তুরুঙ্কলু মসজিদ
তুরুঙ্কলু মসজিদ (তুর্কি: Turunçlu Camii), তুরুঙ্কলু ফাতেহ মসজিদ নামেও পরিচিত হচ্ছে তুর্কি সাইপ্রাসের দক্ষিণ নিকোশিয়ার ইপলিক বাজারে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি উসমানীয় সাম্রাজ্যকালে প্রতিষ্ঠিত।[১] এটি বেলিগ পাশা সড়কে অবস্থিত।[২]
তুরুঙ্কলু মসজিদ | |
---|---|
Turunçlu Camii | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
মালিকানা | ইভকাফ প্রশাসন |
অবস্থা | চালু |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইপলিক বাজার, নিকোশিয়া, সাইপ্রাস |
পৌরসভা | নিকোশিয়া পৌরসভা |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | অটোমান স্থাপত্য |
প্রতিষ্ঠাতা | সৈয়দ মেহমেদ আগা |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮২৫ |
বিনির্দেশ | |
সম্মুখভাগের দিক | উত্তর-পূর্ব |
ধারণক্ষমতা | ২১০ মুসল্লি |
মিনার | ১ |
মসজিদটির ধারণক্ষমতা মাত্র ২১০ জন মুসল্লি। এর অভ্যন্তরীণে জায়গা ১৪৮ বর্গ মিটার। ২০১১ সালের হিসাবে এর সদস্য মাত্র ৩২ জন।[৩]
ইতিহাস
সম্পাদনাঊনবিংশ শতাব্দীর আগে এই স্থানে একটি ছোট মসজিদ ছিল। ১৮২৫ সালে সাইপ্রাসের গভর্নর সেয়িত মেহমেদ আগা মসজিদের জায়গায় নতুন মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে মসজিদটি ফেথিয়ে মসজিদ নামে পরিচিত ছিল এবং এটি মেরটেক মার্কেটে অবস্থিত ছিল। এই মসজিদের সাথে একটি সিবিয়ান বিদ্যালয় (একটি ঐতিহাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়) সংযুক্ত ছিল। মেহমেদ আগা দ্বারা বিদ্যালয়টি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং "মেকতেব-ই ইরফানে" (জ্ঞানের বিদ্যালয়) নামে একটি নতুন বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। ১৮৯৪ সালে বিদ্যালয়টিতে এর সমস্ত ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা ছিলোনা। বিদ্যালয় প্রশাসনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিদ্যালয়টি সংস্কার করা হয়নি এবং ১৯০৪ সাল নাগাদ এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ফলস্বরূপ ১৯০০-এর দশকে বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙে ফেলা হয় এবং একটি নতুন ভবন হয়।[৪]
১৯৭২ সালে মসজিদের একটি বাহ্যিক প্রাচীর ধসে পড়ে। এই প্রাচীর পরে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
স্থাপত্য
সম্পাদনামসজিদটির উত্তর-পূর্ব-দক্ষিণ-পশ্চিম অভিমুখে একটি আয়তক্ষেত্রাকারে বর্ধন পরিকল্পনা রয়েছে। সামনের উত্তর দিকের সম্মুখভাগটি ছয়টি সূচালো খিলান দ্বারা সমর্থিত।বআর পশ্চিমের সম্মুখভাগটি চারটি খিলান দ্বারা সমর্থিত।[৪] মিহরাব ও মিম্বর বারোক বৈশিষ্ট্যে তৈরি।[২]
উত্তর-পূর্বে একটি কাঠের মেজানাইন রয়েছে যা মহিলাদের বিভাগে যেতে সহায়ক। নলাকার মিনারটি উত্তর-পূর্বে দাঁড়িয়ে আছে এবং যেদিকে একটি অলঙ্কৃত বারান্দাও রয়েছে। মসজিদের নামাজের জায়গা দিয়ে মিনারে যাওয়া যায়।[৪]
প্রবেশের মুখে একটি শিলালিপি রয়েছে যা ১৮২৫ সালের। এটিতে উসমানীয় তুর্কি ভাষায় শ্লোক রয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bodur, Murat (১৮ নভেম্বর ২০১১)। "Tarihi Osmanlı Cami'leriyle geçmişe yolculuk"। Star Kıbrıs। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ "Turunçlu Fethiye Camii"। Nicosia Turkish Municipality। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Lefkoşa'ya 3657 mümin aranıyor"। Haber Kıbrıs। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ Bağışkan, Tuncer (২০০৫)। Kıbrıs'ta Osmanlı Türk Eserleri। Turkish Cypriot Association of Museum Lovers। পৃষ্ঠা 104–7।