ডেনিস স্মিথ (নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার)

নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার

হোরেস ডেনিস স্মিথ (ইংরেজি: Dennis Smith; জন্ম: ৮ জানুয়ারি, ১৯১৩ - মৃত্যু: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৬) কুইন্সল্যান্ডের তুওম্বা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো ও ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ডেনিস স্মিথ

ডেনিস স্মিথ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হোরেস ডেনিস স্মিথ
জন্ম(১৯১৩-০১-০৮)৮ জানুয়ারি ১৯১৩
কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৫ জানুয়ারি ১৯৮৬(1986-01-25) (বয়স ৭৩)
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৪)
২৪ মার্চ ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৩১/৩২ - ১৯৩২/৩৩ওতাগো
১৯৩৩/৩৪ক্যান্টারবারি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১
রানের সংখ্যা ৪০৪
ব্যাটিং গড় ৪.০০ ২২.৪৪
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৫২
বল করেছে ১২০ ১০৬৫
উইকেট ১৭
বোলিং গড় ১১৩.০০ ৩৩.৫২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১১৩ ৩/৪১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জুন ২০১৯

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৩১-৩২ মৌসুম থেকে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুম পর্যন্ত ডেনিস স্মিথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এ পর্যায়ে তিনি মাত্র ১১টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৩১-৩২ মৌসুমে ১৮ বছর বয়সে ওতাগোর পক্ষাবলম্বন করেন। এরপর থেকে ১৯৩২-৩৩ মৌসুম খেলতে থাকেন। এ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ডের তিন খেলায় অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংসসহ ৩৬.৭৫ গড়ে ১৪৭ রান তুলেছিলেন[] ও ১৪.০০ গড়ে সাত উইকেট পান।[] এরফলে তার দল প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়। এর কয়েক সপ্তাহ পর নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান।

পরবর্তীতে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেন। কিন্তু, তার খেলার মান যথেষ্ট নিম্নগামী ছিল। ফলশ্রুতিতে মাত্র ২১ বছর বয়সেই সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে অবসরে চলে যেতে বাধ্য হন। ওতাগোর পক্ষে ছয়টি ও ক্যান্টারবারির পক্ষে চারটি খেলেন। সর্বমোট এগারো খেলায় ৩৩.৫২ গড়ে সতেরো উইকেট এবং ২২.৪৪ গড়ে ৪০৪ রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ঘটেছিল ডেনিস স্মিথের। ২৪ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে ডগলাস জারদিনের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং উদ্বোধনের জন্যে ওতাগোর দলীয় সঙ্গী টেড ব্যাডকককে সাথে নিয়ে খেলেন। দ্বিতীয় টেস্টে আরেক ওতাগো দলীয় সঙ্গী জ্যাক ডানিংকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এ টেস্টে তিনি দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[]

ডেনিস স্মিথ ফাস্ট বোলিং করতেন। অংশগ্রহণকৃত একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই নিজস্ব একমাত্র উইকেট পান। এরফলে, বৈশ্বিকভাবে দশম বোলার হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জনে সমর্থ হন তিনি।[] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে এডি পেন্টারকে তিনি বোল্ড করেন। এরপর তিনি আরও ১১৯টি বল ছুঁড়েন। তবে আর কোন সফলতা পাননি। ঐ খেলার প্রথম বলেই হার্বার্ট সাটক্লিফ ব্যাডককের হাতে কট বিহাইন্ড হন। বল দেরীতে সুইং করে বামহাতি পেন্টারের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে মধ্য ও লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। খেলায় তখন ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪/২। ওয়ালি হ্যামন্ড প্রথম ওভারেই স্লিপে কট বিহাইন্ড থেকে বেঁচে যান ও পরবর্তীতে ২২৭ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর ইংল্যান্ড দল ৫৬০/৮ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ডেনিস স্মিথ বিশ ওভার বোলিং করে ১১৩ রান খরচ করেন।

২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ৭৩ বছর বয়সে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে ডেনিস স্মিথের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা