তারবেলা বাঁধ

পাকিস্তানের বাঁধ

তারবেলা বাঁধ (উর্দু/পশতু: تربیلا بند) পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সিন্ধু নদের উপর একটি আর্থ-ফিল্ড বাঁধ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম আর্থ-ফিল্ড বাঁধ এবং কাঠামোগত আয়তন দিক দিয়েও বৃহত্তম।[][][] খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবি[] এবং হরিপুর জেলায় এটি অবস্থিত, বাঁধটি সোয়াবি শহর থেকে ৩০ কিমি (২০ মা) দূরে, ইসলামাবাদের উত্তর-পশ্চিমে ১০৫ কিমি (৬৫ মা) এবং পেশাওয়ারের পূর্বে ১২৫ কিমি (৮০ মা)।

তারবেলা বাঁধ
تربیلا بند
২০১০ সালের বন্যার সময় তারবেলা বাঁধ
অবস্থানসোয়াবিহরিপুর জেলা, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান
স্থানাঙ্ক৩৪°০৫′২৩″ উত্তর ৭২°৪১′৫৪″ পূর্ব / ৩৪.০৮৯৭২২২২২২° উত্তর ৭২.৬৯৮৩৩৩৩৩৩৩° পূর্ব / 34.0897222222; 72.6983333333
নির্মাণ শুরু১৯৬৮ সাল
উদ্বোধনের তারিখ১৯৭৬ সাল
নির্মাণ ব্যয়ইউএসডি ১.৪৯৭ বিলিয়ন[]
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ
আবদ্ধতাসিন্ধু নদ
উচ্চতা১৪৩.২৬ মিটার (৪৭০ ফু) নদী উচ্চতা থেকে
দৈর্ঘ্য২,৭৪৩.২ মিটার (৯,০০০ ফু)
জলাধার
তৈরিতারবেলা জলাধার
মোট ধারণক্ষমতা১৩.৬৯ ঘনকিলোমিটার (৩.২৮ মা)
অববাহিকার আয়তন১,৬৮,০০০ কিমি (৬৫,০০০ মা)
পৃষ্ঠতলের আয়তন২৫০ কিমি (৯৭ মা)
পাওয়ার স্টেশন
ঘূর্ণযন্ত্র১০ × ১৭৫ মেগাওয়াট
৪ × ৪৩২ মেগাওয়াট
স্থাপিত ক্ষমতা৪,৮৮৮ মেগাওয়াট
৬,২৯৮ মেগাওয়াট (সর্বোচ্চ)

বাঁধটি নদীপৃষ্ঠ থেকে ১৪৩ মিটার (৪৭০ ফু)উপরে। এটি প্রায় ২৫০ বর্গকিলোমিটার (৯৭ মা) একটি পৃষ্ঠ এলাকা দিয়ে তারবেলা জলাধার গঠিত। বাঁধটি ১৯৭৬ সালে সম্পন্ন হয় এবং সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের জন্য সিন্ধু নদের পানি সংরক্ষণের জন্য নকশা করা হয়েছিল।[]

এটার প্রাথমিক ব্যবহার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। ৩,৪৭৮ মেগাওয়াট ইনস্টল ধারণক্ষমতার তারবেলা জলবিদ্যুৎ পাওয়ার স্টেশন চলমান চতুর্থ সম্প্রসারণের পর ৬,২৯৮ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি হবে এবং পরিকল্পিত পঞ্চম সম্প্রসারণে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করেছে।[]

প্রকল্প বর্ণনা

সম্পাদনা

প্রকল্পটি সিন্ধু নদ উপত্যকার একটি সংকীর্ণ জায়গায়, তারবেলা শহরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। তারবেলা বাঁধটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবি এবং হরিপুর জেলায় অবস্থিত।

