টিনটিনহাল বাগান, সমারসেটের ইংলিশ প্রদেশের ইয়োভিলের নিকট টিনটিনহালে অবস্থিত, ক্ষুদ্রাকৃতির (এক একরের কম)[] ২০ শতকের চারু ও কারু শিল্প বাগান যা ১৭ শতাব্দীর গ্রেড ১ তালিকাভুক্ত একটি বাড়িকে ঘিরে আছে। সম্পত্তিটির মালিকানা ন্যাশনাল ট্রাস্টের অধীনে। বছরে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ এখানে পরিদর্শনে আসেন।[]

টিনটিনহাল বাড়ি ও বাগান
স্থানীয় নাম
Tintinhull Garden
বাড়ির সামনের প্রবেশদ্বার এবং প্রধান পথ
অবস্থানটিনটিনহাল, সমারসেট, ইংল্যান্ড
স্থানাঙ্ক৫০°৫৮′২৮″ উত্তর ২°৪২′২৬″ পশ্চিম / ৫০.৯৭৪৪৪° উত্তর ২.৭০৭২২° পশ্চিম / 50.97444; -2.70722
নির্মিত১৭তম শতাব্দী
মনোনীত১৯ এপ্রিল ১৯৬১[]
সূত্র নং১২৬৫২৩১
ধরনগ্রেড ২
মনোনীত১ জুন ১৯৮৪[]
সূত্র নং১০০১১৫৬
টিনটিনহাল বাগান সমারসেট-এ অবস্থিত
টিনটিনহাল বাগান
সমারসেটে টিনটিনহাল বাড়ি ও বাগানের অবস্থান

বাড়িটি ১৬৩০ সালে একটি ছোট খামারবাড়ি হিসাবে যাত্রা শুরু করে কিন্তু ১৮ শতকের দিকে এটি পরিবর্ধিত হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করে। শতাব্দী ধরে এই বাড়িটির স্বত্বাধিকারী ছিলো ন্যাপার পরিবারের। ১৯৫৪ সালে বাড়িটি ন্যাশনাল ট্রাস্টকে দেওয়া হয়। হিডকট ম্যানোর উদ্যানের ছাঁচে একে চারু ও কারুশিল্প রূপ দেওয়া হয়। এটি মূলত ১৯৩৩ সাল থেকে ফিলিস রেইস দ্বারা নির্মিত[] এবং পেনেলোপি হবহাউস দ্বারা উন্নত হয়।[]

 
টিনটিনহাল বাড়ি

মূল খামারবাড়িটি ১৬৩০ সালে হ্যামস্টোনে নির্মিত হয়েছিলো, যেটি বর্তমানে টিনটিনহাল বাড়িতে রূপ নিয়েছে। আনুমানিক ১৭২২ সালের দিকে এটিকে নবরূপ প্রদান ও বর্ধিতকরণ করা হয়, এবং পশ্চিমের দিকে কিছু অংশ যুক্ত করে একে বড় করা হয়েছিল।[][]

বাড়িটি ন্যাপার পরিবারের সম্পত্তি ছিল, যারা মঠ বিলুপ্তির পরে এই জমিদারী লাভ করে এবং টিনটিনহুল কোর্টের মালিকানাও লাভ করে, যা উত্তরাধিকার সূত্রে পরিবারের ভিতরেই থাকে ১৮১৪ সালের কোনো এক সময় পর্যন্ত যখন এটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।[][]

১৭৯১ সালে জন ন্যাপারের মৃত্যুর পরে ন্যাপাররা এটিকে পিট পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে। তারপর ১৮৩৫ সালে জেরেমিয়া পেনির নিকট এটি বিক্রয় করার আগ পর্যন্ত বেশকয়েকবার এর মালিকানা বদল হল। ১৮৯৮ সালে উদ্ভিদবিজ্ঞানী ড. এস জে এম প্রিন্সের নিকট বিক্রির আগে তৎকালীন মালিক আর্থার কোবেট পূর্বদিকে একটি একচালা বর্ধিতাংশ যুক্ত করেন। ১৯৩৩ সালে এটি ফিলিস রেস এবং তার স্বামী ক্যাপ্টেন এফ ই রেস কিনে নেন।[]

বাড়িটিতে ন্যাশনাল ট্রাস্টের অনেক চিত্রকর্ম রয়েছে, যার মধ্যে জন এস গুডালের আঁকা বাড়ির সামনের একটা চিত্রকর্ম আছে।[১০][১১]

বাড়িটি একটি গ্রেড ১ তালিকাভুক্ত ভবন[] ছুটির দিনের জন্য বাড়িটি ন্যাশনাল ট্রাস্টের মাধ্যমে বুকিং দেওয়া যায়।[১২]

