয়েলস এন্ড আর্ল অব চেস্টার পদবীটি ১৯৫৮ সাল থেকে ধারণ করে আছেন। এছাড়াও তিনি বিবাহ-বিচ্ছেদকৃত ডায়ানা ও পরবর্তীকালে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ ক্যামিলার স্বামী।

তৃতীয় চার্লস
কমনওয়েলথের প্রধান (আরও)
২০২৩ সালে রাজা তৃতীয় চার্লস
রাজত্ব৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ - বর্তমান
জন্ম (1948-11-14) ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
বাকিংহাম প্রাসাদ, লন্ডন, ইংল্যান্ড
দাম্পত্য সঙ্গীডায়ানা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস
(বিবাহ - ১৯৮১, বিচ্ছেদ - ১৯৯৬)
ক্যামিলা, কুইন কনসর্ট
(বিবাহ - ২০০৫)
বংশধরপ্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্স অফ ওয়েলস
প্রিন্স হ্যারি, ডিউক অফ সাসেক্স
পূর্ণ নাম
চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ[fn ১]
রাজবংশহাউজ অব উইন্ডসর
পিতাপ্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবার্গ
মাতাদ্বিতীয় এলিজাবেথ
ধর্মচার্চ অব ইংল্যান্ড

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

১৪ নভেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে[] গ্রীনিচ মান সময় ৯:১৪ ঘটিকায় বাকিংহাম প্রাসাদে চার্লস জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের পূর্বেই ২২ অক্টোবর, ১৯৪৮ তারিখে রাজা ষষ্ঠ জর্জের রাজাজ্ঞা পত্রের মাধ্যমে ঘোষিত হয়েছিল যে, প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং ডিউক অব এডিনবরার কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই সন্তানটি রাজকুমার হিসেবে বিবেচিত হবে। সেইসূত্রে চার্লস জন্মকালীন সময় থেকেই প্রিন্সের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।[]

১৯৫৫ সালে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, চার্লস গৃহ অভ্যন্তরে পড়াশোনা করবেন ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের অধিকারী হবেন। এরফলে তিনিই প্রথম রাজসিংহাসনের দাবীদার হিসেবে প্রথম এ ধরনের শিক্ষার সুযোগ লাভ করেন।[] বাকিংহাম প্রাসাদের অভ্যন্তরে গৃহশিক্ষা লাভের পর তিনি লন্ডন, হ্যাম্পশায়ার এবং স্কটল্যান্ডে পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯৬৭ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭১ সালে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি অ্যাবেরিস্টিথ ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ওয়েলসে অধ্যয়ন করেন। এরপর রয়্যাল এয়ারফোর্স কলেজ ও ডার্টমাউথের রয়্যাল নেভাল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬ মেয়াদকালের রয়্যাল নেভিতে সফরকালীন দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে আধুনিক স্থাপত্যবিদ্যার সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন চার্লস। ১৯৮৯ সালে এ ভিশন অব ব্রিটেন নামীয় সাময়িকীতে তিনি এ সম্পর্কীয় মতামত প্রতিফলন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি প্রিন্স অব ওয়েলস ইনস্টিটিউট অব আর্কটেকচার নামীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে শহর পুণর্গঠন ও উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে পরিচিত বিআরই ট্রাস্টের সাথে জড়িত হয়।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

যুবক বয়সে চার্লস অনেক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। চার্লসের বান্ধবীদের তালিকায় ছিলেন - জর্জিনা রাসেল,[] লেডি জেন ওয়েলেসলে,[] ডেভিনা শেফিল্ড,[১০] লেডি সারাহ ম্যাককরগুডেল,[১১] ক্যামিলা[১২] প্রমূখ। অবশ্য পরবর্তীকালে ক্যামিলা চার্লসের দ্বিতীয় পত্নী হয়েছিলেন।[১৩]

ডায়না, প্রিন্সেস অব ওয়েলসকে ১৯৮১ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। এ সংসারে প্রিন্স উইলিয়ামপ্রিন্স হ্যারি অব ওয়েলস নামে দুই পুত্র রয়েছে। পরবর্তীতে ২০০৫ সাল থেকে ক্যামিলা, ডাচেস অব কর্নওয়াল এর সাথে সংসারধর্ম পালন করছেন চার্লস।

পাদটীকা

সম্পাদনা
  1. রাজকীয় শিরোনাম হিসাবে, চার্লস কোনো উপাধি ব্যবহার করেন না, তবে, যখন প্রয়োজন হয়, এটি মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "The Royal Family name"The Official Website of the British Monarchy। The Royal Household। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  2. "নতুন যুগে যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্র"দৈনিক প্রথম আলো। ৭ মে ২০২৩। 
  3. "ব্রিটেনের নতুন রাজা হলেন চার্লস - তার ক্ষেত্রে এরপর যা যা ঘটবে"বিবিসি বাংলা। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। 
  4. "Prince of Wales' biography"। ৯ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  5. Brandreth 2007, পৃ. 120।
  6. "নং. 38452"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 5889। ৯ নভেম্বর ১৯৪৮। 
  7. "Growing Up Royal"Time। ২৫ এপ্রিল ১৯৮৮। ৩১ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০০৯ 
  8. Brandreth 2007, পৃ. 192।
  9. Brandreth 2007, পৃ. 193।
  10. Brandreth 2007, পৃ. 194।
  11. Brandreth 2007, পৃ. 195।
  12. Brandreth 2007, পৃ. 178।
  13. Brandreth 2007, পৃ. 15-17।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা