ডিমলা কালী মন্দির
ডিমলা কালী মন্দির (এছাড়াও ডিমলা রাজ কালী মন্দির বা ডিমলা রাজ দেবত্তর এষ্টেট নামেও পরিচিত)[১] বাংলাদেশের রংপুর শহরে অবস্থিত কালী মন্দির।[২] এটি একটি অষ্টকৌণিক হিন্দু মন্দির। ১৯১৬ সালে মন্দিরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
ডিমলা কালী মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | রংপুর |
ঈশ্বর | কালী |
অবস্থান | |
অবস্থান | রংপুর সদর উপজেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৫°৫২′১৬″ উত্তর ৮৮°৫৪′২৫″ পূর্ব / ২৫.৮৭১০০১১° উত্তর ৮৮.৯০৬৯৩০৫° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠাতা | রাজা জানকীবল্লভ সেন |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯১৬ |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম: ডিমলা রাজ দেবত্তর এষ্টেট |
অবস্থান ও ইতিহাস
সম্পাদনামন্দিরটি রংপুর সদর উপজেলায় রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পূর্বদিকে এবং মাহিগঞ্জ বাজার থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণে বড় রঙ্গপুরে অবস্থিত।[৩]
তৎকালীন ডিমলার জমিদার নীল কমলের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শ্যামা সুন্দরীর দত্তক পুত্র রাজা রাজা জানকীবল্লভ সেনের সেবামূলক কাজের স্মৃতিস্বরূপ ১৯০৮ সালে মন্দিরটির নির্মাণ শুরু হয়।[৩] একই বছর শ্রী শ্রী কালী মাতা বিগ্রহ, শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ জিউ বিগ্রহ, শ্রী শ্রী মদন মোহন জিউ বিগ্রহ, শ্রী শ্রী রাম চন্দ্র বিগ্রহের নামে রাজা জানকীবল্লভ সেন তার সম্পত্তি ডিমলা রাজদেবত্তোর এস্টেটের নামে দান করেন। তবে কাজ শুরু হবার দুই বছর পর রাজা জানকি বল্লভ সেন মারা যান, এবং তার স্ত্রী রাণী বৃন্দারানী চৌধুরানী ডিমলা রাজদেবত্তোর এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব নেন। প্রায় আট বছর পর ১৯১৬ সালে মন্দিরটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়।[৩]
বিবরণ
সম্পাদনাআনুমানিক ৩˝-০˝˝ উঁচু বেদীর উপর, দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্ধতিতে নির্মিত মন্দিরটির নিচ তলায় শীর্ষদেশে রয়েছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, বিষ্ণু, শিব প্রভৃতি দেব-দেবীর মূর্তি। নিচে পাখির ডানাযুক্ত মানবাকৃতির ভাষ্কর্য এবং শীর্ষে পিতলের কলস ও ত্রিশুল স্থাপন মূলত শিব মন্দিরের চিহ্ন হলেও স্থানীয়ভাবে এটি কালী মন্দির হিসাবে বিবেচিত।[৪] অষ্টকৌণিক টাওয়ার সদৃশ্য কালী মন্দিরটির খিলানে রয়েছ ব্রাক্ষী, মহেশ্বরী, চামুন্ডা, নারসিংহী, নারায়নী, বারাহী, কৌমারী, ও অপরাজিতা রুপে নির্মিত বিভিন্ন দেবীমূতি। মন্দিরটিতে নিত্য পূজা অর্চনা ও সন্ধ্যা আরতির পাশাপাশি বাংলা বর্ষবরণ উৎসব, শারদীয় দূর্গোৎসব, অমাবস্যা, জন্মাষ্টমী, কোজাগরী লক্ষী পূর্ণিমা, দোলযাত্রা, শিবরাত্রি, রাম জন্মজয়ন্তি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজিত হয়।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মন্দির"। rangpur.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ "বিভাগের ঐতিহ্য"। rangpurdiv.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ফারুক, ফরহাদুজ্জামান। "রঙ্গপুরের ঐতিহ্যবাহী ডিমলা কালী মন্দির"। uttorbangla.com। উত্তরবাংলা ডটকম। ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- ↑ খান, হোসেন এবং সুলতান ২০১৪, পৃ. ৪০।
উৎস
সম্পাদনা- খান, শাসসুজ্জামান; হোসেন, মো. আলতাফ; সুলতান, আমিনুর রহমান, সম্পাদকগণ (২০১৪)। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা রংপুর (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলা একাডেমি (প্রকাশিত হয় জুন ২০১৪)। আইএসবিএন 984-07-5118-2।