 
একটি বাঁধের পিছনে জলাধার হিসাবে তারবেলা হ্রদ গঠিত হয়েছিল

মূল বাঁধের প্রাচীর মাটি ও শিলা দিয়ে নির্মিত, দ্বীপ থেকে নদীর ডানদিকে ২৭৪৩ মিটার (৮,৯৯৯ ফুট) প্রসারিত ও ১৪৮ মিটার (৪৮৬ ফুট) উঁচুতে খাড়া। একজোড়া কংক্রিট সহায়ক বাঁধগুলো দ্বীপ থেকে নদীর বাম দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধের দুটি স্পিলওয়ে মূল বাঁধের চেয়ে সহায়ক বাঁধগুলোতে রয়েছে। প্রধান স্পিলওয়েটিতে সেকেন্ডে ১৮,৪০৬ ঘনমিটার (৬৫০,০০০ কিউ ফুট/সে) এবং সহায়ক স্পিলওয়েতে প্রতি সেকেন্ডে ২৪,০৭০ ঘনমিটার (৮৫০,০০০কিউফুট/সে) পানি প্রবাহের ক্ষমতা রয়েছে। বাৎসরিকভাবে তারবেলায় নিঃসৃত ৭০% এরও বেশি পানি স্পিওলওয়ে পেরিয়ে যায় এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয় না।[]

তারবেলা বাঁধের বহির্গমন কাজের অংশ হিসাবে পাঁচটি বৃহৎ টানেল নির্মিত হয়েছিল। টানেলগুলোর ১ থেকে ৩ এর মধ্যে টারবাইন থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, ৪ এবং ৫ নং টানেল সেচ ব্যবহারের জন্য নকশা করা হয়েছিল। উভয় টানেলকে তারবেলার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জলবিদ্যুৎ টানেলে রূপান্তর করা হয়েছে। মূলত এই টানেলগুলো বাঁধ তৈরির সময় সিন্ধু নদী অন্যদিকে সরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

পটভূমি

সম্পাদনা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরের পর তারবেলা বাঁধটি সিন্ধু অববাহিকা প্রকল্পের অংশ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল পূর্বের নদীসমূহের (রাভি, সুতলেজ এবং বীইস) পানি সরবরাহের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যা চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে ভারত একচেটিয়া ব্যবহারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।[] বাঁধের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বর্ষা সময়কালে পানি প্রবাহ সংরক্ষণ করা এবং শীতকালে পানির স্বল্প প্রবাহের সময় সঞ্চিত পানি ছেড়ে দিয়ে সেচের জন্য পানি সরবরাহ করা। ১৯৭০-এর মাঝামাঝি সময়ে, পরবর্তী তিনটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রসারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছিল যা ১৯৯২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল এবং মোট ৩,৪৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা স্থাপন করেছিল।

নির্মাণ

সম্পাদনা
 
তারবেলা বাঁধে জেনারেটর

নদীর বিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য তারবেলা বাঁধ নির্মাণের কাজ তিনটি পর্যায়ে করা হয়েছিল। ইতালীয় সংস্থা সালিনি ইম্পেগ্রেইলো নির্মাণকাজ শুরু করেছিলো।[১০]

প্রথম পর্যায়

সম্পাদনা

প্রথম পর্যায়ে, সিন্ধু নদীকে তার প্রাকৃতিক চ্যানেলে প্রবাহিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যখন ডান তীরে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল সেখানে একটি ১৫০০ ফুট (৪৫৭ মিটার) দীর্ঘ এবং ৬৯৪.৮ ফুট (২১২ মিটার) প্রশস্ত বিস্তৃত চ্যানেলটি খনন করা হয়েছিল। ১০৫ ফুট (৩২ মিটার) উঁচু আলম্ব বাঁধটিও নির্মিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায় নির্মাণ প্রায় ২.৫ বছর ধরে চলেছিল।

