ঢোঁড়াই চরিত মানস
ঢোঁড়াই চরিত মানস হল বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা একটি উপন্যাস। দু’টি "চরণ" অর্থাৎ খণ্ডে বিভক্ত এই উপন্যাসটির প্রথম চরণ ১৯৪৯ সালে এবং দ্বিতীয় চরণ ১৯৫১ সালে কলকাতার বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।[১] ১৯৭৪ সালে এই উপন্যাসের গঙ্গাধর মধুকর কৃত হিন্দি অনুবাদ প্রকাশিত হয়।[২] এই উপন্যাসের পটভূমি বিহারের জিরনিয়া শহরের অদূরে তাৎমাটুলি। জাতে তাঁতি এই তাৎমাদের বৃত্তি ঘরামি ও কুয়োর বালি ছাঁকা। পাশের ধাঙ্গড়টুলিতে বড়ো হওয়া পরিত্যক্ত অনাথ বালক ঢোঁড়াই এই উপন্যাসের নায়ক। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ পর্বের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাসে লেখক নায়ক ঢোঁড়াইকে করে তুলেছেন রামচন্দ্রের আধুনিক সংস্করণ। রাজনৈতিক চেতনা সমাজের নিচুতলায় প্রবেশ করে কীভাবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় এবং ঢোঁড়াইকে "রামায়ণজী"-তে পরিণত করে, তা-ই এই উপন্যাসের উপজীব্য। শিশিরকুমার দাশের মতে, "এই কাহিনীতে অন্তর্লীন হয়ে আছে তুলসীদাসের রামচরিতমানস। রাজনীতি ও সমাজ পরিবর্তন ও সমাজের অন্ত্যজ মানুষের বিশ্বস্ত রূপায়ণ এবং রামচরিতমানসের সঙ্গে আধুনিক কাহিনীর অন্তর্বয়ন এই তিনদিক থেকে এই আখ্যান বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম।"[৩]
লেখক | সতীনাথ ভাদুড়ী |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশক | বেঙ্গল পাবলিশার্স, কলকাতা |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৪৯ (প্রথম চরণ) ১৯৫১ (দ্বিতীয় চরণ) |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (শক্তমলাট) |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ কালের প্রতিমা: বাংলা উপন্যাসের পঁচাত্তর বছর (১৯২৩-১৯৯৭), অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, ২০১৯ সংস্করণ, পৃ. ১৪৪
- ↑ "গ্রন্থপঞ্জি", ভারতীয় সাহিত্যকার পুস্তকমালা: সতীনাথ ভাদুড়ী, স্বস্তি মণ্ডল, সাহিত্য অকাদেমি, নতুন দিল্লি, ২০০২ সংস্করণ, পৃ. ৭৭-৮০
- ↑ সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সংকলন ও সম্পাদনা: শিশিরকুমার দাশ, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ২০০৩ সংস্করণ, পৃ. ৯০