ডাইনোসর নবজাগরণ
ডাইনোসর নবজাগরণ বলতে ১৯৬০ এর দশক থেকে শুরু হওয়া একটি ছোট মাপের বৈপ্লবিক পরিবর্তনকে বোঝায়, যা গবেষণাক্ষেত্র ও জনমানসে ডাইনোসর-সংক্রান্ত আগ্রহের পুনঃসঞ্চার করেছিল। সমসাময়িক কয়েকটি আবিষ্কারের ফলে জানা গিয়েছিল ডাইনোসরেরা উষ্ণশোণিত এবং সক্রিয় প্রাণী। তাদের সম্পর্কে প্রচলিত পূর্ববর্তী বেশ কিছু ধারণা (যেমন- তারা অনুষ্ণশোণিত, অলস প্রকৃতির) এর ফলে আমূল পরিবর্তিত হয়ে যায়।
এই নতুন ধারণার সূত্রপাত ঘটান বিজ্ঞানী জন অস্ট্রম। তিনি প্রস্তাব দেন যে পাখিরা আসলে সেলুরোসর জাতীয় ডাইনোসরদের থেকেই বিবর্তিত হয়েছে[১]। পাশাপাশি রবার্ট ব্যাকার এই মত পেশ করতে থাকেন যে ডাইনোসরেরা স্তন্যপায়ী ও পাখিদের মতই উষ্ণশোণিত ছিল[২]। ব্যাকার প্রায়ই তার ধারণাগুলিকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে প্রচলিত ধারণাসমূহের 'নবজাগরণ' হিসেবে বর্ণনা করতেন, আর তৎকালীন বিজ্ঞানীদ্বয় এডওয়ার্ড ড্রিংকার কোপ ও অথনিয়েল চার্লস মার্শ এর জীবাশ্ম যুদ্ধ এবং ডাইনোসর নবজাগরণের মধ্যবর্তী সময়কালকে বলতেন ''ডাইনোসর স্থিতিশীলতা''।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ostrom, J. (1974). "Archaeopteryx and the Origin of Flight". The Quarterly Review of Biology 49 (1): 27–47. doi:10.1086/407902. JSTOR 2821658.
- ↑ Bakker, R.T. (1986). The Dinosaur Heresies. New York: William Morrow. আইএসবিএন ০-৮২১৭-৫৬০৮-৭. OCLC 36439291.