দ্বিতীয় পর্যায়

সম্পাদনা

দ্বিতীয় বাঁধ নির্মাণের অংশ হিসাবে সিন্ধু নদীর মূল উপত্যকা জুড়ে মূল বাঁধ এবং উজানের পুরু আস্তরণ নির্মিত হয়েছিল। এই সময়ে, সিন্ধু নদী থেকে পানি ডাইভার্সন চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে, সুড়ঙ্গগুলি বিবর্তনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায় নির্মাণটি সম্পূর্ণ হতে 3 বছর সময় নেয়।[১১]

তৃতীয় পর্যায়

সম্পাদনা

নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের অধীনে, ডাইভার্সন টানেলের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত করার সময় ওই অংশে ডাইভার্সন চ্যানেল বন্ধ ও বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়েছিল। উজানের পুরু আস্তরণের অবশিষ্ট অংশ এবং উচ্চ স্তরের মূল বাঁধের কাজও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ হিসাবে সম্পন্ন হয়েছিল, যা ১৯৭৬ সালে শেষ হয়েছিল।[১১]

তারবেলা বাঁধ দ্বারা আক্রান্ত মানুষদের পুনর্বাসন

সম্পাদনা

এটির প্রায় ২৬০ বর্গকিলোমিটার জলাধার রয়েছে এবং এটি নির্মাণের জন্য প্রায় ৮২,০০০ একর (৩৩,০০০ হেক্টর) একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। বাঁধের বিশাল জলাশয়ে ১৩৫ টি গ্রাম ডুবে গেছে, যার ফলে প্রায় ৯৬,০০০ জন লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছিল,[১২] যাদের অধিকাংশ তারবেলা জলাশয়ের আশেপাশের শহরতলিতে বা আশেপাশের উঁচু উপত্যকায় স্থানান্তরিত হয়েছিল।[১৩]

১৯৮৪ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইনের অধীনে অধিগ্রহণ করা জমি ও নির্মাণ-করা সম্পত্তির জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের ৪৬৯.৫ মিলিয়ন টাকা নগদ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল। জাতীয় নীতিমালার অভাবে, তারবেলা বাঁধ দ্বারা বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্বেগকে অ্যাডহক ভিত্তিতে সমাধান করা হয়েছিল। ২০১১ সালে, বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে পাকিস্তান সরকার তাদের এমন ক্ষয়ক্ষতির জন্য এই জাতীয় অনেক লোককে পুনর্বাসিত বা ক্ষতিপূরণ হিসাবে জমি দেয়নি।[১৪] তবে যারা বাড়ি হারিয়েছেন তাদের কয়েকজন খালাবাত টাউনশিপ এবং হ্যামলেট, নিউ জাগল, মাখান কলোনী, ছোহার কলোনী, হ্যামলেট কলোনী গাজী, সখিবাদ, সরাই গাদাইয়ের নিকট ঝাং-ঘোড়া, নিউ পিন্ড খানখেল, ফারুকিয়া, খানপুরের নিকটে জুলিয়ান, হরিপুরের কাগের নিকটবর্তী দানা কলোনী, পাঠানকোট বাহ্তর, কাঠা, ধারিক, মুসা (হাজরো) ইসলামপুর লাব মিল, সুলতানপুর, উত্তমানাবাদ, লঙ্গার নওয়াজগাহ, ইসলামকোট ভাইদীয়ান, জেলা আত্তোকের নাজারাবাদ এবং তোপি, রফিকাবাদ (শেওয়া আদা), সাদ্রি জাদেদ, পাক কেয়া, জেলা সোয়াবির হুন্ড, আহতা উসমান খাত্তর (ট্যাক্সিলা) নাথা খান গোথ (করাচি), জেলা ঝাং, জেলা টোবা টেক সিং-এ বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এগুলি হল তারবেলা বাঁধের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের গ্রাম। বহু লোক পাকিস্তান জুড়ে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই লোকগুলির এখনও চাইল (چادر) কাটোয়া গোশত, মুখা (একটি খেলা) এবং গাটকা পালিং [sic?] এর নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে।

