ড্রাগন
আজদাহা (ইংরেজি: Dragon, প্রতিবর্ণীকৃত: ড্রাগন) হল এমন এক ধরনের কাল্পনিক জীব যা মুখ দিয়ে আগুন বের করতে পারে। এই জীবের অস্তিত্ব চীন, জাপান, কোরিয়া, ইন্দোচীন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশের উপকথায় পাওয়া যায়। ফেরদৌসী’র মহাকাব্য ‘শাহনামা’ -তেও আজদাহার কথা উল্লেখ রয়েছে। শাহনামাতে দেখা যায় জামশেদ নামক একজন সম্রাটের দুই ঘাড়ে শয়তান চুম্বন করে; এতে করে চুম্বনের স্থানে দুটো ভয়ঙ্কর সাপের মস্তক গজিয়ে উঠে। এই মস্তক দুটো কেটে ফেললে সেখানে আবার নতুন করে সর্প মস্তক গজায়। তাই সম্রাট জামশেদ সেগুলোকে বিনষ্ট করার করার পরিবর্তে সেগুলোকে লালন করতে থাকেন এবং মানুষকে ভয় দেখিয়ে দুঃশাসন চালাতে থাকেন। এই সাপ দুটোকে ‘আজদাহা’ বলা হয়েছে। আজদাহাদেরকে প্রতিদিন দু’জন জীবন্ত মানুষের ঘিলু/মস্তিস্ক রান্না করে খাওেয়াতে হতো। পশ্চিমা শিল্পমাধ্যমে আজদাহা নিয়ে অনেক ছায়াছবি হয়েছে। মনে করা হয় এই জীব উড়তে পারে। আজদাহা বিভিন্ন দেশের জাতীয় পশু। ইন্দোনেশিয়া দেশে এক ধরনের সরীসৃপ দেখা যায় যার উজ্জ্বল জিভকে আগুন বলে ভুল হয়, এই জীব কোমোডো ড্রাগন নামে পরিচিত। এছাড়াও ফড়িংকে ইংরেজিতে ড্রাগন্ ফ্লাই বলে।
দল | কাল্পনিক |
---|---|
পুরাণ | পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপ |
আবাস | পর্বতমালা, সমুদ্র, আকাশ |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Drury, Nevill, 1947-2013. (২০০৪)। The dictionary of the esoteric : 3000 entries on the mystical and occult traditions (1st Indian ed সংস্করণ)। Delhi: Motilal Banarsidass Publishers। আইএসবিএন 81-208-1989-6। ওসিএলসি 58976541।
- Mythology : the illustrated anthology of world myth & storytelling। Littleton, C. Scott.। San Diego, Calif.: Thunder Bay Press। ২০০২। আইএসবিএন 1-57145-827-1। ওসিএলসি 50417457।
- Giorgi, Rosa. (২০০৫)। Angels and demons in art। Zuffi, Stefano, 1961-, Giammanco Frongia, Rosanna M.। Los Angeles: J. Paul Getty Museum। আইএসবিএন 0-89236-830-6। ওসিএলসি 58842922।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইংরেজি - আজদাহার বিবর্তন (The Evolution of the Dragon), এল্লিঅট্ স্মিথ্ দ্বারা ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ, গুটেনবার্গ প্রকল্প।