ডিপ্লয়েড
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।(আগস্ট ২০১৫) |
ডিপ্লয়েড বলতে বোঝায় দুই সেট (set) ক্রোমোজোম বিশিষ্ট। অর্থাৎ মূল বা হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোজোমের দুই সেট উপস্থিত এমন। এটি “2n” দ্বারা প্রকাশ করা হয়। নির্দিষ্ট প্রজাতির সব জীবের দেহকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। ঐ জীবের জননকোষ যেমন শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুতে দেহকোষের তুলনায় অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে। একেই হ্যাপলয়েড বা অর্ধসংখ্যক ক্রোমোজোম বা জিনোম বলে। নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবের প্রতিটি দেহকোষে জননকোষের তুলনায় দ্বিগুণ সংখ্যায় ক্রোমোজোম থাকে। একে ডিপলয়েড বা দ্বিসংখ্যক ক্রোমোজোম বা পূর্ণসংখ্যক ক্রোমোজোম বলে।[১]
একটি কোষের নিউক্লিয়াস দুই সেট ক্রোমোজোম বিশিষ্ট হলে তাকে ডিপ্লয়েড কোষ বলে। একই ভাবে কোন জীবের অধিকাংশ কোষের নিউক্লিয়াস এক সেট ক্রোমোজোম বিশিষ্ট হলে তাকে হ্যাপ্লয়েড জীব বলা হয়।
মাছ, মানুষ ইত্যাদির মত অধিকাংশ সুকেন্দ্রিক কোষবিশিষ্ট প্রাণীই (eukaryotic) ডিপ্লয়েড ধরনের অর্থাৎ এদের অধিকাংশ কোষের নিউক্লিয়াসে দুই সেট ক্রোমোজোম উপস্থিত যার একসেট বাবার কাছ থেকে এবং অপর সেট মায়ের কাছ পেয়ে থাকে। যেমন রুই মাছের দেহ কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা ডিপ্লয়েড অর্থাৎ 2n = ২×২৫=৫০টি (দুই সেট, প্রতি সেটে ২৫টি), অতএব এর জনন কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্যাপ্লয়েড অর্থাৎ এক সেট তথা ২৫টি।
তথ্য সূত্র
সম্পাদনা- ↑ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান: তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী, শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানি, কলকাতা, বছর:১৯৮৬, পৃঃ ৫৯