ডেভিড তারব্রুগ
ডেভিড জন তারব্রুগ (ইংরেজি: David Terbrugge; জন্ম: ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭৭) নাটাল প্রদেশের লেডস্মিথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড জন তারব্রুগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লেডস্মিথ, কোয়াজুলু-নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩১ জানুয়ারি ১৯৭৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭২) | ২৬ নভেম্বর ১৯৯৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ মার্চ ২০০৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৮) | ২৩ জানুয়ারি ২০০০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ আগস্ট ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গটেং | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
লায়ন্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং, লায়ন্স ও ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ডেভিড তারব্রুগ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ডেভিড তারব্রুগের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি অতি উচ্চমানসম্পন্ন ফাস্ট বোলার হিসেবে চিত্রিত হয়েছিলেন। তবে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশ দেরীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তাকে রাখা হয়।
১৮ বছর বয়সী ডেভিড তারব্রুগকে ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফর শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর পিঠের আঘাতের কবলে পড়তে হয় ও তার প্রতিভা বাঁধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড তারব্রুগ। ২৬ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ মার্চ, ২০০৪ তারিখে অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তির কবলে পড়া সত্ত্বেও ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে বেশ ভালোমানের বোলিং করেন। এরপর তাকে গোড়ালীতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে খেলার জগতে ফিরে আসেন তিনি। এ পর্যায়ে তাকে বেশ সুস্থ, শক্তসামর্থ্য ও পূর্বেকার তুলনায় দ্রুতগতিসম্পন্ন হিসেবে দেখা যায়। ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে তিনি শন পোলকের বোলিংয়ের সাথে বেশ একাত্মতা পোষণ করতেন। লালচে চুলের অধিকারী ডেভিড তারব্রুগ বলকে স্ট্যাম্প বরাবর নিখুঁত নিশানায় বলকে উভয় দিক দিয়ে কিছুটা দেরীতে ফেলতেন। ব্রায়ান লারা’র নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে চার টেস্টে অংশ নেন। নয় উইকেট দখল করেন তিনি। তবে, ২০০০ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে একদিনের দলে রাখা হয়নি।
২০০০ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। সিঙ্গার কাপে দলে ফিরে আসেন ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪/২০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ঐ খেলায় তার দল জয়লাভ করেছিল। তবে, আঘাতের কারণে আরও একবার থমকে দাঁড়াতে হয় তাকে। ফলে, টেস্ট দলে অন্তর্ভূক্তির প্রশ্নে আবার হিমশিম খেতে হয়। ২০০৩ সালে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে নিজেকে যুক্ত করেন।
বারংবার আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তাকে কখনোই দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়নি। ২০০৫-০৬ মৌসুমে পিঠের আঘাতে আক্রান্ত হন। ফলশ্রুতিতে, পরের মৌসুমেই মাত্র ২৯ বছর বয়সে তাকে অবসর গ্রহণ করতে হয়।
পরিসংখ্যান
সম্পাদনা- টেস্টে ৫-উইকেট
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৬ | ৬ | বাংলাদেশ | বাফেলো পার্ক | ইস্ট লন্ডন | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২০০২ |
- ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | পাকিস্তান | সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড, কলম্বো | ১২ জুলাই, ২০০০ | ৮-১-২০-৪; ডিএনবি | দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে বিজয়ী।[১] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডেভিড তারব্রুগ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডেভিড তারব্রুগ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)