জীবনকাল

সম্পাদনা

যেহেতু সিন্ধু নদীর উৎস হিমালয় থেকে বরফ গলিত পানি, তাই এই নদীটি প্রচুর পরিমাণে পলি বহন করে, সাথে ২০০ মিলিয়ন টনের বার্ষিক নিলম্বিত পলি ভারও বহন করে।[১৫] গত ৩৮ বছরে পলির কারণে তারবেলা জলাধারের সরাসরি ধারণ ক্ষমতা ৩৩.৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়ে ৬.৪৩৪ মিলিয়ন একর ফুট (এমএএফ) হয়েছে।[১৬]

বাঁধ এবং জলাশয়ের কার্যকর জীবন আনুমানিক ৫০ বছর অনুমান করা হয়েছিল। যাইহোক, অধঃক্ষেপণের তুলনায় পললতা অনেক কম ছিল এবং এখন অনুমান করা হয়েছে যে, বাঁধের কার্যকর জীবনকাল ৮৫ বছর হয়ে প্রায় ২০৬০ সাল হবে।[১৭]

প্রকল্প উপকারিতা

সম্পাদনা

বাঁধের প্রাথমিক উদ্দেশ্য পূরণের পাশাপাশি, সেচের জন্য পানি সরবরাহ করার জন্য, তারবেলা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্পাদনের পর থেকে ৩৪১.১৩৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করেছে। ১৯৯৮-৯৯ এর সময়কালে ১৬.৪৬৩ বিলিয়ন কিলোওয়াট বার্ষিক উৎপাদনের রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০০৭-০৮ সময়কালে বার্ষিক উৎপাদন ছিল ১৪.৯৫৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট, যখন স্টেশনটি বছরে ৩৭০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল যা মোট ওয়াপদা সিস্টেমের শীর্ষের ২৩.০৫৭% ছিল।[১৮]

তারবেলা-৪ সম্প্রসারণ প্রকল্প

সম্পাদনা

তারবেলা বাঁধের সম্প্রসারণ-৪ পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০১২ সালের জুনে এবং পিসি-১ প্রকল্পের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ওলসন ২০১৩ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সফরকালে এই প্রকল্পটি নির্মাণে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।[১৯]

অর্থায়ন

সম্পাদনা

প্রকল্পটির ব্যয় প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল ৯২৮ মিলিয়ন ডলার,[২০] তবে ব্যয় বাড়িয়ে পরিবর্তন করে ৬৫১ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। [২১] বিশ্বব্যাংক ২০১৩ সালের জুনে এই প্রকল্পের জন্য ৮৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।[২২]

তারবেলা-৫ সম্প্রসারণ প্রকল্প

সম্পাদনা

তারবেলা বাঁধটি পাঁচটি মূল টানেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রথম তিনটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উৎসৃষ্ট, এবং বাকি দুটি সেচ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। চতুর্থ পর্যায়ের সম্প্রসারণ প্রকল্পটি দুটি সেচ টানেলের প্রথমটি ব্যবহার করে, যখন পঞ্চম পর্বের সম্প্রসারণটি দ্বিতীয় সেচ টানেলটি ব্যবহার করবে।[২৩] পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের আগস্টে[২৪] তারবেলা-পঞ্চম সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য আগ্রহের প্রকাশ চেয়েছিল এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নির্মাণের জন্য চূড়ান্ত সম্মতি দেওয়া হয়েছিল।[২৩]

২০২১ সালের জুলাই মাসেও[কখন?] নির্মাণ শুরু হয়নি তবে শেষ হওয়ার জন্য আনুমানিক ৩.৫ বছর লাগবে।[২৩] প্রকল্পটির জন্য তারবেলার পঞ্চম টানেলে ৪৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি টারবাইন স্থাপনের প্রয়োজন হবে যা পূর্বে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য নিবেদিত ছিল।[২৫] শেষ হলে তারবেলা বাঁধের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬,২৯৮ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।[২৫]

