তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ
তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ (আরবি: تنظيم المدارس الدينية بنغلاديش) হল বাংলাদেশে অবস্থিত সরকার স্বীকৃত উত্তরবঙ্গ ভিত্তিক একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড,[১] যা বগুড়া জামিল মাদ্রাসার অধীনে পরিচালিত হয়।[২][৩] ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল মুফতি আবদুর রহমানের উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বোর্ডের অধীনে প্রায় ১৫৬৩টি মাদ্রাসা রয়েছে।[৪]
تنظيم المدارس الدينية بنغلاديش | |
সংক্ষেপে | তানযীম |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ৩ এপ্রিল ১৯৯৫ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুফতি আবদুর রহমান |
সদরদপ্তর | তানযীম ভবন, বগুড়া জামিল মাদ্রাসা |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফারসি |
সভাপতি | আরশাদ রহমানি |
সহ-সভাপতি | আব্দুর রউফ |
সহ-সভাপতি | মুহাম্মদ ইউনুস |
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক | আব্দুল হক হক্কানি |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | আল হাইআতুল উলয়া |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল মুফতি আবদুর রহমানের উদ্যোগে আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম বগুড়ায় উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা হতে আগত ৪ শতাধিক মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের উপস্থিতিতে একটি ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে “তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ” নামে একটি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। উক্ত সম্মেলনের ঘোষণা মোতাবেক এই বোর্ড হবে সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ ভাবে উত্তরবঙ্গে অবস্থিত কওমি মাদ্রাসা সমূহের শিক্ষা-দীক্ষা ও ইসলামি সভ্যতা - সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সংক্রান্ত জাতীয় প্রতিষ্ঠান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল মজলিসে শুরার বৈঠকে বোর্ডের কার্যাদি সুচারুরূপে ও সুশৃংখলভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য একটি গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয় এবং তা মুদ্রিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কওমি মাদ্রাসার সাথে জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা শুরু হলে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তানযীম বোর্ড বগুড়ায় একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সম্মেলনে দেড় হাজারের অধিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল যোগদান করে। উক্ত সম্মেলনের ঘোষিত হয়, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার আলেম-উলামাদের কোনো সম্পর্ক অতীতে ছিল না, এখনও নেই। থাকার প্রশ্নই আসে না। কেননা ইসলাম সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।”[৪]
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাবোর্ডের অধীনে এক সহস্রাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:[৫]
- আল জামিয়া আল ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম বগুড়া
- জামেয়া আরাবিয়া শামছুল উলুম কারবালা মাদ্রাসা
- আল জামিয়া আল ইসলামিয়া আল্লামা মুহাম্মদ মিয়া কাসেমী মাদ্রাসা
- জামিয়া আরাবিয়া নিউ টাউন, দিনাজপুর
- আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদীনাতুল উলুম থানাঘাট শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ
- জামিয়া হুসাইনিয়া খুকনী, সিরাজগঞ্জ
- শাহ কামালিয়া মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা
- মদিনাতুল উলুম চকসূত্রাপুর মাদ্রাসা
- মাদ্রাসাতুল উলুমিল ইসলামিয়া রৌহা, সিরাজগঞ্জ
- দারুল উলুম মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা রেলবাজার, পাবনা
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' এর অধীন 'কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮'"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০২।
- ↑ "কওমি মাদ্রাসা বোর্ড তানযীমের ফল প্রকাশ | কালের কণ্ঠ"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০২।
- ↑ "মাদ্রাসা"। বাংলাপিডিয়া। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ক খ "কওমি মাদ্রাসার আলেম-উলামারা জঙ্গিবাদে নেই"। বাংলানিউজ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে –– আল হাইআতুল উলয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট