ডাবল ডেটিভ

লাতিন পরিভাষা

ডাবল ডেটিভ (লাতিন: Double Dative) একটি ব্যাকরণিক গঠন, যা লাতিন ভাষায় ব্যবহৃত হয় এবং এতে দুটি পৃথক দাতিভ (dative) কেসে থাকা উপাদান একসঙ্গে থাকে। এটি মূলত প্রাপ্তি (recipient) এবং উদ্দেশ্য (purpose) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই গঠনটি বিশেষত ক্রিয়া বা বিশেষ্যগুলোকে বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে একাধিক উপাদান সরাসরি দাতিভ কেসের অধীনে আসে।[][][]

গঠন এবং ব্যবহার

সম্পাদনা

লাতিনে ডাবল ডেটিভ সাধারণত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত:[]

  1. ডেটিভ অফ পারপাস (Dative of Purpose): এটি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা ফলাফল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  2. ডেটিভ অফ রিসিপিয়েন্ট (Dative of Recipient): এটি সেই ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে যিনি বা যা কিছু গ্রহণ করছেন বা এর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন।

উদাহরণ হিসেবে, লাতিন বাক্য “Militibus saluti erat” (সৈন্যদের জন্য এটি রক্ষা ছিল) বাক্যটি ডাবল ডেটিভের একটি উদাহরণ। এখানে militibus (সৈন্যদের) হলো রিসিপিয়েন্ট এবং saluti (রক্ষা) হলো উদ্দেশ্য।

প্রয়োগ

সম্পাদনা

ডাবল ডেটিভ সাধারণত লাতিন সাহিত্য ও ঐতিহাসিক নথিতে দেখা যায়। প্রাচীন রোমান লেখকরা এটি কাব্যিক ভাষা বা জটিল চিন্তাধারার প্রকাশে ব্যবহার করতেন। এই গঠনটি ব্যাকরণিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভাষার নির্দিষ্ট অংশগুলোর অন্তর্নিহিত সম্পর্কগুলো বোঝাতে সহায়ক।

উদাহরণ

সম্পাদনা
  • "Praesidio militibus fuit" – এটি সৈন্যদের জন্য সুরক্ষার কাজ করেছিল।
  • "Auxilio tibi sum" – আমি তোমার জন্য সাহায্য হিসেবে আছি।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

লাতিন ভাষায় ডাবল ডেটিভের ব্যবহার প্রাচীন রোমান কালের থেকে শুরু হয়ে মধ্যযুগের লাতিন লেখালেখির মধ্যেও প্রবাহিত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আধুনিক ইউরোপীয় ভাষায় প্রভাব ফেলেছে, যদিও ডাবল ডেটিভ সরাসরি আধুনিক ভাষাগুলোতে ব্যবহৃত হয় না।

এছাড়াও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Allen, Joseph Henry (১৯০৩)। Allen and Greenough's New Latin Grammar। Ginn & Co.। পৃষ্ঠা 278। আইএসবিএন 978-0486448060 
  2. Wheelock, Frederic M. (২০১১)। Wheelock's Latin। Harper Collins। পৃষ্ঠা 312। আইএসবিএন 978-0061997228 
  3. Green, J.N. (১৯৮৩)। "The Use of the Double Dative in Latin"। Classical Journal78: 53। 
  4. Hale, Mark (২০০০)। A Comprehensive Guide to Latin Syntax। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 129। আইএসবিএন 978-0521776844