তাইফ হত্যাকান্ড
তাইফ হত্যাকাণ্ড ১৯২৪ সালে তাইফের যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়। সংক্ষিপ্ত অবরোধের পর শহরের হাশিমি বাহিনী শহর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণ করে এবং আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের নেতৃত্বে ইখওয়ান শহরে প্রবেশ করে। ইখওয়ান নিজেদের ক্রোধ মেটাবার জন্য শহরের অধিবাসীদের উপর চড়াও হয়। এই রক্তপাতের ফলে তাইফের ৩০০-৪০০ বাসিন্দা মারা যায়। তাইফের পতনের পর ইবনে সৌদ মক্কার দিকে অগ্রসর হন।
তাইফ হত্যাকাণ্ড | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: সৌদিদের হেজাজ বিজয় | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
হেজাজ রাজতন্ত্র | |||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
|
হুসাইন বিন আলি আলি বিন হুসাইন | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
৩০০[১]-৪০০ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত |
পটভূমি
সম্পাদনা১৯১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আরব বিদ্রোহের সময় হাশিমি বাহিনী তাইফ দখল করে। পরে তা হেজাজ রাজতন্ত্রের সাথে যুক্ত করা হয়। তবে হাশিমিরা দীর্ঘসময় তাইফের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি। হুসাইন বিন আলি এবং আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থার জন্য দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম হাশিমি-সৌদি যুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে চুক্তির মাধ্যমে সাময়িকভাবে সহিংসতা বন্ধ হয়।
বিজয় ও হত্যাকাণ্ড
সম্পাদনা১৯২৪ সালের আগস্টে সৌদিদের মিত্র ইখওয়ান সুলতান বিন বাজাদ ও খালিদ বিন লুয়াইয়ের নেতৃত্বে তাইফ আক্রমণ করে। রাজা হুসাইন বিন আলির পুত্র আলি বিন হুসাইন শহর রক্ষা করবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার বাহিনীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ফলে অরক্ষিত শহর দ্রুত ইখওয়ানের হাতে এসে যায়। তারা শহরজুড়ে তান্ডব শুরু করে। সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে ৩০০ থেকে ৪০০ তাইফবাসী নিহত হয়।[১][২]
পরবর্তী অবস্থা
সম্পাদনাতাইফের পতনের পর সৌদি বাহিনী মক্কা, মদিনা এবং জেদ্দা জয় করার জন্য অগ্রসর হয়। এর মাধ্যমে হেজাজ বিজয় সম্পন্ন হয়। ১৯২৬ সালে আবদুল আজিজ ইবনে সৌদকে সরকারিভাবে হেজাজের নতুন রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৩২ সাল দুই রাজ্যকে একীভূত করে সৌদি আরব গঠনের আগ পর্যন্ত তাইফ হেজাজ রাজতন্ত্রের অংশ ছিল। ১৯৫৩ সালে রাজা আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তাইফে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ David Holden in The House of Saud
- ↑ Niblock, T. (১৯৮২)। State, Society, and Economy in Saudi Arabia। Croom Helm। পৃষ্ঠা 88। আইএসবিএন 9780709918066। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-০৪।