পঞ্চম টানেল এর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে: বিদ্যুৎ উৎপাদন সুবিধা এবং বিদ্যুৎ উদ্বাবসন সুবিধা। প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত প্রধান কাজগুলি হল টানেল ৫-এর পরিবর্তন করা ও একটি নতুন পাওয়ার হাউস তৈরি করা এবং এর আনুষঙ্গিকগুলি বছরে প্রায় ১,৮০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।

অর্থায়ন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Tarbela Dam Costs" (পিডিএফ)। ১৩ জুন ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬ 
  2. Asianics Agro-Dev. International (Pvt) Ltd. (২০০০)। Tarbela Dam and related aspects of the Indus River Basin, Pakistan (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Cape Town: World Commission on Dams। ২০১০-০৬-১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৮ 
  3. Earth Sciences Web Team। "Tarbela Dam, Pakistan"Earth Observatory। National Aeronautics and Space Administration। ২০১০-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৮ 
  4. "Tarbela Dam"। PakistanPaedia। ২০০৬-০৮-০৭। ২০০৯-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৬ 
  5. Tarbela Dam ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে. WAPDA.
  6. Rodney White (১ জানুয়ারি ২০০১)। Evacuation of Sediments from Reservoirs। Thomas Telford Publishing। পৃষ্ঠা 163–169। আইএসবিএন 978-0727729538। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩ 
  7. "World Bank approves $390m loan for Tarbela fifth extension – The Express Tribune" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২২ 
  8. "PROJECT APPRAISAL DOCUMENT ON A PROPOSED LOAN IN THE AMOUNT OF US$400 MILLION AND Report No: 60963-PK PROPOSED CREDIT IN THE AMOUNT OF 283.7 MILLION SDRS (US$440 MILLION EQUIVALENT) TO THE ISLAMIC REPUBLIC OF PAKISTAN FOR THE TARBELA FOURTH EXTENSION HYDROPOWER PROJECT (T4HP)" (পিডিএফ)। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬Annually, over 70 percent of the water is spilled over the spillway instead of generating hydropower. 
  9. "History"। ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬ 
  10. "Tarbela Dam Project, Haripur District, Pakistan"। Water Technology। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৬ 
  11. "Tarbela Dam"। WAPDA। ২৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬ 
  12. Terminski, Bogumil (2013). "Development-Induced Displacement and Resettlement: Theoretical Frameworks and Current Challenges", Indiana University
  13. "Pakistan: Tarbela dam"। ২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬ 
  14. "Settlement of Tarbela Dam affectees claims"। Pakistan & Gulf Economist। ৩০ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১ 
  15. Roca, M.। "Tarbela Dam in Pakistan. Case study of reservoir sedimentation" (পিডিএফ): 1। ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৬ 
  16. "Another $51m to expedite Tarbela project completion"। ৭ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬ 
  17. Lorrai, C and Pasche, N. 'Tarbela Dam-Case Study' Swiss Federal Institute of Technology Zurich: April 2007
  18. "Archived copy"। ২০১২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-২৯ 
  19. "US to provide $25m for Tarbela dam extension"The Dawn (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৩-০৬। 
  20. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; nationsep10 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  21. "Another $51m to expedite Tarbela project completion"। Dawn। ৭ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬The original T4 project was estimated to cost $928m, but the project authorities had been able to conclude the project contract at $651m. 
  22. "World Bank to provide $840m for Tarbela extension"Pakistan Today। ১৩ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  23. Harris, Michael (২ অক্টোবর ২০১৫)। "Pakistan's 1,300-MW Tarbela 5th Extension hydropower project receives next-to-last approval"। Hydroworld। ৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬ 
  24. "Pakistan extends consultant call for 1,300-MW Tarbela Dam 5th Extension"। Hydroworld। ১৯ আগস্ট ২০১৪। ৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬ 
  25. "WAPDA to submit $795.8m PC-1 of Tarbela 5th extension project for approval"। The Daily Times। ২৬ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৬ 

বহিসংযোগ

সম্পাদনা