 
বাগানের একাংশ

বাগানটি দেয়াল ও ক্ষুদ্র বৃক্ষনির্মিত বেষ্টনী দ্বারা পরিবেষ্টিত। ২০ শতকের প্রথমভাগে ড. প্রিন্স বাগানটির বিন্যাস নকশা করেছিলেন, যাতে ত্রিকোণাকৃতি ও ডায়মন্ড আকৃতির টালি পাথরের রাস্তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। শোভাবর্ধক গম্বুজগুলো ১৯২০ সালের দিকে বসানো হয়।[১৩] ১৯৩৩ সালের দিকে ফিলিস রেইস "হিডকট"-এর আদলে পুনর্বিন্যাস ও বর্ধিতকরণের কাজ শুরু করেন।[] ১.৫ একর (০.৬১ হেক্টর) আয়তনের বাগানটি ক্ষুদ্র বৃক্ষনির্মিত বেড়া এবং দেয়াল দ্বারা "বাগান কক্ষে" বিভক্ত।[১৪] বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রয়েছে ঈগল কোর্ট (প্রাক্তন উঠান), মিডল গার্ডেন, ফাউন্টেন গার্ডেন এবং পুল গার্ডেন।[] পুল গার্ডেনের স্থানে আগে টেনিস কোর্ট ছিল।[১৩]

১৯৫৪ সালে রেইস, ন্যাশনাল ট্রাস্টকে বাড়ি এবং বাগান দিয়েছিলেন, কিন্তু ১৯৬১ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই বাড়িতে থাকতেন এবং বাগানের পরিচর্যা করতেন। এরপর থেকে ট্রাস্ট বিভিন্ন লোককে বাড়িটি ভাড়া দেয় যাদের মধ্যে রয়েছেন বাগান নকশাকার ও লেখিকা পেনেলোপে হবহাউস এবং তার স্বামী অধ্যাপক জন মার্লিন, ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাড়িটি তাদের নিকট ছিল।[১৫]

বাগানটি ন্যাশনাল রেজিস্টার অব হিস্টরিক পার্কস অ্যান্ড গার্ডেন্সের অন্তর্ভুক্ত এবং কিছু ছোট পুল ও অ্যাজালিয়া ফুলের বাগান আছে।[১৬]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড"Tintinhull House (1265231)"ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৫ 
  2. ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড"Tintinhull House (1001156)"ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. পেন ১৯৯৩, পৃ. ৬৩।
  4. হেগার্টি, লেসলি (২৯ জুন ২০১১)। "Treasures at Tintinhull"সমারসেট লাইফ। ২২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  5. পেন ১৯৯৩, পৃ. ৬৩-৬৬।
  6. পেন ১৯৯৩, পৃ. ১৩৯-১৪২।
  7. ব্যাগস, এ.পি.; বুশ, আর জে ই; টমলিনসন, মার্গারেট (১৯৭৪)। ডনিং, আর. ডব্লিউ., সম্পাদক। "Parishes: Tintinhull"A History of the County of Somerset: Volume 3। ইনস্টিটিউট অব হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  8. "টিনটিনহাল হাউস গার্ডেন, টিনটিনহাল"সমারসেট হিস্টোরিক এনভায়রনমেন্ট রেকর্ড। সমারসেট কাউন্টি কাউন্সিল। ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  9. "টিনটিনহাল হাউস"। জুলিয়া হেইলস। ১১ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০ 
  10. "Paintings at National Trust, Tintinhull" [ন্যাশনাল ট্রাস্ট, টিনটিনহুলের চিত্রকর্ম]। আর্ট ইউকে। ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  11. "View of the West Front of Tintinhull House by John Strickland Goodall"Art UK। ১৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৪ 
  12. "টিনটিনহাল হাউস"National Trust (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৩ 
  13. বন্ড ১৯৯৮, পৃ. ১৩৯–১৪০।
  14. "Tintinhull House Garden"। Great British Gardens। ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৫ 
  15. "Tintinhull House Garden"। Garden Visit। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  16. "Tintinhull Garden"। National Trust। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯ 
সূত্র

পেন, হেলেন (১৯৯৩)। An Englishwoman's Garden [অ্যান ইংলিশবমান'স গার্ডেন] (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি বুকস। পৃষ্ঠা ২২৪। আইএসবিএন 9780563364306 

বন্ড, জেমস (১৯৯৮)। সামারসেট পার্কস অ্যান্ড গার্ডেন্স। সমারসেট বুক্স। আইএসবিএন 978-0-86183-465-5 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা