ট্রান্স-তাসমান
ট্রান্স-তাসমান এক ধরনের বিশেষণ পদ যা প্রধানত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দেশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কীয় বিষয়াদির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। দুই দেশের মধ্যে বহমান তাসমান সাগর থেকে এ নামকরণের উৎপত্তি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ট্রান্স-তাসমান বাণিজ্য বলতে দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক লেনদেনকে নির্দেশ করে।
- ট্রান্স-তাসমান ফ্লাইট হচ্ছে - অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিমান চলাচল ব্যবস্থাপনা।
- ট্রান্স-তাসমান ভ্রমণ ব্যবস্থা হচ্ছে - অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এক ধরনের চুক্তিপত্র যা সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের নাগরিকদের মুক্তভাবে চলাচলের অনুমতি দেয়।
- ট্রান্স-তাসমান ট্রফি হচ্ছে - অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের নাম।
উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ
সম্পাদনা- ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৬ - প্রথম ট্রান্স-তাসমান সাবমেরিন যোগাযোগ ক্যাবলের কাজ সম্পন্ন হয়। এরফলে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বহিঃর্বিশ্বের দ্বার খুলে যায়।[১]
- ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৮ - প্রথম ট্রান্স-তাসমান রেডিও ট্রান্সমিশন (তাসমান সাগর থেকে এইচএমএস পাওয়ারফুলের মাধ্যমে)।[২]
- ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯২৮ - স্যার চার্লস কিংসফোর্ড স্মিথ ও তাঁর তিনজন ক্রু প্রথমবারের মতো সফলভাবে ট্রান্স-তাসমান ফ্লাইট পরিচালনা করেন।[৩]
- ৭ জানুয়ারি, ১৯৩১ - গাই মেনজিস ১১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে একাকী বিরতিহীনভাবে বিমান চালনা করে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড যান। কিন্তু ওয়েস্টল্যান্ড ডিস্ট্রিক্টের পশ্চিম উপকূলে সংঘর্ষের মুখোমুখী হন তিনি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Completion of the cable"। Nelson Evening Mail। ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৬। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-১৭।
- ↑ "Australasian telecommunications: beginnings"। Caslon Analytics। ২০০৫। ২০০৮-০৩-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৮।
- ↑ Bowling, Kerri (১৬ আগস্ট ২০০৩)। "Aviator's family plot restored"। Wairarapa Times-Age। ২২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-১৭।