টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটারদের তালিকা

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

যখন একজন বোলার কোন একটি ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সক্ষম হন, তখন ক্রিকেটের পরিভাষায় তা ‘পাঁচ-উইকেট অর্জন’ নামে পরিচিত পায়। পাঁচ-উইকেট অর্জনকে ‘ফাইভ-ফর’ বা ‘ফিফার’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে।[][] টেস্ট ক্রিকেট খেলায় এটি একটি অন্যতম সম্পর্কযুক্ত বিষয় কিন্তু অসাধারণ অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[] ১৭ মার্চ, ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে বিশ্বের ১৫৪ জন ক্রিকেটার পাঁচ-উইকেট অর্জন করতে পেরেছেন।[]

২০০৯ সালে প্রশিক্ষণকালে অ্যাডিলেড ওভালে টিম সাউদি।
২০০৮ সালে টিম সাউদি সফরকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার অভিষেক টেস্টে ৫/৫৫ লাভ করেন।[]

মার্চ, ২০১৯ সাল পর্যন্ত সর্বমোট নয়জন নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার তাদের টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে পাঁচ-উইকেট লাভের গৌরবগাঁথা রচনা করেছেন।[] ঐ পাঁচ-উইকেটগুলো ছয়টি পৃথক দেশের বিপক্ষে এসেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার, পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইবার এবং ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একবার হয়।[] তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ড দল চারবার বিজয়ী হয়, তিনবার ড্র ও দুইবার পরাজয়বরণ করে।[][][১০] নয়টি ভিন্ন মাঠে খেলোয়াড়ের এ কীর্তি গড়েন। ছয়বারই নিউজিল্যান্ডের বাইরে হয়। সাম্প্রতিককালের পাঁচ-উইকেট লাভ হয়েছে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে[১১]

প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় বোলার হিসেবে ফেন ক্রেসওয়েল এ সম্মাননায় অভিষিক্ত হন। ১৯৪৯ সালে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টে তার এই ফিফারটি এসেছে। তিনি ১৬৮ রান খরচায় ছয় উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।[১২][১৩][১৪][১৩] এছাড়াও, ক্রেসওয়েল, অ্যালেক্স মইরকলিন ডি গ্র্যান্ডহোম - এ তিন নিউজিল্যান্ডীয় প্রত্যেকেই তাদের অভিষেক টেস্টে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন।[] গ্র্যান্ডহোমের সংগৃহীত ৬/৪১ যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় বোলারের অভিষেক টেস্টে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান২০১৬ সালে হ্যাগলে ওভালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। [][১৫] তিনি খেলায় সর্বমোট ৬৪ রান খরচায় সাত উইকেট পেয়েছিলেন। এটিই যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় খেলোয়াড়ের টেস্ট অভিষেকে সেরা।[১৪] এছাড়াও, গ্র্যান্ডহোম ও এজাজ প্যাটেল একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন।[১৫][১৬] বোলারদের মধ্যে ব্রুস টেলর একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট অভিষেকে অল-রাউন্ডারের কীর্তি গড়েন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে[ট ১] ১০৫ রান ও ৫/৮৬ পান।[১৭]

অন্য পাঁচজন খেলোয়াড় তাদের টেস্ট অভিষেকে পাঁচ-উইকেট পেয়েছেন।[] সর্বশেষ ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন গ্র্যান্ডহোম। নভেম্বর, ২০১৬ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে তিনি ৬/৪১ পেয়েছিলেন।[১৮] অন্যান্য বোলারদের মধ্যে পল ওয়াইজম্যান সেরা মিতব্যয়ী বোলিং করেন ওভারপ্রতি ১.৭৫ রান দিয়ে ও টিম সাউদি সেরা স্ট্রাইক রেটের অধিকারী।.[ট ২] সাম্প্রতিককালে নভেম্বর, ২০১৮ সালে এ কৃতিত্বের অংশীদার হয়েছেন এজাজ প্যাটেল।[][১৫] একমাত্র স্পিন বোলার হিসেবে রয়েছেন - অ্যালেক্স মইর, পল ওয়াইজম্যান ও এজাজ প্যাটেল। বাদ-বাকী ছয়জনই ফাস্ট বোলার।[২০][২১]

নির্দেশনাসমূহ

সম্পাদনা
  • তারিখ – খেলা আয়োজনের তারিখ। টেস্ট খেলার শুরুর তারিখ।
  • ওভার – ইনিংসে বোলিং করা ওভার সংখ্যা।
  • রান – প্রদেয় রান
  • উইকেটউইকেট সংগ্রহের সংখ্যা।
  • ব্যাটসম্যান – পাঁচ-উইকেট অর্জনে সম্পৃক্ত ব্যাটসম্যানের নাম।
  • ইকোনোমিবোলিং ইকোনোমি রেট (প্রতি ওভারে গড় রান)।
  • ইনিংস – খেলার যে ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভ করা হয়েছে।
  • ফলাফল – খেলায় অস্ট্রেলিয়া দলের ফলাফল।
  • ♠ – ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে নির্বাচিত বোলার।
  • * – খেলায় ১০ বা ততোধিক উইকেট লাভ।

