ঢ়
ঢ় হলো বাংলা ভাষার চতুর্ত্রিংশ ব্যঞ্জনবর্ণ এবং বাংলা বর্ণমালার ৪৫তম বর্ণ।
ঢ় | |
---|---|
ব্যবহার | |
লিখনপদ্ধতি | বাংলা লিপি |
ধরন | শব্দীয় বর্ণমালা লিপি |
উৎপত্তির ভাষা | বাংলা ভাষা |
উচ্চারণ ব্যবহার | [ɽ(ʱ)], [ɹ] |
ইউনিকোড মান | U+09DD |
বর্ণমালায় অবস্থান | ৪৫ |
ইতিহাস | |
ক্রমবিকাশ | |
অন্যান্য | |
লেখার দিক | বাম থেকে ডানে |
বর্ণনা
সম্পাদনাপ্রাচীন ব্রাহ্মী "𑀠" হলো "ঢ" এবং "ঢ়" উভয়েরই পূর্বপুরুষ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণমালা বিন্যাসে "ঢ" বর্ণটির নিচে বিন্দু সহযোগে এটি সর্বপ্রথম স্থান পায়।[১] যদিও সংস্কৃত ও নব্যভারতীয় আর্যভাষাগুলোতে "ঢ" এর শব্দের মধ্যে অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ কখনো কখনো "ঢ়" এর মতো হতো তবুও বাংলায় "ঢ়" কে স্বতন্ত্র বর্ণ রূপে সৃষ্টি করা হয়েছে[২] যাতে "ঢ" ও "ঢ়" এর উচ্চারণের পার্থক্য উপলব্ধ হয়। "ঢ়" বর্ণটি বাংলায় শব্দের আদিতে ব্যবহৃত হয় না।
ব্যবহার
সম্পাদনাস্বরবর্ণ | ঢ়'র সাথে যুক্ত হলে |
---|---|
অ | ঢ় |
আ | ঢ়া |
ই | ঢ়ি |
ঈ | ঢ়ী |
উ | ঢ়ু |
ঊ | ঢ়ূ |
ঋ | ঢ়ৃ |
এ | ঢ়ে |
ঐ | ঢ়ৈ |
ও | ঢ়ো |
ঔ | ঢ়ৌ |
ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাবাংলা ভাষার বৈয়াকরণগণ প্রথম থেকেই সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুসরণে ট-বর্গীয় ধ্বনিসহ ড়, ঢ় ইত্যাদিকে মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি রূপে আখ্যায়িত করে আসছেন কিন্তু বাংলায় কখনো এর উচ্চারণ মূর্ধা থেকে হয় না।এটি উচ্চারণগত দিক থেকে দন্ত্যমূলীয় ও তাড়নজাত।[৩][৪] "ঢ়" এর উচ্চারণে জিহ্বার ডগা বা অগ্রভাগ কিছুটা মোচড় খায় তবে তা এতটাই ক্ষীণ যে বোঝার আগেই জিহ্বার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে।[৫] এই ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার ডগা বা অগ্রভাগের উল্টোপিঠ উপরের পাটির দাঁতের গোড়াকে স্পর্শ করতে না করতেই জিহ্বার ডগা নিচের পাটি দাঁতের উপর উছলে পড়ে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এত দ্রুত হয় বলেই এটি তাড়নজাত ধ্বনি।[৬] এছাড়া এটি ঘোষ ও মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি।
উদাহরণ
সম্পাদনা- রাঢ়
- আষাঢ়
- গাঢ়
- গূঢ়
- দৃঢ়
- রূঢ়
- আরূঢ়
- বিমূঢ়
- মূঢ়
- লীঢ়
- ঊঢ়
কম্পিউটিং কোড
সম্পাদনাঅক্ষর | ঢ় | |
---|---|---|
ইউনিকোড নাম | বাংলা অক্ষর ঢ় | |
এনকোডিং | দশমিক | হেক্স |
ইউনিকোড | 2525 | U+09DD |
ইউটিএফ-৮ | 224 167 157 | E0 A7 9D |
সংখ্যাসূচক অক্ষরের তথ্যসূত্র | ঢ় | ঢ় |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০।
- ↑ ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০।
- ↑ ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৫৩০।
- ↑ মামুদ, ড. হায়াৎ। ভাষা শিক্ষা। ঢাকা: দি এ্যাটলাস পাবলিশিং হাউস। পৃষ্ঠা ৬১।
- ↑ ।, মুহম্মদ আবদুল হাই। ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব। ঢাকা। পৃষ্ঠা ৬৪।
- ↑ |, মুহম্মদ আবদুল হাই। ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব। ঢাকা। পৃষ্ঠা ৬৪।