ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক হলো বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি ৮.১৫ কিমি (৫.০৬ মা) দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আঞ্চলিক মহাসড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে শুরু হওয়া এই মহাসড়ক ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশের তিনটি পথের মধ্যে অন্যতম।[১]
আঞ্চলিক সড়ক ১১১ | ||||
---|---|---|---|---|
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড | ||||
পথের তথ্য | ||||
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত | ||||
প্রধান সংযোগস্থল | ||||
উত্তর প্রান্ত: | সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা | |||
দক্ষিণ প্রান্ত: | চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ মডেল থানা | |||
অবস্থান | ||||
প্রধান শহর | নারায়ণগঞ্জ | |||
মহাসড়ক ব্যবস্থা | ||||
|
পটভূমি
সম্পাদনাএই আঞ্চলিক মহাসড়কটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় শেষ হয়েছে। এই ৮.১৫ কিলোমিটার বিশিষ্ট মহাসড়ক উত্তরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। এই মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে অনেক সরকারি-বেসরকারি দপ্তর। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে যেতে হলে এই মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয়।[১] এই মহাসড়কে নিয়মিত অবৈধ অটোরিকশা চলাচলের কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা বেড়েছে।[২]
সম্প্রসারণ
সম্পাদনাএই মহাসড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সংকীর্ণ, ফলে এই মহাসড়কে যানবাহনের ধারণক্ষমতার ত্রিশ গুণ বেশি যাতায়াত করায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও বাণিজ্যিকীকরণের ফলে এই মহাসড়কের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। তাই সরকার এই মহাসড়কের প্রস্থ বাড়ানোর পরিকল্পনা করে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করার পর ৮ জুলাই ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় প্রকল্পটি সম্পর্কে কিছু সুপারিশ করা হয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করে মন্ত্রণালয় একটি পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাঠায়।[১] প্রকল্পের অংশ হিসেবে যানজট নিরসনে মহাসড়কের পাঁচটি পয়েন্টে বাস বে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।[৩] ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারিতে একনেকের সভায় প্রকল্পটি পাস হয়।[৪] প্রকল্পটি অনুমোদনের পর একনেক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে এনডিই, টিবিএল, এইচটিবিএল ও জেভির সমন্বয়ে একটি ঠিকাদার গোষ্ঠীকে নিয়োগ করে। বিদ্যমান মহাসড়কটিকে ১২৯ ফুটের ৬ লেনের মহাসড়কে রূপান্তরের জন্য ৳৪৪৯.৫৮ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয় যা ১৭ মাস পরে চালু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার পর প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুনে ঠিক করা হয়েছিলো।[৫] ২০২৩ সালের মার্চ অনুযায়ী মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের ৭০% সম্পন্ন হয়েছে।[৬]
যাত্রাপথ
সম্পাদনা- সাইনবোর্ড
- মামুদপুর
- কাজীবাড়ি
- ভুইগর
- রূপায়ন টাউন
- জালকুঁড়ি
- যুব উন্নয়ন বিভাগ
- ওসমান আলী স্টেডিয়াম
- শিবু মার্কেট
- জেলা কারাগার
- জেলা পরিষদ
- ডিসি অফিস
- চাঁনমারি
- চাষাঢ়া
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ উদ্দিন সুমন, কামাল (২০ জানুয়ারি ২০২০)। "ঢাকা-না'গঞ্জ লিংক রোড ৬ লেন হচ্ছে"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ প্রধান, আলামিন (১২ জুলাই ২০২০)। "ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড যেন ইজিবাইকের সড়ক"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ নতুন ও পুরাতন দুই সড়ক ছয় লেন করা হচ্ছে"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ২১ জানুয়ারি ২০২১। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "হাতিরঝিল থেকে চার লেইনের সড়ক যাবে ডেমরায়"। বিডিনিউজ২৪.কম। ২৮ জানুয়ারি ২০২০। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে, ভোগান্তি"। নারায়ণগঞ্জ টাইমস। ১৩ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের দুই পাশে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ"। প্রথম আলো। ২৩ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।