পাঁচ-উইকেট অর্জনের তালিকা

সম্পাদনা
নং বোলার তারিখ স্থান প্রতিপক্ষ ইনিংস ওভার রান উইকেট ইকোনোমি ব্যাটসম্যান ফলাফল
ফেন ক্রেসওয়েল ১৩ আগস্ট ১৯৪৯ দি ওভাল, লন্ডন   ইংল্যান্ড ৪১.২ ১৬৮ ৪.০৬ ড্র[১৩]
অ্যালেক্স মইর ১৭ মার্চ ১৯৫১ ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক, ক্রাইস্টচার্চ   ইংল্যান্ড ৫৬.৩ ১৫৫ ২.৭৪ ড্র[২২]
ব্রুস টেলর ৫ মার্চ ১৯৬৫ ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা   ভারত ২৩.৫ ৮৬ ৩.৬০ ড্র[২৩]
পল ওয়াইজম্যান ২৭ মে ১৯৯৮ আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো   শ্রীলঙ্কা ৪৬.৫ ৮২ ১.৭৫ জয়[২৪]
মার্ক গিলেস্পি ১৬ নভেম্বর ২০০৭ সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন   দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০.০ ১৩৬ ৪.৫৩ পরাজয়[২৫]
টিম সাউদি ২২ মার্চ ২০০৮ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার   ইংল্যান্ড ২৩.১ ৫৫ ২.৩৭ পরাজয়[]
ডগ ব্রেসওয়েল ১ নভেম্বর ২০১১ কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে   জিম্বাবুয়ে ২৫.০ ৮৫ ৩.৪০ জয়[২৬]
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম  ১৭ নভেম্বর ২০১৬ হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ   পাকিস্তান ১৫.৫ ৪১ ২.৬৮ জয়[১৫]
এজাজ প্যাটেল  ১৬ নভেম্বর ২০১৮ শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি   পাকিস্তান ২৩.৪ ৫৯ ২.৪৯ জয়[১৬]

পাদটীকা

সম্পাদনা
  1. Calcutta was renamed as Kolkata in 2001.
  2. In cricket, strike rate is referred to the average number of deliveries bowled before a bowler takes a wicket.[১৯]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "3rd Test: New Zealand v England at Napier, Mar 22–26, 2008"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. Buckle, Greg (৩০ এপ্রিল ২০০৭)। "Pigeon's almost perfect sendoff"Canberra Times। ১৫ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০০৯McGrath didn't get the five-for that he had hoped for... 
  3. "Swinging it for the Auld Enemy – An interview with Ryan Sidebottom"The Scotsman। ১৭ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০০৯... I'd rather take fifers (five wickets) for England ... 
  4. Pervez, M. A. (২০০১)। A Dictionary of Cricket। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 31। আইএসবিএন 978-81-7370-184-9 
  5. "Bowling records: Test matches"ESPN Cricinfo। ৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  6. "Bowling records: Test matches (New Zealand)"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / By opposition team"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  8. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Won match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Drawn match"। ESPNcricinfo। ২৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  10. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Lost match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Ground averages"। ESPNcricinfo। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  12. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / By year of match start"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  13. "4th Test: England v New Zealand at The Oval, Aug 13–16, 1949"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  14. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / By year of match start"। ESPNcricinfo। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  15. "1st Test: New Zealand v Pakistan at Christchurch, Nov 17–21, 2016"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  16. "1st Test, New Zealand tour of United Arab Emirates at Abu Dhabi, Nov 16-19 2018"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  17. Menon, Mohandas (৪ আগস্ট ২০১৬)। "Rahane and rain hold sway, but Chase outshines all"Wisden India। ১২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  18. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Ground averages"। ESPNcricinfo। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  19. Williamson, Martin। "An explanation of cricket – A glossary of cricket terms"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  20. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Spin bowler"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  21. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / Fast bowler"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  22. "1st Test: New Zealand v England at Christchurch, Mar 17–21, 1951"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  23. "2nd Test: India v New Zealand at Kolkata, Mar 5–8, 1965"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  24. "1st Test: Sri Lanka v New Zealand at Colombo (RPS), May 27–31, 1998"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  25. "2nd Test: South Africa v New Zealand at Centurion, Nov 16–18, 2007"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  26. "Only Test: Zimbabwe v New Zealand at Bulawayo, Nov 1–5, 2011"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