ডিক ইয়ং
রিচার্ড আলফ্রেড ইয়ং (ইংরেজি: Dick Young; জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫ - মৃত্যু: ১ জুলাই, ১৯৬৮) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ধারবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৭ থেকে ১৯০৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রিচার্ড আলফ্রেড ইয়ং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫ ধারবাদ, ব্রিটিশ ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ জুলাই, ১৯৬৮ হ্যাস্টিংস, সাসেক্স, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জন ইয়ং (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১৩ ডিসেম্বর ১৯০৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনসহ লেগ ব্রেক বোলিং করতে পারতেন ডিক ইয়ং।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯০৫ সাল থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত ডিক ইয়ংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯০৫ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত সাসেক্সের পক্ষে শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ১৯০৫ সালে লেটনে এসেক্সের বিপক্ষে দলের ৬১১ রানের মধ্যে তিনি ২২০ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। স্বল্পসংখ্যক ইংরেজ খেলোয়াড়দের অন্যতম হিসেবে ডিক ইয়ং ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিকেট ও ফুটবল - উভয় ধরনের খেলায় অংশ নিয়েছেন।
১৯০১ থেকে ১৯০৪ সময়কালে রেপটনে থাকা অবস্থায় প্রথম একাদশে উইকেট-রক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ১৯০২ সালে উইজডেনে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয় ও বিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই মৌসুমে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ধৈর্য্যশীল ও বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রভূতঃ সুনাম কুড়িয়েছেন। লেগ সাইডের দিকেই বেশি সফলতা পেয়েছেন ও অফের দিকে দর্শনীয়ভাবে ড্রাইভ মারতেন। ১৯০৫ সালে ফ্রেশম্যান হিসেবে কেমব্রিজ থেকে ব্লুধারী হন। এছাড়াও, পরবর্তী তিন মৌসুম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় অংশ নিয়েছেন। ১৯০৬ সালে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে দলের ৩৬০ রানে তার অবদান ছিল ১৫০ রান। এ পর্যায়ে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বশেষে আউট হন। নিয়মিতভাবে উইকেটের পতন ঘটলেও ঝুঁকি নিয়ে তিনি এ সফলতা পান। ১৯০৭ ও ১৯০৮ সালে দলের অধিনায়কত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডিক ইয়ং। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৭ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৮ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯০৭-০৮ মৌসুমে এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের সুযোগ পান। এ. ও. জোন্সের অধিনায়কত্বে দলটির পক্ষে দুই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।[২] নিয়মিত উইকেট-রক্ষক জো হামফ্রিসের তুলনায় ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকায় তিনি ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
ফুটবলে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাচাতুর্য ও ক্ষীপ্রতার সাথে আউটসাইড-রাইট এলাকায় অবস্থান করে কেমব্রিজের পক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নেন। করিন্থিয়ান্সের পক্ষে উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। হাঙ্গেরির বিপক্ষে শৌখিন ক্যাপ লাভের অধিকারী হন। এছাড়াও, ফ্রান্সের বিপক্ষে শৌখিন এফএ খেলায় অংশ নেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাখেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর গণিত ও ক্রিকেট শিক্ষক হিসেবে এটনে অবস্থান করেন। ১৯৫১ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ১ জুলাই, ১৯৬৮ তারিখে ৮৩ বছর বয়সে সাসেক্সের হ্যাস্টিংস এলাকায় ডিক ইয়ংয়ের দেহাবসান ঘটে। তার ভ্রাতা জন ইয়ং সাসেক্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ১৬ অক্টোবর, ২০১৯
- ↑ Dick Young, CricketArchive
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডিক ইয়ং (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডিক ইয়ং (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)