তাজ-উল-মাসাজিদ
তাজ-উল-মসজিদ (আরবি: تَاجُ ٱلْمَسَاجِد, প্রতিবর্ণীকৃত: Tāj-ul-Masājid, অনুবাদ 'মসজিদের মুকুট') ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি ভারতের সর্ব বৃহত্তম মসজিদ এবং এশিয়া সর্ববৃহৎ মসজিদগুলোর অন্যতম।[১][২]
তাজ-উল-মসজিদ | |
---|---|
تَاجُ ٱلْمَسَاجِد | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি |
অবস্থান | |
অবস্থান | ভোপাল, মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৩°১৫′৪৭″ উত্তর ৭৭°২৩′৩৪″ পূর্ব / ২৩.২৬২৯৩৪° উত্তর ৭৭.৩৯২৮০২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইন্দো-ইসলামী স্থাপত্য, মোগল স্থাপত্য |
অর্থায়নে | শাহ জাহান বেগম, বাহাদুর শাহ জাফর |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ১,৭৫,০০০+ |
অভ্যন্তরীণ | ২৩,০০০ বর্গমিটার (২,৫০,০০০ বর্গফুট)[১] |
গম্বুজসমূহ | ৩ |
মিনার | ২ |
ইতিহাস
সম্পাদনামোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের রাজত্বকালে ভোপালের নবাব শাহ জাহান বেগম (নবাব সৈয়দ সিদ্দিক হাসান খানের স্ত্রী) এই মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং তার কন্যা সুলতান জাহান বেগম নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। তার জীবদ্দশায় তহবিলের অভাবে মসজিদটি সম্পন্ন হয়নি এবং ১৮৫৭ সালের যুদ্ধের পরে নির্মাণকাজ দীর্ঘ দিন বন্ধ হওয়ার পরে ১৯৭১ সালে ভোপালের আল্লামা মোহাম্মদ ইমরান খান নদভী আজহারী এবং মাওলানা সায়েদ হাশমত আলী এর নির্মাণকাজ শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কুয়েতের আমির তার প্রয়াত স্ত্রীর স্মরণে প্রায় ১২৫০ সিরিয় মসজিদের মোটিফ ব্যবহার করে এর পূর্ব দিকের ফটকটি সংস্কার করতে অর্থায়ন করেন।
স্থাপত্য
সম্পাদনাদিল্লীর জামে মসজিদ এবং লাহোরের বাদশাহী মসজিদের মত, এই মসজিদে গোলাপী রঙের মার্বেল পাথরের তিনটি গম্বুজসহ দুটি ১৮তলা উঁচু অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। মূল হলওয়েতে মুগল স্থাপত্যের মতো আকর্ষণীয় স্তম্ভ এবং মেঝেতে চিত্তাকর্ষক মার্বেল রয়েছে। মসজিদের প্রাঙ্গণে একটি বিশাল ট্যাঙ্ক রয়েছে। মসজিদটির একটি দ্বিতল ফটক রয়েছে।
বার্ষিক ইজতেমা
সম্পাদনাআলমি তাবলিগি ইজতিমা, একটি বার্ষিক তিন দিনের সম্মেলন, যা সারা বিশ্বের মানুষকে আকর্ষণ করে। জায়গার অভাবের কারণে এটি শহরের বাইরে ইসলাম নগরে স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত তাজ-উল-মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
তাজ-উল-মসজিদ গেট
-
তাজ-উল-মসজিদের প্রবেশ গেট
-
বিমান থেকে তাজ-উল-মসজিদের ছবি
-
তাজ-উল-মসজিদ গ্রাউন্ড
-
তাজ-উল-মসজিদ প্রবেশ গেট
-
তাজ-উল-মসজিদে মাদ্রাসা
-
দেয়ালে খোদাই করা
-
নামাজের সময় দেখানো ঘড়ি
-
তাজ-উল-মসজিদ ভিতরে
-
তাজ-উল-মসজিদ ভিতরে
-
তাজ-উল-মসজিদের বাইরের দৃশ্য
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ McCrohan, Daniel (২০১০)। "The search for the world's smallest mosque"। লোনলি প্ল্যানেট।
- ↑ "Taj-ul-Masajid"। bhopal.nic.in। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।