ঢাই মাছ বা শিলং মাছ হচ্ছে ক্যাটফিস জাতীয় স্বাদু ও স্রোতস্বিনী নদীর আঁশবিহীন রূপালী রঙের মাছ।[] এটি একটি মাংসাশী মাছ যেটি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জীব যেমন: মলা,ঢেলা ও পুঁটি মাছ প্রভৃতি আহার হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।[] বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[]

ঢাই মাছ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: মেরুদণ্ডী প্রাণী
শ্রেণী: Actinopterygii
পরিবার: Schilbeidae
গণ: Silonia
প্রজাতি: silondia'
দ্বিপদী নাম
Silonia silondia
(Bleeker, 1858)

বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

এটি লম্বায় ১৮৩ সে.মি.(৭২ ইঞ্চি) এবং ওজনে ৩-১০ কেজি হয়। এটি রূপালি রঙের এবং পাখনা গুলো লাল রঙের হয়। অন্যান্য ক্যাটফিসের তুলনায় ডিম কম দেয় এবং বর্ষায় প্রাপ্ত বয়স্করা প্রজননের জন্য ছোট নদী থেকে বড় নদীতে চলে আসে। এটি একটি দূষণ নির্দেশক মাছ। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[] এই প্রজাতির মাছের দেহ লম্বা ও চাপা। এদের চোখে চর্বিযুক্ত সরু একটা পাতা আছে, তুণ্ড গোলাকার। এদের ফুলকারণ্ধ্র প্রশস্ত এবং ফুলকা পর্দা যোজক থেকে আলাদা থাকে। অক্সিপিটাল প্রসেস প্রশস্ত এবং ত্রিকোণাকার।[]

ঢাই মাছ বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান,নেপাল এর বিলুপ্ত প্রায় দূষণ সংবেদনশীল মাছ।এটি পানির ১-১০ মিটার গভীরতার মধ্যে বিচরণ করে।এটি অক্সিজেন সমৃদ্ধ নদী গুলোতে থাকে। দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, জাহাজ গুলোর দূষণ,জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া এবং সংরক্ষণের অভাব প্রভৃতি কারণে এটি বিলুপ্তি ঘটছে। []

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Froese, Rainer and Pauly, Daniel, eds. (2012). "Silonia silondia" in FishBase. February 2012 version.
  2. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজ২৪.কম,সূত্র সংগ্রহ: জুন ০৪-০৬-২০২১খিঃ, https://www.banglanews24.com/cat/news/bd/423479.details
  3. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা- ১১৮৫১৫
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; জ্ঞানকোষ নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি