টিম মে

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

টিমোথি ব্রায়ান আলেকজান্ডার টিম মে (ইংরেজি: Tim May; জন্ম: ২৬ জানুয়ারি, ১৯৬২) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

টিম মে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
টিমোথি ব্রায়ান আলেকজান্ডার মে
জন্ম (1962-01-26) ২৬ জানুয়ারি ১৯৬২ (বয়স ৬২)
উত্তর অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৪–১৯৯৬সাউথ অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৪ ৪৭
রানের সংখ্যা ২২৫ ৩৯
ব্যাটিং গড় ১৪.০৬ ৯.৭৫
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ৪২* ১৫
বল করেছে ৬৫৭৭ ২৫০৪
উইকেট ৭৫ ৩৯
বোলিং গড় ৩৪.৭৪ ৪৫.৪৩
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৯ ৩/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/- ৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ এপ্রিল ২০১৭

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন টিম মে। দলে তিনি মূলতঃ অফ স্পিন বোলার ছিলেন। ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলীয় দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। ঐ সফরের প্রস্তুতিমূলক খেলায় বিসিসিপি একাদশের বিপক্ষে পিটার স্লিপ পাঁচ উইকেট পান।[] তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী প্রথম টেস্ট খেলার জন্য টিম মেকে প্রাধান্য দেয়।[]

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ওয়ার্নের সাথে বোলিং জুটি গড়েন। এরপর থেকে তারা নিজেদের মধ্যে ৫৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অ্যাডিলেড ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে নিজস্ব সেরা ৫/৯ পান। ঐ টেস্টে নিজস্ব সেরা অপরাজিত ৪২ রান তুলেন তিনি। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দূর্দান্ত পেস আক্রমণ মোকাবেলা করে অস্ট্রেলিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে জয় পায়।

মূল্যায়ন

সম্পাদনা

অফস্পিন বোলার হিসেবে মে বলকে বেশ উঁচুতে নিয়ে যথেষ্ট নিপুণতার সাথে ঘোরাতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এরফলে শেন ওয়ার্নের উত্থানের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-পছন্দের বোলারে পরিণত করেছিল।

১৯৮৮-৮৯ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।[] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন। ফিল্ডিংয়ে তেমন সফলতা পাননি। ফলশ্রুতিতে তাকে প্রায়শঃই দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের বিশ্ব সিরিজ কাপে আঘাতপ্রাপ্ত ডিন জোন্সের বিপরীতে মাঠে নামেন। কিন্তু এক্সট্রা কভার অঞ্চলে রমিজ রাজা’র সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন।

মে ২৪ টেস্ট ও ৪৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু আঘাতের কারণে তাকে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিতে হয়েছে।

১৯৯৭ সালে নবগঠিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও মনোনীত হন। এরপর থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে তুলে ধরতে সচেষ্ট হন। ১৯৯৮ সালে মেহেম শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

 
টিম মে’র টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাটিংশৈলী

জুন, ২০০৫ সালে টেক্সাসের অস্টিনে অবস্থিত ফিকা’র সিইও হন। ২০০৪ সালে বিশ্ব ক্রিকেট সুনামি আক্রান্তদের সহায়তায় খেলা আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। জুন, ২০১৩ সাল পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনসে (ফিকা) প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জুন, ২০১৩ সালে ফিকা’র প্রথম প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে পেশাদার ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে দূর্নীতি প্রতিরোধে ব্যর্থতা ও অবৈধ হস্তক্ষেপের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. [১]
  2. "Pakistan fights back in 1st Test."The Canberra Times। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮। পৃষ্ঠা 24। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  3. "Pura Cup Player of the Year"। Cricinfo.com। ২৭ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. Frustrated Tim May quits FICA from ESPNcricinfo retrieved 5 June 2013

গ্রন্থপঞ্জী

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা